পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শীতের দাপটে সবখানে মানুষের কষ্ট-দুর্ভোগ অসহনীয়। পৌষ মাসের প্রথম তিন দিন বাদে প্রায় দুই সপ্তাহ যাবৎ শৈত্যপ্রবাহে মানুষ জবুথবু। গোটা দেশ টানা বৈরী আবহাওয়ার কবলে। উত্তরাঞ্চলে থর থর করে মানুষ কাঁপছে শীত আর কুয়াশায়। অবিরাম শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। শীতের সাথে ঘন কুয়াশা, মাঝেমধ্যে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও বিক্ষিপ্ত হালকা থেকে গুঁড়ি বৃষ্টি, হিমেল কনকনে হাওয়ায় সমগ্র দেশে প্রতিদিনই বিপুল পরিমানে মানুষের কর্মঘণ্টা নষ্ট বা অপচয় হচ্ছে। স্বাভাবিক উৎপাদনশীলতা হচ্ছে বাধাগ্রস্ত। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্য, স্বাভাবিক লেনদেন, কর্মজীবী মানুষের কর্মচাঞ্চল্য, মালামাল ডেলিভারি পরিবহন, আড়ত ও মোকামে মালামাল স্থানাস্তর, মজুদ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায় ও হরেক ক্ষুদ্র কল-কারখানাসহ বিভিন্ন স্তরে অর্থনীতির গতি থমকে গেছে। গ্রামীণ অর্থনীতি, খামারশিল্প পড়েছে টানা দুর্দশায়।
এবার পৌষেই টানা শৈত্যপ্রবাহ হানা দিয়েছে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সর্দি-কাশি, জ¦র, শ^সকষ্ট, ডায়রিয়াসহ নানাবিধ রোগে মানুষ ঘরে ঘরে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। হাসপাতাল ক্লিনিক ডাক্তারের চেম্বারে রোগীর ভিড় বেড়েছে। শিশু ও বৃদ্ধদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি। ঘন কুয়াশা আর শীতের কবলে পড়ে খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষজন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অনেকেই ঘন কুয়াশা আ তীব্র শীতের কারণে আয়-রোজগারের কাজে যেতেই পারছে না। নতুন বছর ২০২০ সালের গোড়াতে বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টিপাতের পরপরই দেশজুড়ে আরও তীব্র থেকে তীব্রতর শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
গতকাল (সোমবার) সকালে উত্তরের জনপদ পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রার পারদ নেমে আসে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আগের দিন ছিল ৪.৫ ডিগ্রি। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ অর্থাৎ দেশের উত্তরাঞ্চল এবং সেই সাথে টাঙ্গাইল, মৌলভীবাজার, কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। গতকাল ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ২৬.৫ এবং সর্বনিম্ন ১৩.১ ডিগ্রি সে.। রাজশাহী, রংপুর, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, শ্রীমঙ্গল, কুষ্টিয়া অঞ্চলে রাত থেকে সকাল অবধি পারদ ৯ ডিগ্রির নিচে নেমে গেছে। উত্তুরের হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন কাবু।
আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। এরপরের ৫ দিনের শুরুর দিকে অর্থাৎ নতুন ইংরেজি বছরের গোড়ার দিকে হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরই শীতের তীব্রতা হয়ে উঠতে পারে আরও প্রকট আরও অসহনীয়।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের একটি বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং এর সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের একটি স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।