Inqilab Logo

শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নুরের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ঢাবি শিক্ষকদের প্রতিবাদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৮:১০ পিএম

ডাকসু ভবনে ঢুকে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর ও ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীদের উপর সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের শিক্ষকরা। রোববার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনে ডাকসু ভিপির রুমে ঢুকে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরসহ তার নেতৃত্বাধীন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীদের উপর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের ন্যাক্কারজনক হামলায় ১৫ জনেরও অধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান সাদা দলের শিক্ষকরা।

এক বিবৃতিতে শিক্ষকরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় গণতন্ত্রের সুতিকাগার, মুক্তবুদ্ধি চর্চা ও লালনের কেন্দ্র। এখানে ছাত্র-শিক্ষকসহ সকল ছাত্র সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন স্বাধীনভাবে তাদের মত প্রকাশ করবে, কার্যক্রম চালাবে এটাই প্রত্যাশিত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যও তাই। কিন্তু আমরা অত্যন্ত পরিতাপের সাথে লক্ষ্য করছি যে, জাতীয় রাজনীতিতে যেমন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে, তেমনি আমাদের প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিনষ্ট করে একটি কর্তৃত্ববাদী পরিবেশ কায়েম করা হয়েছে। তারা বলেন, সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমর্থক ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং তাদের সমর্থিত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের একক আধিপত্য বজায় রাখার অশুভ মানসিকতা নিয়ে প্রতিনিয়তই ভিন্নমতের রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের ছাত্রদের উপর হামলা ও নির্যাতন চালাচ্ছে। ডাকসু ভিপির রুমে ঢুকে নির্বাচিত ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরসহ তার নেতৃত্বাধীন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীদের উপর আজকের হামলা ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ধারাবাহিক সন্ত্রাসী কর্মকা-েরই বহিঃপ্রকাশ।

সাদা দলের শিক্ষকরা বিবৃতিতে আরও বলেন, ভিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো একটি বিশেষ ছাত্র সংগঠনের নয়, বরং দল-মত নির্বিশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। তাই সকল শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংগঠনের নিরাপত্তা, তাদের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ ও কর্মকা- পরিচালনার পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব। কিন্তু আমরা দুঃখের সাথে লক্ষ করছি যে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছেন না। এমনকি একটি বিশেষ ছাত্রসংগঠনের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক ধরনের পরোক্ষ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বেশ কয়েকবার হামলার ঘটনায় কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আমাদের কাছে তা প্রতীয়মান হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটি পরিবেশ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

তারা এই ন্যাক্কারজনক হামলায় জড়িত ও চিহ্নিত ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। একই সাথে বিশ্ববিদ্যলয়ে যেন সকল দল-মতের শিক্ষার্থী ও সংগঠন নির্বিঘেœ তাদের কর্মকা- পরিচালনা করতে পারে, সে পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্যও কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান।

