পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শীতবস্ত্রের অভাবে কাঁদছে গ্রামীণ জনগপদ ও চরাঞ্চলের শিশু-বয়স্করা। আগুন জ্বালিয়ে শীত রক্ষার চেষ্টার দৃশ্য এখন সর্বত্রই। প্রচন্ড ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশের হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগী ভর্তির সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় শীতজনিত রোগে ৪ হাজার রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ। সবকিছুতেই ডিজিলাইজেশন। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মানুষের জীবনযাত্রার মান উর্ধ্বমুখি। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেলসহ অসংখ্য মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। গোটা বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে দেশের প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। সব শ্রেণীর মানুষের সামষ্টিক আয় এবং ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে। বর্তমানে গড় মাথাপিছু আয় ১৯০৯ ডলার। আগের অর্থবছরে যা ছিল ১৭৫১ ডলার। মুক্তবাজার অর্থনীতির হিসেব হচ্ছে আয় এবং ক্রয় ক্ষমতা বাড়লে মানুষ চাহিদা অনুযায়ী পণ্য ক্রয় করে। অথচ পৌঁষের ঠান্ডায় নিম্ন আয়ের মানুষ শীতবস্ত্র ক্রয় করতে না পেরে খড়কুঁটোয় আগুন জ্বালিয়ে ঠান্ডা থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন। এ যেন উন্নয়নের মহাসড়কে উঠা দেশের অর্থনীতির উত্থানকে কাঁদাচ্ছে হিমালয় থেকে নেমে আসা ঠান্ডা বাতাস।
চলতি মাসে গত দুই সাপ্তাহ থেকে সূর্যের দেখা কমই মিলেছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমার্তা ছিল ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহীতে ৮.২, ঈশ্বরদীতে ৮.৩, বগুড়ায় ৯.২, রংপুর ৯.৪, তেঁতুলিয়ায় ৭.৮, চুয়াডাঙ্গায় ৮.গ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচন্ড ঠান্ডার সঙ্গে ঘন কুয়াশার কারণে ব্রহ্মপুত্র-যমুনাসহ অন্য নদ-নদীতে নৌযান চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। সড়ক ও রেলপথে দিনের বেলায়ও হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে ট্রেন ও অন্য যানবাহন। শীতবস্ত্র ক্রয় করতে না পেরে মানুষ শীতের কাছে আত্মসমর্পন করেছে। অনেকেই কাজ না থাকলে ঘর থেকে বের হন না। লেপ তোষকের ভিতরেই থাকেন। কিন্তু গরীব-নিম্ন আয়ের হাজার হাজার মানুষকে বাধ্য হয়েই কাজের জন্য বের হতে হয়। রাস্তার দিকে তাকালে বোঝা যায় শীত মানুষকে কত কাহিল করে ফেলেছে। অথচ শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে না রাষ্ট্র। বৃত্তবামন ও সামাজিক সংগঠনগুলোকেও শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা যাচ্ছে না। অবশ্য কিছু মানুষ শীতবস্ত্র বিতরণের নামে টিভি ক্যামেরায় ফটো সেশন করছে। সারাদেশের শীতের প্রকোপে জনজীবন বিপর্যস্ত। দুর্বিসহ জীবন নিয়ে মানুষ সময় অতিবাহিত করছে। অথচ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো শীতার্ত মানুষকে শীতবস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ পর্যন্ত সরকারি ভাবে ৮টি জেলায় শীতার্ত মানুষের জন্য এক লাখ করে টাকা ও ৫ হাজার পিছ শিশু পোশাকা দেয়া হয়েছে। জেলাগুলো হলো, রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনির হাট, নিলফামারি, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাও, গাইবান্ধা। দেশে জেলার সংখ্যা ৬৪টি। উত্তরাঞ্চলের মতোই দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে প্রচন্ড শীত অনুভুত হচ্ছে। ঠান্ডা বাতাসে মানুষের জীবনযাত্রা ব্যহত হচ্ছে। অথচ ‘সাগরে বারি বিন্দু’র মতো উত্তরাঞ্চলের জেলায় কিছু ত্রাণ দেয়া হয়েছে।
