মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কিম জং উন এক কথার মানুষ। পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ রাখার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি, আশা করি সেটা বজায় রেখে চলবেন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রনায়ক সম্পর্কে মঙ্গলবার এ কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তার ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হুঙ্কার ছুড়লেন কিম। জানিয়ে দিলেন, আমেরিকা তাদের শত্রুমনোভাবপন্ন নীতি থেকে সরে না এলে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাবেন তারা। শুধু তাই নয়, আগামী দিনে আরও উন্নত মানের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে আসবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
উত্তর কোরিয়া নতুন বছরে নতুন অস্ত্র কৌশলে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। বুধবার দেশটির ওয়ার্কার্স পার্টির একটি সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি হুঁশিয়ার দিয়ে বলেন, ‘পুরো বিশ্ব নতুন একটি অস্ত্র কৌশলে দেখবে।’ তবে কী ধরণের অস্ত্র কৌশলে তারা যাবে তা নিয়ে আর কিছু বলেননি তিনি।
পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে গত বছর আমেরিকার সঙ্গে কিমের তিনবার বৈঠক হয়। তবে উত্তর কোরিয়া অভিযোগ তুলেছে, তারা সহযোগিতার হাত বাড়ালেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ তাতে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে কিম বলেন, ‘আমেরিকা যদি তাদের অবস্থান থেকে সরে না আসে তা হলে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া হবে।’ আমেরিকাকে উদ্দেশ্য করে তার মন্তব্য, ‘আলোচনার জন্য সব সময়ই দরজা খোলা।’
উত্তর কোরিয়ার উপর থেকে এখনও নিষেধাজ্ঞা তোলেনি আমেরিকা। পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গেও সামরিক মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে তারা। আর এ বিষয়টি কিমের রাগের মূল কারণ। এ প্রসঙ্গে কিমের হুঁশিয়ারি, শুধু আমরাই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে যাব এটা হতে পারে না। আমেরিকা যদি আমাদের উপর ‘দাদাগিরি’ করতে চায় তা বরদাস্ত করা হবে না। তিনি আরও বলেন, ‘নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থেই পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাব।’ তার এই হুঁশিয়ারির পাল্টা জবাব দিয়েছে আমেরিকাও। মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি মাইক পম্পেও বলেন, ‘আশা করছি হিংসার পথ ছেড়ে শান্তির রাস্তাকেই বেছে নেবেন কিম।’
চলতি কয়েক বছর ধরে পিয়ংইয়ংইয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বলা হচ্ছে যতদিন পর্যন্ত তারা পরমাণু নিস্ক্রিয়করণ না করবে ততদিন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে না। এদিকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলো উত্তর কোরিয়া। আর সময় শেষ হওয়ার একদিন পরেই এসব কথা বললেন কিম।
২০১৯ সালের শেষের দিকে বেশ কিছু হালকা অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রকে চাপে ফেলার চেষ্টা করতেই বেশ কয়েকবার এসব অস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।