বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভোট ডাকাতির সরকারের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করুন। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিন। জনগণকে আর কষ্ট দিবেন না। জনগণের অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে ব্যর্থ হলে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। গতকাল সোমবার বিভিন্ন ইসলামী দলের আলোচনা সভা ও বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর রাতে ভোট চুরি হয়েছে, আর ৩০ ডিসেম্বর দিনে ভোট ডাকাতি হয়েছে। এটা গোপন কিছু নয়, দেশের সর্বস্তরের জনতা এটা জানে। যারা ভোট চুরি ও ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে, তারা অবৈধ, তাদের ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নেই। তিনি আরো বলেন, আজকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ এক শাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে আছে।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, অবিলম্বে পদত্যাগ করে জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিন। দেশের জনগণকে আর কষ্ট দিবেন না। অন্যথায় এই আন্দোলন থামবে না। গতকাল সোমবার বাদ যোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী এসব কথা বলেন।
দলের সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফীর সভাপতিত্বে ও মাওলানা জয়নুল আবেদীনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী ও মাওলানা নাসির উদ্দীন মুনির।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী বলেন, এই সরকার গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ভোট চুরি ও ভোট ডাকাতি করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে। এই সরকার জনগণের সরকার নয়। ক্রসফায়ারের নামে বহু মানুষকে বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং গুম করা হয়েছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ:
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়ার ইচ্ছা না থাকলে জনগণের টাকা খরচ না করার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গণভবন থেকে মেয়র ও কাউন্সিলরদের নামের তালিকা ঘোষণা দিয়ে গ্যাজেট করে নিন। জনগণের সাথে তামাশা করবেন না। জনগণের সাথে নির্বাচনের নামে প্রহসন করবেন না।
গতকাল সোমবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, মুহা. ফজলুল হক মৃধা, অধ্যাপক নাছির উদ্দিন, মাওলানা নুরুন্নবী তালুকদার প্রমূখ।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ: ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সরকার নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন যদি নিরপেক্ষতা বজায় রেখে জনগণের অংশ গ্রহণমূলক ও সর্বজন গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয় তবে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। কাজেই সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে যথেষ্ট সজাগ থাকতে হবে।
মুসলিম লীগের ১১৩তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে দলের পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় দলীয় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। আরও বক্তব্য রাখেন, দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, আতিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, কাজী এ.এ কাফী, শেখ এ সবুর ও খোন্দকার জিল্লুর রহমান।
খেলাফত মজলিস: খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের বলেছেন, ২০১৮ সনের ৩০ ডিসেম্বর ছিল জাতীয় কলঙ্ক দিবস। দেশের সার্বভৌমত্ব আজ বিলীন হতে চলেছে। তিনি অবিলম্বে ভোট চুরির অবৈধ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই জাতিকে মুক্তি দিতে পারে। খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী শাখা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সভাপতি শেখ গোলাম আসগরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হকের পরিচালনায় সভায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন ও এডভোকেট মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসাইন।
জমিয়ত নেতৃবৃন্দ : জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর সভাপতি আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস ও মহাসচিব মুফতি শেখ মজিবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গোলাম মহিউদ্দীন ইকরম একযুক্ত বিবৃতিতে বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর মধ্যরাতে বাংলাদেশর ভোট চুরির যে নির্লজ্জ মহোৎসব হয়েছে তা ইতিহাসের সকল স্বৈরতান্ত্রিক কালো অধ্যায়কেও হার মানিয়েছে। নেতারা বলেন, দেশের মানুষ এ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।