নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশের বিপক্ষে নির্ধারিত টেস্ট খেলতে আগেই অপারগতা জানিয়েছে আয়ারল্যান্ড। কারণ হিসেবে তারা দেখিয়েছে আর্থিক অবস্থার অসঙ্গতি। এর পরিবর্তে দেশটি বাংলাদেশের বিপক্ষে আগামী বছর খেলতে চায় বাড়তি টি-টোয়েন্টি। আইরিশ ক্রিকেট বোর্ড শেষ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে একই সঙ্গে তারা নিরপেক্ষ ভেন্যুতে এই সিরিজ আয়োজনে ইচ্ছুক বলেও জানিয়েছে। সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে উঠে এসেছে ইংল্যান্ডের নাম। নিজেদের মাঠ সল্পতাই এর মূল কারণ বলে জানিয়েছে আইরিশ বোর্ড।
আয়ারল্যান্ডের মূল ভেন্যুগুলোর একটি, ক্লনটার্ফ ক্রিকেট ক্লাব মাঠে বড় ধরনের সংস্কার কাজ চলছে বলেই মূলত বিপাকে পড়েছে বোর্ড। আগামী মৌসুম হতে যাচ্ছে আইরিশদের ঘরোয়া গ্রীষ্মের ইতিহাসে অন্যতম ব্যস্ত মৌসুম। বাংলাদেশ ছাড়াও সফরে যাবে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। এমন ব্যস্ত মৌসুমে একটি মাঠ কমে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে সঙ্কট।
আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচীতে থাকা বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচটি আর্থিক সঙ্কটের কারণে বাতিল করেছে আয়ারল্যান্ড। টেস্ট ম্যাচের জায়গায় বাড়ানো হয়েছে টি-টোয়েন্টি। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ রূপ নিয়ে চার ম্যাচের সিরিজে। সেই সিরিজের ভেন্যুই খুঁজছে বোর্ড। ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন ডিউট্রম জানিয়েছেন, ‘ইংল্যান্ডের মতো নিরপেক্ষ কোনো ভেন্যুতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজনের সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখছে তারা।’
এর ফলে আইসিসির বেঁধে দেওয়া শর্ত অনুসারে পিচের প্রত্যাশিত মান ধরে রাখাটিও বড় চ্যালেঞ্জ তাদের জন্য। তাই বেশ কিছু ম্যাচ তারা ঘরের বাইরে আয়োজনে করতে চাইছে। ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে চারটি টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হতে পারে আয়ারল্যান্ডের বাইরে। ডিউট্রম জানালেন তাদের সেই পরিকল্পনা, ‘এই মুহূর্তে আমরা ভেন্যুর বিকল্প নিয়ে ভাবছি। যেটা আমাদের সীমিত ওভারের ম্যাচের সূচির সঙ্গে যায়, নতুন পিচও যাতে পাওয়া যায়। আমাদের নিজস্ব ভেন্যু ফিরে পাওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশকে নিরপেক্ষ ভেন্যু ইংল্যান্ডে আতিথ্য দেওয়ার পরিকল্পনা আমাদের।’
টি-টোয়েন্টি সিরিজটিও তারা আয়োজন করতে পারতো ঘরের মাঠে। কিন্তু একটি ভেন্যু কমে যাওয়াতে ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে বাড়তি চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে আয়ারল্যান্ডকে। সেই চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ডিউট্রম জানিয়েছেন, ‘২০২০ সালে ক্লনটার্ফ বড় ধরনের পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ভেন্যুটি হারিয়ে তিনটি মাঠে আমাদের পিচের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১২-তে। এসব মাঠে ১৫টি ম্যাচের ব্যবস্থা করতে হবে।’
আয়ারল্যান্ড ক্রিকেটের এই প্রধান নির্বাহী আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা এই মুহুর্তে আমাদের ভেন্যু অপশনগুলো খতিয়ে দেখছি। আমাদের সীমিত সূচীর সাথে খাপ খাওয়াতে রিপেক্ষ ভেন্যুতে খেলার চিন্তা করছি। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ চলাকালে হয়তো আমরা আমাদের ভেন্যু সক্ষমতায় ফিরে আসতে পারব। ইংল্যান্ড আমাদের জন্য একটি ক্ষণস্থায়ী অপশন। আমরা দ্রুতই নিজেদের ভেন্যুতে খেলা চালাতে আগ্রহী।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের সূচি অবশ্য চূড়ান্ত করে ফেলেছে ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড। আগামী ১৪, ১৬ ও ১৯ মে ম্যাচ তিনটি হবে বেলফাস্টের স্টরমন্টে সিভিল সার্ভিস ক্রিকেট ক্লাব মাঠে। এই মাঠে ২০১০ সালে দুটি ওয়ানডে খেলেছিল বাংলাদেশ, ২০১২ সালে খেলেছিল তিনটি টি-টোয়েন্টি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়েই শুরু হবে আইরিশদের মৌসুম। ওয়ানডের পর হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে আইরিশরা ব্রিডিতে, তিনটি ওয়ানডে বেলফাস্টে। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি হবে মালাহাইডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।