Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিজেপিকে একা করে দিন: মমতা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১১:২৩ এএম | আপডেট : ১১:৪৯ এএম, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ভারতে বিজেপিকে একা করে দিন। যারা দেশবাসীকে তাড়াতে চায়, ভারতে তাদের জায়গা নেই।

তিনি জানান, ১৮ বছরের ছেলেমেয়েদের ভোট দেওয়ার অধিকার আছে। আর ওরা আন্দোলন করতে পারবে না? ছাত্রছাত্রীদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে বিজেপি সরকার। হোস্টেলে ঢুকে মারধর করছে তারা। এনআরসি করে দেশ থেকে তাড়ানোর চেষ্টা চলছে। আমাদের এমপিদের লখনউতে ঢুকতে দেওয়া হল না। এদিকে বিজেপি রাজ্যে একের পর এক মিছিল করে চলেছে। তাহলে দেখুন গণতন্ত্র কোথায় আছে? এই আন্দোলন সব রাজ্যে হচ্ছে। এই আন্দোলন আপনার ঠিকানার আন্দোলন। সবাই একজোট হন, বিজেপিকে একা করে দিন।

বিজেপির বিরুদ্ধে অন্য সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সোমবার পুরুলিয়ার ভিক্টোরিয়া হাইস্কুল মোড়ে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মমতা আরও বলেন, এনআরসির নামে দেশের মানুষকে তাড়ানোর চক্রান্ত চলছে। সবাইকে বলব, এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে জোট বাঁধুন, তৈরি হোন। শুধু বাংলায় নয়। সারা ভারতে যে যেখানে এই আন্দোলন করছেন, তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। এটা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন, মাথার উপরের আশ্রয় রক্ষার আন্দোলন। ঠিকানা রক্ষার আন্দোলন।’

রোববার ঝাড়খন্ডে অবিজেপি সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের মঞ্চে দেশের বিরোধী নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তৃণমূলনেত্রীর এই আহ্বানে রাজনৈতিক শক্তির নতুন বিন্যাসের সম্ভাবনা দেখছে রাজনৈতিক মহল।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘দেশে ১৩০ কোটি মানুষই নাগরিক। তার মধ্যে ১০০০জনকে নাগরিকত্ব দেবে। বাকিরা কি ললিপপ খাবে। কলা খাবে। দেশে শুধু বিজেপি থাকবে? আমরা সবাই নাগরিক। এক একটি রাজ্যের ভাষা আলাদা। কিন্তু সবটা মিলিয়ে আমাদের দেশ হিন্দুস্তান।’

বিতর্কিত এনপিআর এবং নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করবেন না বলে স্মরণ করিয়ে দিয়ে আবারও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই এলাকায় এমন মানুষ আছেন, যারা ব্যবসা করেন, চাকরি করেন। তাদের কেউ গুজরাটের, কেউ উত্তরপ্রদেশে, পাঞ্জাব, বিহার, রাজস্থানের বাসিন্দা। এনআরসির নাম করে সব লোকেদের ভারতবর্ষ থেকে বিতাড়নের জঘন্য চক্রান্ত চলছে।’

মমতা বলেন, ‘আদিবাসী ভাইবোনেরা তাদের জায়গা যাতে কেউ কেড়ে না নেয়, তা নিশ্চিত করতেই এই আন্দোলন।’

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভোটার লিস্টে নাম ভাল করে তুলুন। ভোটার লিস্টে অনেক ভুল করেছে। কারও বাবা-মার নাম ভুল হয়ে যায়, কারও ঠিকানা ভুল হয়ে যায়। ভালও করে মিলিয়ে নিন। আপনারা শুধু এটুকু করুন। কাউকে আমরা বাংলা ছেড়ে যেতে দেব না। এ আমার অঙ্গীকার।’

এদিকে একই দিন তৃণমূলের সমালোচনা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘‘লোকসভা ভোটের আগেও ব্রিগেডে হাত ধরাধরি করে মোদী হঠাও স্লোগান শুনেছিলাম। মানুষ যোগ্য জবাব দিয়েছ। দিদিমনি তাদের হাত ধরে আবার টেনে আনছেন।’’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মমতা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