মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি ‘গুরুতর পরিস্থিতি’র মুখোমুখি হয়েছে বলে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের সতর্ক করে দিয়েছেন দেশটির নেতা কিম জং উন। একই সঙ্গে অর্থনীতিকে বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে সংশোধিত ব্যবস্থা নিতে দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে কিম জং উনের এই সতর্কবার্তার ব্যাপারে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রায় একবছর ধরে ওয়াশিংটনের সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের আলোচনায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য শিগগিরই কোনো ব্যবস্থা নেয়া না হলে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ইস্যুতে নতুন চিন্তাভাবনা শুরু করবে।
পিয়ংইয়ংয়ে দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের এই বৈঠক শুরু হয়েছে শনিবার। কিম জং উন দলের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। রোববার বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক বিকাশে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সময় এসেছে।
উ. কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ বলছে, জাতীয় অর্থনীতির প্রধান প্রধান শিল্প খাতের গুরুতর পরিস্থিতি জরুরি ভিত্তিতে সংশোধন করার জন্য দলের নীতি-নির্ধারণী পরিষদের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন কিম জং উন।
উত্তর কোরিয়া কখনই দেশটির অর্থনৈতিক কোনো পরিসংখ্যান প্রকাশ করে না। কিন্তু গত জুলাইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক পরিসংখ্যানে জানানো হয়, নিষেধাজ্ঞায় জরাজীর্ণ উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি মারাত্মক সংকুচিত হয়েছে। ২০১৮ সালে উত্তরের অর্থনৈতিক সংকোচন ঘটেছে প্রায় ৪ দশমিক ১ শতাংশ। ১৯৯০ সালে কোরীয় দ্বীপে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পর এটিই ছিল উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতির সর্বোচ্চ অবনমন।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠক করেন। এই বৈঠকের পর থেকে কোরীয় দ্বীপের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের আলোচনা থমকে আছে।
উত্তর কোরিয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে শর্ত সাপেক্ষে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারে আশ্বাস দিলেও সেই আলোচনায় তেমন গতি দেখা যায়নি। পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির জেরে দেশটির ওপর জাতিসংঘের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে উত্তর কোরিয়ার প্রধান অর্থনৈতিক অংশীদার চীন এবং রাশিয়া প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল।
এ ব্যাপারে ওয়াশিংটনের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা এবং সিদ্ধান্তের জন্য চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল পিয়ংইয়ং। কিন্তু এই আলোচনায় ওয়াশিংটনের ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় উত্তর কোরিয়ার নেতা আরও আগ্রাসী পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন দলটির ওই বৈঠকে।
কেসিএনএ বলছে, অতীতের ঐতিহ্য ভেঙে ১৯৯০ সালের পর এই প্রথম তৃতীয় তিনের মতো উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে দলীয় প্ল্যানারি এই বৈঠক দু'দিন ধরে অনুষ্ঠিত হতো। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।