গতকাল সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয় ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়ানসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৪ হাজার ১৯৬ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। অধিদপ্তরের কনট্রোল রুমের তথ্য বলছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শীতজনিত রোগীদের মধ্যে ৬৬৮ জন তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়াও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৬৩৯ জন ও আরও ১ হাজার ৮৮৯ জন জন্ডিস, চোখের প্রদাহ, চর্মরোগ ও জ্বরের চিকিৎসা নিয়েছেন।
শীতজনিত রোগে পহেলা নভেম্বর থেকে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ৫০ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে খাগড়াছড়ি ও পঞ্চগড়ে মারা গেছে ১০ জন করে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, খাগড়াছড়ির সবাই মারা গেছে শ্বাসজনিত সমস্যায়। তবে পঞ্চগড়ের যারা মারা গেছে তারা বিভিন্ন জন বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
প্রচন্ড ঠান্ডায় জমিতে কাজ করতে পারছেন না গ্রামের কৃষকরা; ঘরে বসে ক্ষেতমজুর শ্রেণির মানুষ। সূর্যের দেখা নেই। অব্যাহত ঘন কুয়াশা ও রোদ না থাকায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ক্ষেতের সরিষা ও বোরো ধানের চারা। হলুদ রং ধারণ করছে ধানের চারা, ঝরে পড়ছে সরিষার ফুল।
বর্তমানে পদ্মা বহুমুখী সেতু, ঢাকায় মেট্ট্রোরেলসহ ১০ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ চলছে। চোখ ধাধানো ওই দুই মেগা প্রকল্প ছাড়াও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্প, কয়লাভিত্তিক রামপাল থার্মাল বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, পায়রা বন্দর নির্মাণ প্রকল্প, দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প এবং মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প। এই মেগা প্রকল্পের বাইরেও ২০৩০ সালের মধ্যে মোট ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে মোট ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইপিজেড) প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলছে। সরকারের প্রত্যাশা, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো (ইপিজেড) তৈরি হলে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রফতানি আয় সম্ভব হবে। একইসঙ্গে এই ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশের এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু যাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এই মেগা প্রকল্প এবং চোখ ধাধানো উন্নয়ন সেই জনগণ কতটুকু সুফল পাবে? হাড় কাপানো ঠান্ডা থেকে বাঁচতে মানুষ শীতবস্ত্র ক্রয় করতে পারছে না। তাদের কাছে এতো বেশি প্রবৃদ্ধি, মাথা পিছু আয়ের উর্ধ্বগতিতে কি আসে যায়। শীতে যবুথবু মানুষ চায় আগে শীতবস্ত্র, তারপর উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ।
ডিজিটালে প্রশাসন চলছে এবং দেশে কাগজে কলমে দারিদ্রতা কমছে। ৩০ বছর আগেও ৫৭ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করত। এখন এই সংখ্যা নীচে নেমে এসেছে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ-এর মতে ৬ শতাংশ হারে অব্যাহত প্রবৃদ্ধি অর্জন বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করেছে। ৮০ লাখ প্রবাসীর পাঠানো আয়, তৈরি পোশাক খাতের প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক এবং কৃষির সবুজ বিপ্লব বা এক জমিতে দুই ফসল দারিদ্র্য কমানোর ক্ষেত্রে বড় ধরণের ভ‚মিকা রেখেছে। কিন্তু কৃষক পাচ্ছেন না ধানের দাম।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মস‚চীর (ইউএনডিপি) তৈরি করা প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ৮টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বাংলাদেশে কিছু ক্ষেত্রে লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। বয়স্ক শিক্ষার হার বাড়ানোর মতো কিছু বিষয়ে পিছিয়ে আছে। এমডিজি প‚রণের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে একটি উদাহরণ। অথচ প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টচার্য বলেছেন, দেশে বাজেটর দুই শতাংশ শিক্ষা এবং এক শতাংশ স্বাস্থ্য সেবায় বিনিয়োগ করে সার্বিক অগ্রগতি সম্ভব নয়।