পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
হোসেন মাহমুদ নেই, ভাবতে পারছি না। এই তো ক’দিন আগেও ছিলেন, এখন নেই হয়ে গেছেন। গত ২১ ডিসেম্বর শনিবার তিনি এমন এক জগতে পাড়ি জমিয়েছেন, যেখান থেকে কেউ ফিরে আসেন না। হোসেন মাহমুদ দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। চলৎশক্তিরহিত হয়ে পড়েছিলেন। প্রায় সর্বক্ষণ শয্যাশায়ী থাকতেন। একটা অস্বাভাবিক ও অসম্ভব কষ্টের মধ্যে তার দিন-রাত্রি, ক্ষণ-মুহূর্ত অতিবাহিত হতো। এটা অনেকেই জানতেন না। তার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বহুদিন ধরেই ছিল না। তবে মাঝে-মধ্যে টেলিফোনে কথা হতো। কখনো তিনি ফোন করতেন, কখনো আমি। যখনই কথা হতো, তখন ‘ভাই’ ডাকটি আগে কানে আসতো; তারপর সালাম। এই ভাই ডাকে যে কী আন্তরিকতা, কী ভালোবাসা ঝরে পড়তো, তা বর্ণনা করতে পারবো না। তার সঙ্গে পরিচয় অনেক দিনের। কবে, কোথায় প্রথম দেখা হয়েছিল মনে নেই। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনে কাজ করতেন। প্রকাশনা বিভাগের কর্মকর্তা ছিলেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত শিশু-কিশোরদের পত্রিকা ‘মাসিক সবুজ পাতা’র সম্পাদনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন অনেক দিন। সেখানে বহুবার বহু উপলক্ষে দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত তার লিখিত ও সম্পাদিত গ্রন্থাদির বেশ কয়েকটির কপি তিনি আমাকে উপহার দিয়েছেন। এরপর দৈনিক ইনকিলাবে তিনি তো আমার সহকর্মীই ছিলেন। আমি শুরু থেকেই সম্পাদকীয় বিভাগে, আর তিনি ছিলেন বার্তা বিভাগে। ২০১৩ সালের শেষদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে তিনি পঙ্গু হয়ে পড়েন। সে সময় অর্থাভাবে তার চিকিৎসাও ব্যহত হয়। অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, তার এই দুঃসময়ে আফিসে অনুপস্থিতির অজুহাতে তাকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রথমে সাময়িক বরখাস্ত এবং পরে চাকরিচ্যুত করা হয়। সেটা ২০১৫ সালের কথা। তারপর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সে চাকরি আর ফেরৎ পাননি।
দৈনিক ইনকিলাবের সঙ্গে তার সম্পর্ক মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। তার আন্তর্জাতিক বিষয়াদীর ওপর লিখিত নিবন্ধ, রিপোর্ট ও ভাষ্যের অনুবাদ, উপসম্পাদকীয়, নিবন্ধ, পর্যালোচনা, গল্প, অনুবাদগল্প ইত্যাদি ইনকিলাবে নিয়মিত প্রকাশিত হতো। তিনি সব্যসাচী লেখক ছিলেন। ছড়া, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, কিশোরগল্প ইত্যাদি তার বিশেষ চর্চিত বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইনকিলাবসহ ঢাকার বিভিন্ন দৈনিক ও সাময়িকীতে তার প্রকাশিত লেখার প্রাচুর্য দেখে মনেই হতো না, তিনি অসুস্থ ও পঙ্গু অবস্থায় শয্যাশায়ী। গল্প, নিবন্ধ, উপসম্পাদকীয় চেয়ে তার কাছ থেকে পাওয়া যায়নি, এমন ঘটনা ঘটেনি বললেই চলে। চাইলেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লেখা হাজির। কখনো কখনো খোদ গরজি হয়েই তিনি লেখা পাঠিয়ে দিতেন। এমন নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ ও নিয়মানুবর্তিতা কী করে সম্ভব, ভেবে অবাক না হয়ে পারতাম না। আমাদের সম্পাদক মহোদয় সেদিন বলছিলেন, ‘লেখালেখির বিষয় নিয়ে হোসেন মাহমুদের সঙ্গে প্রায়ই কথাবার্তা হতো। অনেক সময় বিষয় নির্ধারণ করে দিতাম, তিনি যত দ্রুত সম্ভব সেই বিষয়ের উপর লেখা পাঠিয়ে দিতেন। কখনো কখনো কথাবার্তায় বিলম্ব হলে তিনি টেলিফোন করে অনুযোগ করতেন, আমি কেন তাকে বিষয় নির্ধারণ করে দেই না। কাজের ব্যাপারে তার মতো এমন সিনসিয়র, দায়িত্বশীল খুব কমই পাওয়া যায়।’
