Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সিকিমে আটকে পড়া ১৫০০ পর্যটককে উদ্ধার করল সেনাবাহিনী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৫:১৪ পিএম

হাড়হিম শীতে কাঁপছে গোটা ভারত। কাশ্মীরের লাদাখ-কারগিলের তাপমাত্রা মাইনাস ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমেছে। বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে তুষারপাত। বিরূপ এই আবহাওয়ার মধ্যে সিকিমের প্রাদেশিক রাজধানী গ্যাংটকের জওহরলাল নেহেরু সড়কে আটকে পড়া দেড় হাজার পর্যটককে উদ্ধার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় ৩০০ গাড়ি তুষারপাতে আটকা পড়ে। সেসব গাড়িতে ছিলেন ১৫০০ থেকে ১৭০০ পর্যটক। খবর পেয়ে পর্যটকদের উদ্ধার করতে যায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। গতকাল শনিবার এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৫০০ পর্যটককে ইতোমধ্যে উদ্ধার করেছেন সেনা জওয়ানরা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নারী-শিশু আর প্রবীণ ব্যক্তিসহ প্রায় দেড় হাজার পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫৭০ জনকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অস্থায়ী শিবিরে রাখা হয়েছে। খাবার, গরম পোশাক এবং ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে আটকে পড়া পর্যটকদের।
তবে প্রতিকূল আবহাওয়া ও দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় অনেক পর্যটককে উদ্ধার করা যায়নি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী বুলডোজার ও অন্যান্য সরঞ্জাম দিয়ে পথের মধ্যে জমে থাকা বরফ পরিষ্কার করার চেষ্টা করছে। তা শেষ হলেই ফের যোগাযোগ ব্যবস্থা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে পর্যটকদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, যতক্ষণ না বরফ সরিয়ে পথ তৈরি করা যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত পর্যটকদের কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে। এছাড়া শনিবার সেনা শিবিরে রাতযাপন করা পর্যটকরা রোববার নিউ জলপাইগুড়ি ও বাগডোগরার উদ্দেশে রওনা দেবেন।
হাড় কাঁপানো ঠান্ডা কমার কোনো লক্ষণ নেই ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে। বরং গতকাল শনিবার তাপমাত্রা আরও কমে হয়েছে ২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এই মৌসুমের সর্বনিম্ন। দেশটির আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে ১৯০১ সালে এত ঠান্ডা পড়েছিল দিল্লিতে। সময়ের হিসেবে, যা ১১৮ বছরের ব্যবধান।
এদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় বরফাচ্ছাদিত মহাদেশ আন্টার্কটিকাকেও ছাপিয়ে গেছে কাশ্মীরের কারগিল-লাদাখ। বর্তমানে আন্টার্কটিকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন রেকর্ড গড়ে লাদাখের তাপমাত্রা এখন মাইনাস ৩১.৫ আর কারগিলের তাপমাত্রা মাইনাস ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
লাদাখ আর কারগিল ছাড়াও লেহ’র সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখন মাইনাস ২০ ডিগ্রি। হাড় কাঁপানো ঠান্ডা চলছে জম্মু-কাশ্মীরেও। গতকাল শুক্রবার শ্রীনগরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৫.৬ এবং পেহেলগামের তাপমাত্রা নামে মাইনাস ১০ ডিগ্রি ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে মাইনাসে নেমেছে রাজস্থানের মাউন্ট আবুর তাপমাত্রাও।
হিমাচল প্রদেশেও একই অবস্থা। মানালির মতো পর্যটন স্থলে মাইনাস এক ডিগ্রি, ধর্মশালায় ৩.৪ ডিগ্রি, ডালহৌসিতে ৪ ডিগ্রি, সিমলায় ৩.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে। এরপর এ রাজ্যে বৃষ্টি বা তুষারপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