Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নাব্য ফেরাতে নবগঙ্গার ১১ কিলোমিটার খনন

মাগুরা থেকে সাইদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:১১ এএম

৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে নবগঙ্গা নদীর ১১ কিলোমিটার খনন কাজ শুরু হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে নদীটি খনন হচ্ছে।প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কৃষি জমিতে সেচ সুবিধাসহ রক্ষা পাবে ওই এলাকার জীববৈচিত্র। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, অনুমোদন হওয়া প্রকল্পের অর্থায়নে নদীর মাঝ থেকে দুপাশে ৪০ + ৪০ করে ৮০ মিটার খনন, বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় জনসাধারণের গোসলের জন্য ৮টি ঘাট নির্মাণ, পানি নিয়ন্ত্রণে শহরের ঢাকা রোডের নদীর উপর থাকা পুরাতন রেগুলেটর সংস্কার করা হবে।মাগুরা শহরের নবগঙ্গা ও কুমার নদীর সংযোগস্থল থেকে আলোকদিয়া পর্যন্ত পূন: খনন এ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। এ কাজ সম্পন্ন হলে নদীতে মাছ চাষ বৃদ্ধি, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং উদ্ভিদ ও প্রাণীকূলের নিরাপদ জীবনযাত্রা নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি নদী তীরবর্তী এলাকাবাসী কৃষি জমিতে সেচ সুবিধাসহ শুষ্ক মৌসুমে নানা কাজে নদীর পানি ব্যবহার করতে পারবে।তাদের দেয়া তথ্য মতে, চুয়াডাঙ্গা জেলার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে নব গঙ্গার উৎপত্তি। মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কুমার নদ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মাগুরা পৌরসভার পারনান্দুয়ালী এলাকায় এসে নবগঙ্গা নাম ধারণ করেছে। ভারতের উজান থেকে পানি প্রবাহ কমে যাওয়া, নদীর বিভিন্ন অংশে অপরিকল্পিত বাঁধ ও ব্রিজ নির্মাণ, পলি পড়ে নদী ভরাট হয়ে যাওয়াসহ নানা কারণে শুকিয়ে গিয়েছিল নদীটি। যে কারনে নদীর বিভিন্ন স্থানে চর জেগে নব্যতা হারিয়ে ফেলেছিল। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল নৌ যোগাযোগ। জেড়ে উঠেছিল বিভিন্ন স্থানে চর।এসব চরে এলাকার কৃষকরা শুস্ক মৌসুমে ফসল আবাদ করে লাভবান হয়ে আসছিল। নদী খননের কারণে এসব কৃষরা ফসল উৎপাদন খেকে বঞ্চিত হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তারা আর ফসল ফলাতে পারবে না এ নদী চরে। মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ জানান, নদীর এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় ‘জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে’ নদীটির ১১ কিলোমিটার এলাকা খননে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘদিন পূর্বে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়। যা অনুমোদনের পর সম্প্রতি খনন কাজ শুরু হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় নদীর তলদেশে পলি জমে উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মাগুরা জেলার সদর উপজেলাধীন বড়বিলা বিল, কৈবিলা বিল, পুটুলিয়া বিল, রূপদাহ বিল এলাকার জমির জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে নবগঙ্গা নদী পুনঃখনন করা অত্যন্ত জরুরী ছিল। এটি বাস্তবায়িত হলে নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, বন্যার পানি নিষ্কাশন, ফসল রক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি সফল হওয়ার পাশপাশি প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে ১২ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন সম্ভব হবে। এতে এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে।অন্যদিকে গড়াই, ফটকী, চিত্রা,বেগবতী ও কুমার নদীর সংস্কারের অভাবে বর্ষা মৌসূমে প্লাবিত হয়ে দুই পাড় ভেসে হাজার-হাজার একর ফসলী জমি ও ঘর-বাড়ি তলিয়ে যায়। ফলে প্রতি বছরই নদী পাড়ের মানুষের পোহাতে হয় চরম র্দূভোগ। আবার শুস্কো মৌসূমে নদী গুলি শুকিয়ে যায়। ফলে নৌযান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বর্তমান সরকার নবগঙ্গা খননের জন্য ৪১ কোটি টাকার একনেকে প্রকল্প বরাদ্ধ করলেও অন্য নদী গুলো খননের কোন ব্যবস্থা এখনও নেওয়া হয়নি। এ ১১ কিলোমিটার নদী খননের ফলে সমস্যার সামান্য সমাধান হয়ত হবে। তবে জনগনের সার্বিক সুবিধার জন্য ব্যাপক ভাবে নদীটি খনন করা জরুরী।



 

Show all comments
  • ash ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৬:৪৪ এএম says : 0
    PANI WNNOON BOAD KE BILUPTO KORE , NODI KHONON, RASTA, BRIDGE, NODIR TIR SHONGROKHON, BAD, SHOB SHORKARI KOL-KHARKHANA INCLUD SUGAR MIL SHENABAHINIR UNDER E DEW A WCHIT !! EVEN BANGLADESH RAILWAY O SHENABAHINIR UNDER E DEWA WCHITH !!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নবগঙ্গা খনন
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