এই হলো সাংবাদিক, গবেষক, লেখক ও কবি হোসেন মাহমুদ। যতদূর জানা যায়, এ পর্যন্ত তার ২৪টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে, যার মধ্যে সৃজনশীল লেখা যেমন আছে, তেমনি আছে গবেষণাধর্মী লেখা। তার অপ্রকাশিত গ্রন্থের পান্ডুলিপির সংখ্যা অন্তত ১৫টি, যার মধ্যে অনুবাদগল্প ও কবিতা, ছাড়াও রয়েছে শিশু-কিশোরদের অনুবাদগল্প ও উপন্যাস, উপন্যাস ও কবিতা ইত্যাদি। ৬৪ বছরের জীবনে নানা সমস্যা এবং দীর্ঘকাল শয্যাশায়ী থাকার পরও এত লেখালেখির কাজ তিনি কীভাবে করেছেন, সেটা একটা পরম বিস্ময়। দৈহিকভাবে পঙ্গুত্ব এবং নানা রোগব্যাধির শিকার হয়েও তিনি তার সৃষ্টিশীল কাজ থেকে এতটুকু বিরত হননি, নিরস্ত হননি। তার মানসিক বল ছিল প্রচ-। বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে ল্যাপটপ বুকের ওপর রেখে কীভাবে যে তিনি একের পর এক বিভিন্ন বিষয়ের ওপর লিখে গেছেন, তা ভাবতেও অবাক হয়ে যেতে হয়। হোসেন মাহমুদ ছিলেন হার না মানা মানুষ। তিনি দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন আমাদের জন্য। তার জীবন থেকে সহজেই আমরা হতে পারি অনুপ্রাণীত।
হোসেন মাহমুদের মতো সজ্জন, অমায়িক, সদালাপী ও মৃদুভাষী মানুষ আমাদের সমাজে কমই পাওয়া যায়। সেদিন মওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী কথা প্রসঙ্গে বলছিলেন, ‘হোসেন মাহমুদ সাহেব অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন, সৎ মানুষ ছিলেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে নানা অনিয়ম নিয়ে তার বিতৃষ্ণা ও ক্ষোভ ছিল। এটা সম্ভবতঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের অজানা ছিল না। তার অমানবিকভাবে চাকরিচুত্যির পিছনে এও একটা কারণ হতে পারে।’ মওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভীও বললেন, ‘তার মতো বিনয়ী ও মিষ্টিভাষী মানুষ বিরল।’ তার সততা প্রশ্নাতীত। অনৈতিক উপায়ে অর্থ লাভের কোনো চেষ্টা তিনি কখনোই করেননি। অর্থাভাবে তার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে। তারপরও তিনি কারো কাছে হাত পাতার চিন্তা করেননি। তার আত্মর্যাদাবোধ ছিল অত্যন্ত প্রখর। তার সঙ্গে অনেক বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে, মতবিনিময় হয়েছে কিন্তু কখনো তিনি ব্যক্তিগত অসুস্থতা ও পারিবারিক দুঃখ-দৈন্যের কথা ঘুণাক্ষরেও উল্লেখ করেননি। তার কণ্ঠস্বর ছিল স্পষ্ট, সতেজ, আবেগপূর্ণ ও সহৃদয়। নিজের কষ্ট-দুঃখ, পারিবারিক অভাব-অনটনকে তিনি প্রকাশ না করে এড়িয়ে গিয়ে আত্মমর্যাদাবোধের এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, যা আজকাল কমই খুঁজে পাওয়া যায়।