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে ব্যাংক থেকে ধার করা টাকা দিয়ে সরকার চলছে, কর্মচারীদের বেতন দেয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসেব বলছে, বেসরকারি ব্যাংক থেকে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা যে পরিমাণ ঋণ পাচ্ছে, সরকার ঋণ নিচ্ছে তার চেয়েও বেশি। গত ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারের কাছে ব্যাংকের পাওনা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সরকারের কাছে পাবে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাবে ৪১ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের পহেলা জুলাই থেকে গত ১৭ ডিসেম্বর সাড়ে ৫ মাসে সরকার ব্যাংক খাত থেকে টাকা ধার নিয়েছে ৪৪ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য হলো ব্যাংক থেকে সরকারের এতো বিপুল পরিমান ঋণ এবং ধারদেনা ব্যাংক সেক্টরের জন্য অশনি সংকেত। একই সঙ্গে ব্যাক্তিমালিকানাধীন শিল্পের বিকাশ ও নতুন নতুন বিনিয়োগে বড় বাধা।
পৌষের কনকনে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে প্রকৃতির বৃষ্টি-বাদলা আচরণে কাবু গরীব মানুষ। রাজধানীসহ সারা দেশেই শীতের দুর্ভোগ। তাপমাত্র কমলে কষ্ট আরও বাড়বে শিশু, বৃদ্ধ, ছিন্নম‚ল ও খেটে খাওয়া মানুষের। শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন। গত শুক্রবার সকাল থেকেই সারাদেশে ছিল কুয়াশা। দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের দেখাও পাওয়া যায়নি। কোথাও কোথাও বৃষ্টির কারণে হিমেল হাওয়া আরো ঠান্ডা হয়েছে। আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। রাজনীতির দিনের পরিবেশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকবে। শৈত্যপ্রবাহ, বৃষ্টি ও তাপমাত্রা হ্রাসের কারণে শীত বাড়চে। এছাড়া উচ্চচাপ বলয়ের প্রভাব এবং মৌসুমী লঘুচাপ শীতের অনুভ‚তি বাড়িয়ে দিচ্ছে। ১৭ ডিসেম্বর থেকে এ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কুয়াশার প্রকোপ। ভোরে ও সন্ধ্যায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা পড়ছে দেশের অনেক জায়গায়। ঘন কুয়াশার কারণে স্থল ও নৌপথে যান চলাচল ব্যহত হচ্ছে। শীতের কাপড়ের অভাবে যবুথবু হয়ে থাকা মানুষগুলোর কাছে এই উন্নয়নের মহাসড়ক, চোখ ধাধানো মেগা প্রকল্প যেন হয়ে গেছে উপহাস।
আবহাওয়া অফিস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশের উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে যে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আগামী দুই থেকে তিন দিন অব্যাহত থাকবে। সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। তবে আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি কেটে গেলে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়বে। বৃদ্ধি পেতে পারে দিনের তাপমাত্রা। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় হতে পারে হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।
উত্তরাঞ্চলের শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের লক্ষ্যে তহবিল সংগ্রহে রংপুর জেলার ঢাকাস্থ পীরগাছা উপজেলা সমিতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ২৭ ডিসেম্বর। ঢাকার আমিন বাজারে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে পীরগাছার তিস্তার চরাঞ্চল থেকে আসা কয়েকজনের পৌষে দুর্দশাগ্রস্থ মানুষের কষ্টের চিত্র তুলে ধরে বললেন, প্রায় দিন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে দেশের উত্তরাঞ্চল। মানুষ শীতবস্ত্র ক্রয় করতে না পারায় খরকুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা থেকে বাঁচার চেস্টা করছে। বিপন্ন ওই মানুষগুলোর কাছে উন্নয়ন কার্যত অর্থহীন। আর এতো বিশাল প্রবৃদ্ধির অর্থনৈতিক উন্নয়নকে যেন কাদাচ্ছে শীতের প্রকোপ। গ্রামের সাধারণ মানুষের মুখে এমন কথা দেশের নীতি নির্ধারকদের সত্যিই ভাবনার মধ্যে ফেলে দেবে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।