বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হকের ওপর আবারও হামলা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতা–কর্মীরা। রোববার দুপুরে ডাকসু ভবনের নিজ কক্ষে নুরুল ওপর এই হামলা চালানো হয়। এতে ভিপি নুর, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ খান, ফারুক হাসানসহ অনেক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। ঘটনার পৌনে এক ঘন্টা পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী নুরুলসহ আহত ছাত্রদের ডাকসু ভবন থেকে উদ্ধার করে সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এই ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নেটিজেনরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল এই ঘটনার খবর শেয়ার করে তার ফেইসবুক পেইজে লিখেন, ‘‘একপর্যায়ে নুরুল সনজীতকে বলেন, ‘আপনি তো ডাকসুর কেউ না। আপনি কেন এখানে এসেছেন।’ সনজীত তখন বলেন, ‘আমি কে, তা কিছুক্ষণ পরেই বুঝবি।’ এ বর্বরতার শেষ কোথায়!’’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রুশাদ ফরিদী ঘটনার ছবি শেয়ার করে লিখেন, ‘শিক্ষকতা ছেড়ে দেয়ার সময় হয়েছে। চোখের সামনে ডাকসু ভিপি নুরু আর অন্যান্য ছাত্রদের মেরে শেষ করে ফেলা হল। কিছুই করতে পারলাম না। নিজেদের ছাত্রদের রক্ষা করতে পারি না এই শিক্ষকতার কি দাম আছে? ডাকসু অফিসের দোতলায় উঠে দেখি কেউ কেউ পানি পানি বলে চিতকার করছে। কেউ অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। ওরা দরজা বন্ধ করে বসেছিল। বার বার আশ্বাস দেয়ার পরেও ভয়ে দরজা খুলছে না। বলছিল, লাইট নিভিয়ে দিয়ে লোহার রড দিয়ে এলো পাথারি মারা হয়েছে। কয়েক বোতল পানি শুধু এগিয়ে দিতে পারলাম। এইটা একটা বিশ্ববিদ্যালয়? আর আমিও একজন শিক্ষক? ছিঃ ছিঃ ছিঃ’
‘আজকে সত্যের জন্য যারা লড়াই করতেছে, তাদের বিপদের সময় সবার কাছে অনুরোধ রইলো, তাদের পাশে দাঁড়ান। কারণ আজ যারা লড়েতেছে, তাদের পাশে যদি আপনারা না দাঁড়ান, হয়তো ন্যায় বিচ্যার হতে এক দিন আপনারাও বঞ্চিত হতে পারেন, সে দিন কাউকে খুঁজে পাবেন না।’ - আশরাফুল ইসলামের মন্তব্য।
ঢাবি শিক্ষার্থী আরিফ চৌধুরী শুভ লিখেন, ‘ডাকসু ভাংচুর চলছে, অবরুদ্ধ ভিপি নুর, কথিত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলার ভয়াবহ (ভিডিও) চিত্র। ঘুমন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জ্বি, এটাই আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। জানি কেউ এগিয়ে আসবে না, কারণ সবার পকেটে স্বার্থ আর রাজনীতি আছে, দেশ আছে কতজনের চোখে... বেঁচে থাকলে দেখা হবে নুর...’
‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ট্যাগ লাগিয়ে যা ইচ্ছা তাই করা যায়?’ - কামরুল হাসানের প্রশ্ন।
এমডি রুহুল আমিন লিখেন, ‘একটা ছেলে কিছু সাধারণ ছাত্রছাত্রী নিয়ে একাই লড়ে যাচ্ছে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে, নীপিড়নের বিরুদ্ধে। না কেউ পাশে দাঁড়াচ্ছে, না কেউ সহযোগিতা করছে। শুধু বসে বসে দেখছে নুরুল হক নুরের কোন কথার বা কাজের পাল্লাটা তাদের দিকে একটু ঝুঁকেছে। সমান সমান থেকে এদিক সেদিক হলেই একদল তার গুষ্ঠি উদ্ধার করে ফেসবুকে, আরেকদল হাত-পা ভেঙ্গে দেয়। শেইম অন ছাত্র রাজনীতি। এমন ...র ছাত্র রাজনীতি লইয়া সাধারণ ছাত্র সমাজই কি করিবে আর দেশেরই বা কি ... যাবে? ছেলেটা বেঁচে থাকুক। এইটুক দোয়া রইল।’
‘ডাকসুতে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের ....রা ভিপির উপরে হামলা করেছে। কিছুই বলার নেই শুধু দেখে যান। আমার ভাবতেই অবাক লাগে যে, আমরা নাকি ৩০ লক্ষ্য শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি। কোথায় আজ সেই স্বাধীনতা, কোথায় সেই ছাত্র সমাজ?’ - বিস্ময় প্রকাশ করে লিখেন নীরা হক।
এমডি জামাল হোসাইন লিখেন, ‘আমরা এই ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের সুষ্ঠ বিচার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কারের দাবি জানাচ্ছি। দলমত নির্বিশেষে সকল ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের অতি দ্রুত ওনাদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।