মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের পন্ডিচেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ২৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ। সমাবর্তনে হিজাব পরে আসায় স্নাতকোত্তরে প্রথম স্থান অর্জন করা শিক্ষার্থী রাবিহা আব্দুরেহিমকে অনুষ্ঠানে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। প্রেসিডেন্ট অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তাকে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়। এসময় তিনি শুধু সার্টিফিকেট নিয়েই বেরিয়ে আসেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে ও ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে তিনি স্বর্ণপদক প্রত্যাখ্যান করেন। এই খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় প্রশংসার বন্যা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কেউ কেউ এটাকে রাষ্ট্রীয় মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ মনে করছেন।
এমডি বুলবুল আহমেদ খান এই ইস্যু তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘প্রিয় বোন তোমার জন্য আমার দোয়া রইল অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে, মহান আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের একটি সুন্নত আঁকড়ে ধরার জন্য মহান আল্লাহ তা’লার কাছে দোয়া করি তোমার জন্য। আল্লাহ যেন তোমাকে নেক হায়াত দান করেন, আমিন।’
‘তোমার প্রতি হাজার সালাম বোন। দুনিয়ার তুচ্ছ স্বর্ণপদক ত্যাগ করায় হাজার মানুষের যে সালাম আর দোয়া অর্জন করেছো, সেটা কিন্তু মোটেই তুচ্ছ নয়।’ - এমডি মুহিবুর রহমানের মন্তব্য।
এএইচএম শরীফুল ইসলামের প্রশ্ন, ‘মানুষের ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চায়, তাও আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ! এগুলো কি আসলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ নাকি হিংসাত্মক তৎপরতা বিস্তৃত করছে এরা?’
‘ভারতে এখন রাষ্ট্রীয় মদদে পদে পদে নিগৃহের স্বীকার হচ্ছেন মুসলিমরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে বর্ণবৈষম্য। এটা তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ। ভারতের মুসলমানদের কপালে কি আছে, তা একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।’ - উদ্বেগ প্রকাশ করে লিখেন নাসির উদ্দিন।
বিস্ময় প্রকাশ করে ইমরান হোসাইন লিখেন, ‘যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে, সেখানেই তাকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এটা কি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষের কাজ হতে পারে?’
নীল নির্ঝরের আহ্বান, ‘সিএএ এবং এনআরসি বিরুদ্ধে সকল ভারতবাসীর ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার। কারণ এটা ভারতের অখন্ডতাকে ধ্বংস করবে। এর প্রতিবাদে স্বর্ণপদক প্রত্যাখ্যান করায় রাবিহাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
‘সাব্বাস বোন! তুমি মুসলমানদের গর্ব৷ উগ্রবাদীদের ঘৃণা জানাই৷ আল্লাহ তোমাকে অনেক বড় প্রতিদান দিবে৷ ইনশাআল্লাহ।’ - লিখেছেন ওয়াহিদুর রহমান।
শিক্ষার্থী রাবিহা আব্দুরেহিমের ছবি শেয়ার করে তাসনিম আহমেদ লিখেন, ‘আল্লাহ যাহাকে বড় করতে চান, তাহাকে এমনিভাবেই মর্যাদা বাড়িয়ে দেন, যেমন স্বর্ণপদকের চেয়েও বিশ্বজুড়ে প্রতিটি মানুষ আপনাকে মর্যাদার সাথে সম্মান জানাচ্ছে। আমার মনে হয় স্বর্ণপদক পাইলেও বিশ্বজুড়ে এত মানুষ আপনাকে জানিত না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।