মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রায় ২০০ বছর ধরে এল গরদো বিশ্বের সবচেয়ে দামি ও অভিজাত লটারির মর্যাদা পেয়ে আসছে। মূলত প্রথম পুরস্কারকে এল গরদো বলা হয়। স্পেনের এই লটারী পুরো ইউরোপবাসীর বহুল কাক্সিক্ষত একটি জিনিস। এর রয়েছে আকাশছোঁয়া প্রাইজমানি। এ বছর প্রাইজমানি হিসেবে রয়েছে ২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ইউরো। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা! সবচেয়ে সৌভাগ্যবানরা পেয়েছেন ২৬৫৯০ নম্বরটি। তাদের দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ইউরো করে। বাংলা টাকায় যা ৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকারও বেশি।
প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও ২২ ডিসেম্বর এ লটারির ড্র হয়েছে। গতকাল রোববার মাদ্রিদের সান ইল্ডেফোনসো স্কুলের বাচ্চারা মাদ্রিদের অপেরা হাউজে ড্রতে পুরস্কারগুলো ডেকেছিল। ভাগ্যবান সংখ্যাটি জাতীয় টেলিভিশনে সরাসরি ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্পেনের এল গরদো ক্রিসমাস লটারির বিজয়ীরা উৎসব মেতে উঠেছে।
এবছর প্রথম পুরস্কার বিজয়ী নম্বরটি তারাগোনা প্রদেশের সালাউ পৌরসভার লটারি অফিসগুলো থেকে বিক্রি হয়েছে, পাশাপাশি এর পরের নম্বরটি মাদ্রিদের বিখ্যাত দোআ মনোলিতা লটারির দোকান থেকে বিক্রি হয়েছে।
নিয়মানুযায়ী ভাগ্যবান লটারি বিজেতার নাম ঘোষণার পরপরই ছুটে যান ওইসব দোকান বা ক্লাবে, যেখান থেকে টিকিট কেনা হয়। সেই দোকান বা ক্লাব ঘিরেই চলে উৎসব। আতশবাজি ও বিয়ার ছিটানোর মধ্য দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে এই উদযাপন।
এল গরদো বিজয়ীকে ওই বছরের জন্য সবচেয়ে ভাগ্যবান মনে করা হয়। খ্রিস্টধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিনকে উপলক্ষ করে এই লটারীর আয়োজন। এল গরদোর ড্রয়ের দিন অনুষ্ঠানস্থলে বিরাজ করে উৎসব। বর্ণিল ও জাঁকজমকতায় পূর্ণতা পায় পুরো গ্যালারি। এ যেন বড়দিনের আগেই আরেকটি বড়দিন।
প্রতি বছরই রাজধানী মাদ্রিদের রাজকীয় থিয়েটার অপেরা হাউজে লটারির ড্র হয়। বাহারি ও অদ্ভূত রকমের সব পোশাক পরিধান করে হাউজের বাইরে জড়ো হয় লটারি ক্রেতারা। রং মেখে সঙ সেজে শুধু একটি ঘোষণার অপেক্ষায় মগ্ন থাকেন তারা। লটারীর নাম্বার ঘোষণা করার পর রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে এই উৎসব। শ্যামপেইন ছিটিয়ে উৎসবে মেতে উঠে।
লটারির জন্য ১৭০ সেটে বিভক্ত এক লাখ টিকিট বিক্রি করা হয়। প্রতিটি টিকিট ২০০ ইউরোতে বিক্রি হয়। ছোট ছোট সোনালি রঙের বলের গায়ে বিজয়ী নম্বর লেখা থাকে। তারপর বড় একটি পাত্র থেকে দৈবভাবে ওঠানো হয় সেই বল। আলাদা আলাদা ক্যাটাগরিতে নির্ধারিত নম্বর মিলিয়ে বিজয়ীদের বাছাই করা হয়। তারপর ওই নম্বরের সঙ্গে মিলিয়ে নাম ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণার কাজটি করে থাকে স্পেনের স্কুলশিক্ষার্থীরা।
প্রতি বছরই প্রায় ১০ লক্ষাধিক লোক তাদের পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব দেশটির বিভিন্ন ক্লাবে জড়ো হয়। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে ড্রয়ের অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। তিন-চার ঘণ্টাব্যাপী চলে এই প্রচার অনুষ্ঠান। বিভিন্ন ক্লাব বা দোকান থেকে লটারির টিকিট সংগ্রহ করতে হয়।
১৮১২ সাল থেকে এ লটারির প্রচলন। শুরুতে ভ্যালেন্সিয়া শহরে ড্র হলেও, পরে রাজধানী মাদ্রিদে হয়ে আসছে। প্রথম এল গরদো বিজয়ী লটারির নম্বর ছিল ০৩৬০৪। পরবর্তী সময়ে ১৯৫৭ সালে স্পেনে টেলিভিশন চালু হওয়ার পর থেকে অনুষ্ঠানটিপ্রচারের কারণে বিশেষ মর্যাদা ও ভিন্নতা পায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।