পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সৈয়দপুরে ভারত থেকে আমদানি করা ১০ কার্টনে ২০০ কেজি মহিষের কলিজা মালিকবিহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) সকালে সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে ওই কলিজা উদ্ধার করা হয়। এ সময় সেখান থেকে দুইজনকে আটক করা হলেও সংশ্লিষ্টতা না থাকায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। আর আমদানির স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না মেলায় সে সব ভারতীয় মহিষের কলিজা জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সৈয়দপুরের একটি সিন্ডিকেট বেশ কিছুদিন যাবৎ পার্শ¦বর্তী দেশ ভারত থেকে আমদানি গরু-মহিষের গোশত ও কলিজা গোপনে এনে শহরের বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁয় সরবরাহ করে আসছিল। আর ওই সিন্ডিকেটের কাছ থেকে তা সস্তায় কিনে হোটেল রেস্তোরাঁর মালিকরা সাধারণ গ্রাহকদের মাঝে পরিবেশন করছিল। বেশ কিছুদিন ধরে সিন্ডিকেটের চলে আসা এ কারবারটি সম্প্রতি সৈয়দপুর পৌর ও উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এবং সৈয়দপুর পৌর গোশত ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দের নজরে আসে।
এ অবস্থায় দূর্গন্ধযুক্ত, মানহীন ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এসব ভারতীয় প্যাকেটজাত গরু, মহিষের গোশত, কলিজা বিক্রি বন্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনকে অবহিত করা হয়।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর পৌরসভা গোশত ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে গত ১০ ডিসেম্বর সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করা হয়।
এদিকে, গতকাল (মঙ্গলবার) সৈয়দপুর পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও গোশত ব্যবসায়ী সমিতি নেতৃবৃন্দের কাছে বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে খবর আসে যে ভারতীয় মহিষের কলিজার একটি বড় চালান ঢাকা থেকে নৈশকোচযোগে সৈয়দপুরে আসছে। এ খবর পেয়ে সৈয়দপুর পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. আলতাফ হোসেন এবং পৌর গোশত ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. নদিম কোরাইশী ওরফে ছোকটা তাঁর সমিতির লোকজন নিয়ে সকাল ৮টা থেকে ষৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় অবস্থান নেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মিথিলা এক্সপ্রেস নামের একটি দূরপাল্লার নৈশকোচের লকার থেকে বেশ কয়েকটি প্লাষ্টিকের বস্তা নামাতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। পরে সৈয়দপুর পৌর স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. আলতাফ হোসেন সরকারের নেতৃত্বে ওই সব বস্তা খুলে দেখা যায় কার্টনের মধ্যে কলিজা রয়েছে। আর এ কার্টনের প্যাকেটে হিমায়িত হাঁড় ছাড়া মহিষের গোশত এবং উৎপাদক ও রপ্তানিকারক হিসেবে নাম লেখা রয়েছে অলানা সন্স প্রাইভেট লি., অলানা হাউজ, অলানা রোড, কোলাবা, মুম্বাই, ভারত। আর কার্টনের গায়ে বাংলাদেশী আমদানিকারক ও বাজারজাতকারি হিসেবে এস আর পি ট্রেডিং, পুরানা পল্টন, ঢাকা এবং ব্যবহারকারি হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। ১০ কার্টনে ১০ কেজি করে ওজনের উদ্ধার হওয়া এ সব কলিজার পরিমাণ ২০০ কেজি। মালিকবিহীন এসব উদ্ধার কলিজা সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে গর্ত করে মাটি চাপা দিয়ে ধ্বংস করা হয়।
এ সময় সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রাশেদুল হক, উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. অহিদুল হক, পৌরসভা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. আলতাফ হোসেন সরকারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাসিম আহমেদ বলেন, এ সব কলিজার ব্যাপারে আমি আগেই গোশত ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমি এসব কলিজা না আনার জন্য এখানকার ব্যবসায়ীদের বলেছি। কারণ এসব ভারত থেকে আমদানি হলে পরে যথাযথ সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া এসব গোশত কিংবা কলিজা আমদানি বিষয়ে আমি এখন পর্যন্ত সরকারি কোন নির্দেশ পাইনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।