সাদা দলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলামের স্বাক্ষরে বিবৃতিদাতা শিক্ষকরা হলেন- প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান, প্রফেসর ড. মোঃ মোর্শেদ হাসান খান, প্রফেসর ড. সদরুল আমিন, প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মোঃ আখতার হোসেন খান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, প্রফেসর ড. মো. আবুল কালাম সরকার, এম এ কাউসার, প্রফেসর ড. মো. শফিকুর রহমান, ড. মো. শহীদুল ইসলাম, ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, ড. মো. শহিদুল ইসলাম, মো. আল আমিন, ড. এ এস এম আমানুল্লাহ, ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, ড. মামুন আহমেদ, ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, ড. এটিএম জাফরুল আজম, ড. এসএম মোস্তফা আল-মামুন, ড. শেখ মনির উদ্দিন, ড. মোঃ মহিউদ্দিন, ড. মোঃ গোলাম রব্বানী, ড. মো: আবদুর রশীদ, ড. মোঃ হাসান উজ্জামান, মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস, মুক্তার আলি, ড. মো. নুরুল আমিন, ইসরাফিল প্রামাণিক, ড. মোঃ মেহেদী মাসুদ, ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, মো. মাহফুজুল হক, ড. লায়লা নূর ইসলাম, ড. কামরুজ্জামান, ড. মোঃ এমরান কাইয়ুম, ড. হায়দার আলী, ড. মো. এনামুল হক, ড. দিলীপ কুমার বড়ূয়া, ড. মো. মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া, ড. মো. আসলাম হোসেন, রাশীদ মাহমুদ, আ কা ফিরোজ আহমদ, ড. মোঃ নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ সফিউল্ল্যাহ, ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, ড. বোরহান উদ্দীন খান, মো. মাহ্ফুজুল ইসলাম, তাহমিনা আখতার, ড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ড. শেখ নজরুল ইসলাম, ড. মোঃ আতাউর রহমান মিয়াজী, মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম, ড. ছিদ্দিকুর রহমান নিজামী, আহমেদ জামাল আনোয়ার, এএসএম মহিউদ্দিন, এবিএম শহিদুল ইসলাম, ড. সৈয়দ আলী আহসান, ড. নেভিন ফরিদা, ড. মোবাশ্বের মোনেম, ড. মুসলেহ উদ্দিন তারেক, মোঃ মাজহারুল আনোয়ার, ড. মোঃ আবদুর রব, ড. মোঃ আবদুল কাইয়ুম, ড. মোঃ আবুল বাসার, কাওসার হোসেন টগর, ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, ড. মোঃ আনিছুর রহমান খান, ড. মোঃ কামরুল এহসান, ড. মোঃ সায়েদুল ইসলাম, ড. খোন্দকার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, ড. আমিনুল ইসলাম ভূইয়া, ড. মোঃ খলিলুর রহমান, ড. বাবুনা ফায়েজ, ড. এএম সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী, ড. এএ মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী, শামীম শামছি, ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম, ড. মুস্তাফিজুর রহমান, ড. রাজিয়া বেগম, ড. সাহিদা ইসলাম, ড. ছগীর আহমেদ, ড. জাহিদুল ইসলাম, ড. সিরাজুল হক, ড. মো. শামসুল আলম, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, ড. ইউসুফ ইবনে হোসাইন, ড. মো. মাসুদ আলম, ড. শেখ মো. ইউসুফ, আবদুল আজিজ, ড. মোঃ আনোয়ারুল আজিম আখন্দ, ড. শাহনুর হোসাইন, সাবরিনা শাহনাজ, রেজা আসাদ হুদা অনুপম, ড. মো আজহারুল ইসলাম, ড. মোঃ আব্দুল মজিদ, ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, ড. মোঃ আবদুল করিম, ড. মোঃ আবদুস সালাম, ড. মোঃ আখতারুজ্জামান, ড. মোঃ নাদিরুজ্জামান মন্ডল, ড. মহব্বত আলী, ড. মোঃ খলিলুর রহমান, ড. মোঃ জাকির হোসেন খান, ড. আফরোজ সুলতানা চ্যামন, ড. আবদুস সালাম, ড. আরিফ বিল্লাহ, ড. নাজমুল আহসান, ড. এএইচএম জুলফিকার আলী, ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, ড. মুহাম্মদ মেজবাহ উল ইসলাম, ড. মু: মুছলেহ উদ্দীন, ড. মুহাম্মদ আবদুল লতিফ, ড. মুহাম্মদ ইউসুফ, ড. মুহাম্মদ মুসলেহ উদ্দিন, ড. মুহাম্মদ শামছুল আলম, ড. শাকিল উদ্দিন আহমেদ, ড. মুর্শিদা বেগম, মৌটুসী তানহা, ড. মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, ড. মোহাম্মদ শরীফুর রহমান, ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, মোহাঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ আবুল কায়সার, ড. মোঃ রুহুল আমিন, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ সফিকুল ইসলাম, সেহেলী পারভীন, ড. গোলাম রব্বানী, মোহাম্মদ দাউদ খান, মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ ইলিয়াস, মোহাম্মদ মামুন চৌধুরী, মোহাম্মদ ওমর ফারুক, ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, মোহাম্মদ হাফিজ উদ্দিন ভূইয়া, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ড. মোঃ বেলাল হোসেন, মোঃ মেহেদী হাসান খান, ড. মিরাজ কুবাদ চৌধুরী, ড. শাহ এমরান, ড. সেলিম রেজা, ড. হাফিজউদ্দিন ভূঁইয়া, মোঃ আবদুল কাদির, মোঃ আলমগীর হোসেন, মোঃ আজহারুল ইসলাম, ড. মোঃ তাজুল ইসলাম, ড. মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ নুরুল ইসলাম, ড. মোঃ রবিউল ইসলাম, মোঃ রবিউল হক, মোঃ কুতুব উদ্দিন, ড. কাজী মোস্তাক গাউসুল হক, ড. মোঃ জসিম উদ্দীন, আনম সালাহ উদ্দিন, ড. হাসান তালুকদার, মো. রাশেদুজ্জামান, কাজী মাহবুবুর রহমান, আবদুস সালাম, মোঃ আলমগীর হোসেন সম্রাট, আবু আসাদ চৌধুরী, আমিরুস সালাত, ড. নাজমুজ্জামান ভূইয়া, নুসরাত ফাতেমা, ড. এটিএম মোস্তফা কামাল, মাহবুব কায়সার, ড. মুহাম্মদ রুহুল আমিন, ড. মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, মোঃ নুরুল আমিন, ড. যুবাইর মোহাম্মদ এহসানুল হক, ওমর ফারুক, সাইফুদ্দিন আহমেদ, ড. হাফিজ মুজতবা রিজা আহমাদ, ড. মো. সানাউল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম, ড. মঈনুল ইসলাম, ড. মু আরিফুল হক, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, ড. নকীব মুহাম্মদ নসরুল্লাহ।



 

Show all comments
  • ** হতদরিদ্র দীনমজুর কহে ** ২২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৮:১৬ পিএম says : 0
    হামলা কেন? কি অপরাধ? সাধারন জনগন জানতে চায়।
    Total Reply(0) Reply
  • HOSSAIN ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 0
    Only protest is not effective always. You can start Non-Violence Disobedience Movement in Bangladesh, which Karam Chand Gandhi started before in india, and Martin Luther king jr. Started in the USA
    Total Reply(0) Reply
  • HOSSAIN ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 0
    Only protest is not effective always. You can start Non-Violence Disobedience Movement in Bangladesh, which Karam Chand Gandhi started before in india, and Martin Luther king jr. Started in the USA
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রতিবাদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