হোসেন মাহমুদের জগৎ ছিল মূলতই লেখালেখির বা সৃজনশীলতার। এর বাইরে তিনি যেতে চাননি। তাই বলে তিনি যে সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, ইতিহাস, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিমুখ ছিলেন তা কিন্তু নয়। এসব বিষয়ে তার প্রবল আগ্রহ ছিল এবং নিজস্ব চিন্তাভাবনাও ছিলো। বাঙালি মুসলমানের ইতিহাস-ঐতিহ্যের উত্থান, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক সয়ম্ভরতা, সংস্কৃতিক বিকাশ ইত্যাদি তার একান্ত আকাক্সক্ষার বিষয় ছিল। সাহিত্যের প্রতি গভীর আগ্রহ এবং এই জীবনবোধ তিনি লাভ করেছিলেন উত্তরাধিকার সূত্রে। তার মাতামহ ছিলেন জাতীয় জাগরণ ও আত্মপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অগ্রপথিক সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী। তিনি ছিলেন প্রথম মুসলমান কবি, যিনি কবিতার কারণে ব্রিটিশ শাসকদের বিচারে কারাদ-ে দ-িত হয়েছিলেন। যে কাব্যগ্রন্থটির জন্য তার দু’ বছরের কারাদ- হয়, তার নাম ‘অনলপ্রবাহ’। অনেকেই জানেন, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার তথাকথিত ঐতিহাসিক উপন্যাসসমূহে মুসলমানদের হেয় প্রতিপন্ন করেন। তার এ ধরনের একটি উপন্যাসের নাম ‘দুর্গেশনন্দিনী’। এর জবাবে ইতিহাসকে কোনোরূপ বিকৃত না করে সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী রচনা করেন ‘রায়ন্দিনী’। ইসমাইল হোসেন সিরাজী সাহিত্য চর্চায় মুসলমানদের প্রতিষ্ঠায় মনে প্রাণে কামনা করতেন। তিনি অনুজ সাহিত্যসেবীদের সহযোগিতা করতেন, অনুপ্রাণিত করতেন। তিনি কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবি প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে ১০ টাকা পাঠিয়েছিলেন মানিওর্ডার করে। বলেছিলেন, যদি ১০ হাজার টাকা থাকতো তাহলে তাই পাঠিয়ে দিতেন। বলা হয়, তখন এমন কোনো মুসলামান কবি-সাহিত্যিক ছিলেন না, যিনি ইসলামইল হোসেন সিরাজীর পৃষ্ঠপোষকতা ও সাহায্য-সহযোগিতা না পেয়েছেন। তিনি একদা সৈনিকও ছিলেন এবং তুরস্কে গিয়ে বলকান যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তিনিই প্রথম সৈনিক কবি। তার সম্পর্কে আরো অনেক কথাই বলা যায়। তবে সেটা সঙ্গতকারণেই আর প্রাসঙ্গিক হবে না। ইসমাইল হোসেন সিরাজী সম্পর্কে এতটুকু উল্লেখ একারণে যে, তার রক্তধারা প্রবাহিত ছিল হোসেন মাহমুদের দেহে। সুতরাং হোসেন মাহমুদ কেমন ছিলেন বা হতে পারেন, তা সহজেই আন্দাজ-অনুমান করা নেয়া যায়। হোসেন মাহমুদ তার মাতামহের মতোই ছিলেন কবি-সাহিত্যিক-প-িত এবং তার মতই স্বাধীন মনোভাবসম্পন্ন ও আত্মমর্যাদাবান ব্যক্তি।
তার পরলোকগমনকে পরিণত বয়সের বলা যায় না। তারপরও এটা মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। যতই বলি, ‘যেতে নাহি দিব’। তবু ‘যেতে দিতে হয়’। তার মৃত্যুতে আমাদের সাহিত্য-সাংবাদিকতার অঙ্গনে যে ক্ষতি হলো তা সহসা পূরণ হওয়ার নয়। প্রতিভায় তিনি যত বড় ছিলেন, মানুষ হিসেবে তার চেয়ে কম বড় ছিলেন না। সুতরাং বলতেই হবে, আমরা একজন পরিশুদ্ধ, নিপাট ভালো মানুষকেও হারিয়েছি।
