পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হঠাৎ করেই রাজধানীসহ সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। শীতের প্রকোপে শিশু, বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সবাই ঠকঠক কাঁপছে। শীত থেকে রক্ষা পেতে তাই তো সবাই ছুটছেন গরম কাপড়ের সন্ধানে। এতে হঠাৎ বেড়েছে গরম কাপড়ের চাহিদা। তাই বেড়েছে শাল, কম্বল, সোয়েটার, জ্যাকেটসহ সব ধরনের গরম কাপড়ের দাম। গতকাল রাজধানীর মতিঝিল, গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম মসজিদ, শান্তিনগর, খিলগাঁও তালতলা মার্কেট, রামপুরা ও বাড্ডা এলাকার ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, শীত জেঁকে বসায় তিনদিন ধরে শীতের কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। এতে কিছু কিছু কাপড়ের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এরপরও বাড়িত অর্থ খরচ করে সাধ্যের মধ্যে শীতের পোশাক কিনছেন মানুষ। তবে মার্কেট থেকে ফুটপাতের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বেশি।
গুলিস্তানের ব্যবসায়ী মো: সোহেল বলেন, আমরা কম টাকায় শীতের পোশাক বিক্রি করি। এ পোশাকই মার্কেটের দোকানে দ্বিগুণেরও বেশি দামে বিক্রি হয়। আমরা যে কাপড় ৩০০ টাকায় বিক্রি করি তা মার্কেটে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়। শীত বেড়ে যাওয়ার কারণে গত তিনদিন ধরে বিক্রি বেশ বেড়েছে। এর আগে তেমন বিক্রি হয়নি। অথচ সেই সময় আমরা দেড়শ টাকায় বিক্রির জন্য কতো হাঁকডাক দিয়েছি। এখন সেই সোয়েটার ৩০০ টাকা বিক্রি করছি। হাঁকডাক দেয়াও লাগছে না, তারপরও বিক্রি অনেক ভালো।
বায়তুল মোকাররম এলাকায় শীতের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসা আবুল বাসার বলেন, গত সপ্তাহে যে সোয়েটার ১৫০ টাকায় বিক্রি করেছি, এখন তা ৩০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কারণ শীতের পোশাকের চাহিদা বেড়ে গেছে। এতে আমাদেরও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। শীত চলে গেলে দাম কিছুটা কমবে। তবে দুই-এক মাসের মধ্যে দাম কমার সম্ভাবনা খুব একটা নেই।
মৌচাকের পিছনে বসা ব্যবসায়ী সাদেক বলেন, শীত নিবারনে এখন সবাই পোশাক কিনতে ছুটছেন। কিন্তু কয়দিন আগেও ভ্যানে মাল সাজিয়ে রেখেছি, অথচ কেউ কিনতে আসতো না। আর শীত জেঁকে বসায় এখন সেগুলোই বেশি দামে কিনছে।
ফুটপাতের দোকানে ক্রেতারা ভিড় করলেও মার্কেটে সকালের দিকে খুব একটা ভিড় দেখা যায়নি। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খিলগাঁও তলতলা মার্কেটে দেখা যায় ক্রেতারা যেমন নেই, তেমনি বিক্রেতারাও নেই।
বাড্ডা গুদারাঘাট ব্রিজের উপর একটি ভ্যান থেকে শীতের পোশাক কেনা রিকশা চালক শফিক বলেন, কিছুদিন আগেই হাফ হাতা গেঞ্জি গায়ে দিয়ে ঘুরেছি। শীত তো লাগেইনি উল্টো গরম লেগেছে। আর এখন দুইটা গায়ে দিয়েও শীত যায় না। এ কারণে মোটা সোয়েটার কিনতে এসেছি। আমাদের মতো গরিব মানুষের পক্ষে তো মার্কেট থকে কেনা সম্ভব না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।