গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
পুলিশ হেফাজতে বিকল্প ধারা বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাহি বি চৌধুরীর ছেলে আরাজের মাতলামির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বুধবার রাত ১০টার দিকে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো এবং পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর সাড়ে ১১টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। মাহির ছেলে দেশের বাইরে পড়াশোনা করেন।
ছেলেকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় পর্যন্ত যেতে হয়েছে মাহি বি চৌধুরীকে। তিনি বারবার ক্ষমা চাইতে বললেও মদ্যপ ছেলে বমি করতে করতে অস্থির হয়ে পড়েন। এসময় তার মুখ থেকে বাংলা ইংরেজি মিশিয়ে অশ্লীল সব গালাগাল শোনা যায়! মদ্যপ অবস্থায় তার মাতলামির একটি ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় তোলেন নেটিজেনরা।
জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বনানী কবরস্থানের দিক থেকে এয়ারপোর্ট রোডে বের হওয়ার সময় একটি সিএনজিকে খয়েরী রং-এর গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-গ ২৮-০৮৩৬) ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দায়িত্ব রত ট্রাফিক সার্জেন্ট আলমগীরের পায়ে আঘাত করে। এ সময় গাড়িটির চালকের আসনে ছিলেন মাহির ছেলে। সার্জেন্ট আরাজ বি চৌধুরীর গাড়ি থেকে বের হতে বললে সে মাতাল অবস্থায় বের হয়ে আলমগীরের শার্টের কলার ধরে টান দেয়। সেইসঙ্গে সার্জেন্ট আলমগীরকে এলোপাথারি কিলঘুষি মারতে থাকে।
মাসুদ আলম নিন্দা জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘কেন পুলিশ ভাইয়েরা কোটে চালান করার সাহস হয় নাই। সাধারণ জনগণ ছেলে হলে তো তার চৌদ্দগুষ্ঠি একসাথ করতে। তোমরা যুগে যুগে এই ভাবে মানুষ রুপি ভিআইপির মার খেতে থাকবে। শুধু তোমাদের কারণে।’’
আবুল বাশার লিখেছেন, ‘‘পুলিশের ক্ষমতা কি শুধু নিরীহ জনগণের সাথে দেখানো, গায়ে হাত তোলার পরও একজন মাতাল কিভাবে ছাড়া পায়?’’
‘‘এদেশের গরিব বাবা-মা ছেলেকে সুশিক্ষা দিতে স্কুল কলেজে ভর্তি করার টাকা থাকেনা। আর এই বাবা দেশের টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশে কুশিক্ষা দিচ্ছে, এমন বাবা-ছেলেকে দুনিয়াতে দরকার নাই’’ ক্ষোভের সাথে লিখেছেন উম্মে সাদিয়া তোন্নি।
ইকবাল হোসাইন লিখেছেন, ‘‘লেজুড়বৃত্তি রাজনীতির ফসল এরা। এসব বেসামাল পোলাপাইনেকে যেখানেই পাওয়া যাবে, সেখানেই.... করে দিতে হবে। কোন ছাড় দেওয়া যাবে না।’’
লুকমান হাকিম লিখেছেন, ‘‘এসব ছেলেরাই কালের আবর্তনে বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে। ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতি করে, মুরুব্বীদের সাথে বেয়াদবি করে। পৈত্রিক সম্পদ ও ক্ষমতার কারণে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়।’’
‘‘এটাই আইন বড় লোকের জন্য সবসময় সুযোগ-সুবিধা আছে অসহায় রাজপথে যারা থাকে তাদের জন্য কোন সুযোগ সুবিধা নেই। মিথ্যা মামলায় তারা জেল খাটছে। আর যারা সত্য মামলার আসামি তারা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে, এটাই নীতি বাংলাদেশের’’ কামালের মন্তব্য।
বিপুল মিয়াহ লিখেছেন, ‘‘মদ্যপান অবস্থায় গাড়ি চালালো পুলিশকে পিটালো অথচ মামলা হলো না জেল হলোনা, এইটা আবার কেমন আইন। তার মানে আইন শুধু ভিন্ন মতাবলম্বী মানুষের জন্য.!’’
ফারুক সরকার রানার মন্তব্য, ‘‘যে নিজের সন্তান মানুষ করতে পারেনা সে নাকি ‘প্লান B’ দিয়ে দেশের উন্নয়ন করবে হাইস্যকর! বড়ই হাইস্যকর!! অনেক অনেক অনেক হাইস্যকর!!!’’
‘‘বাপ-ছেলেকে একসাথে এরেস্ট করে জেল দেওয়া হউক না হয় পুলিশের সাথে সবাই এমন আচরণ করবে’’ লিখেছেন তানভীর আহমেদ।
জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বনানী কবরস্থানের দিক থেকে এয়ারপোর্ট রোডে বের হওয়ার সময় একটি সিএনজিকে খয়েরী রং-এর গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-গ ২৮-০৮৩৬) ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দায়িত্ব রত ট্রাফিক সার্জেন্ট আলমগীরের পায়ে আঘাত করে। এ সময় গাড়িটির চালকে আসনে ছিলেন মাহির ছেলে। সার্জেন্ট আরাজ বি চৌধুরীর গাড়ি থেকে বের হতে বললে সে মাতাল অবস্থায় বের হয়ে আলমগীরের শার্টের কলার ধরে টান দেয়। সেইসঙ্গে সার্জেন্ট আলমগীরকে এলোপাথারি কিলঘুষি মারতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে ট্রাফিক পুলিশের অন্য সদস্যরা বনানী থানার কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করেন।
কিছু সময় পর থানা থেকে একটি পুলিশের ভ্যান এসে মাহির ছেলে ও তার সাথে থাকা বন্ধুকে আটক করে বনানী থানায় নিয়ে যায়। তাদের সেই গাড়িটিও নেওয়া হয় থানায়। এক পর্যায়ে খবর পেয়ে থানায় আসেন স্বয়ং মাহি বি চৌধুরী। এর মাঝেই হাসতে হাসতে থানার ডিউটি অফিসারের সামনেই হড় হড় করে বমি করে দেয়। মাহি বি চৌধুরী থানার ওসিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, তার ছেলে ভুল করে ফেলেছে এ জন্য তিনি ক্ষমা প্রার্থী। এর পরে থানার ওসি সার্জেন্ট আলমগীরকে ডেকে নেন। এর পর মাহি তার কাছে ক্ষমা চান। এরপর ওসির কথায় লিখিতভাবে সেই সার্জেন্ট ক্ষমা প্রদান করেন।
নাটকের এই পর্যায়ে ছেলেকে সেই সার্জেন্টের কাছে মাফ চাইতে বলেন মাহি। কিন্তু কে শোনে কার কথা! ক্ষমা চাওয়ার বদলে উল্টো বাংলা-ইংরেজি মিশিয়ে অশ্লীল গালাগাল শুরু করেন বি চৌধুরীর ছেলে। গালাগাল করতে করতেই ওসির কক্ষ থেকে বের হয়ে আবারও বমি করতে থাকেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।