হোসেন মাহমুদ মৃত্যুকালে তার স্ত্রী এবং এক পুত্র ও এক কন্যা রেখে গেছেন। তিনি যে বহুদিন আর্থিক সঙ্গতির মধ্যে ছিলেন না, সেটা তার চিকিৎসার অপারগতা থেকেই বুঝা যায়। বলার অপেক্ষা রাখে না, তার ছোট্ট সংসারটি নিয়ে তিনি অত্যন্ত দুঃশ্চিন্তায় ছিলেন, যদিও সে কথা তিনি কারো কাছে বলতেন না। ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে চাকরিচ্যুতির পর পাওনাকড়ি পেয়েছেন বলে মনে হয় না। এক খবরে জানা গেছে, হোসেন মাহমুদ তার প্রতি বেআইনী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিকার ও ন্যায়বিচার চেয়ে ২০১৫ সালের ১৪ জুন তৎকালীন ধর্মমন্ত্রী ও বোর্ড অব গভর্নরসের চেয়ারম্যানের কাছে আপিল করেন। চলতি বছর ৯ মে বোর্ড অব গভর্নরসের এক সভায় তার চাকরিচ্যুতির বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখার জন্য বোর্ড সদস্য এবং বোর্ডের শৃঙ্খলা ও আপিল কমিটির প্রধান সাবেক সচিব সিরাজউদ্দিন আহমেদকে দায়িত্ব দেয়া হয়। গত ১২ জুন সিরাজউদ্দিন আহমদ তার প্রতিবেদনে এ চাকরিচ্যুতিকে বেআইনী, নীতি বহির্ভূত এবং অন্যায় হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি হোসেন মাহমুদের সমুদয় দেনা-পাওনা পরিশোধ করে সম্মানে চাকরিতে পুনর্বহালের সুপারিশ করেন।
বলা বাহুল্য, যদি তাকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত না করা হতো, তাহলে হয়তো তার চিকিৎসা হতো এবং তার পারিবারকে এতটা আর্থিক অনটনের মধ্যে দিন কাটাতে হতো না। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস যে, শেষ পর্যন্ত তিনি প্রতিকার পেলেন বটে, তবে সেটির চূড়ান্ত অবস্থাটা দেখে যেতে পারলেন না। খবরে আরো জানা গেছে, গত ১০ ডিসেম্বর ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ হোসেন মাহমুদকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে তার সমুদয় পাওনা পরিশোধ করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নূরুল ইসলামকে নির্দেশ দেন। অবশ্য এই নির্দেশ এখনো কার্যকর হয়নি। ধর্ম প্রতিমন্ত্রীকে আমরা আনুরোধ জানাবো, তিনি যেন বিষয়টি বিশেষভাবে আমলে নেন এবং অবিলম্বে নির্দেশটির প্রতিপালন নিশ্চিত করেন। হোসেন মাহমুদ ইসলামিক ফাউন্ডেশনে যে পাওনা পাবেন সেটা তার ব্যক্তিগত কোনো কাজে আসবে না বটে, তবে তা তার পরিবারের এই দুঃসময়ে কাজে লাগতে পারে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর বরাবরে আরো একটি অনুরোধ, কারা সেদিন হোসেন মাহমুদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছিলেন, কারা তাকে চাকরিচ্যুত করেছিলেন, তার প্রতিকার সম্পর্কিত আবেদন কারা দীর্ঘদিন ঝুলিয়ে রেখেছিলেন, তাদের সবাইকে চিহ্নিত করার উদ্যোগ তিনি যেন গ্রহণ করেন। তাদের বিরুদ্ধে যথাবিধি শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও কাম্য। অবশ্যই আমরা আশা করবো, হোসেন মাহমুদ যে রকম পরিস্থিতির অসহায় শিকার হয়েছেন সে রকম শিকার যেন আর কেউ না হন।
যারা হোসেন মাহমুদকে চিনতেন, তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত যাদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ ও কথাবার্তা হয়েছে, তারা সবাই এক বাক্যে বলেছেন, তিনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন। সম্ভবত এটাই হোসেন মাহমুদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। মহান আল্লাহপাক একে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করে তার আত্মার মাগফিরাত দান করুন, একান্তভাবে এই কামনাই করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।