পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফররত ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর মার্কিন কংগ্রেসের কয়েকজন সিনিয়র সদস্যের সঙ্গে একটি বৈঠক বাতিল করেছেন। ওই বৈঠকে কাশ্মির নিয়ে আলাপ-আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। ‘টু প্লাস টু’ সংলাপে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান জয়শংকর। সফরের অংশ হিসেবে কাশ্মিরের পরিস্থিতি নিয়ে বেশ মার্কিন কংগ্রেসের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে তার বৈঠকে বসার কথা ছিল।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, জয়শংকরের যে বৈঠক বাতিল করা হয় তাতে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল হাউজ ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান এলিয়ট এল. এনজেল, মাইকেল ম্যাককলসহ আরও কয়েকজন। কিন্তু ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি জয়পালের উপস্থিতি নিয়ে ভারতীয় মন্ত্রী আপত্তি জানালে বৈঠকটি শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়। কমিটির চেয়ারম্যান জয়পালকে ছাড়া বৈঠকে বসতে অস্বীকৃতি জানান।
ওই কংগ্রেস নেতার কথা ইঙ্গিত করে জয়শংকর বলেন, ‘তার সঙ্গে বৈঠকের কোনও আগ্রহ আমার নেই। কংগ্রেস নেতার প্রস্তাব সম্পর্কে আমি অবগত। আমি মনে করি না তার প্রস্তাবের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মিরের পরিস্থিতি বা ভারত সরকার যা করছে তা সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। সাংবাদিকরা জয়শংকরের কাছে জানতে চান ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রস্তাবটি তার সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে কি-না। জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা আলোচনার জন্য উন্মুক্ত তাদের সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ আমার রয়েছে। কিন্তু যারা ইতোমধ্যেই নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন তাদের সঙ্গে বৈঠকের কোনও আগ্রহ নেই।’
গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। লাদাখ ও কাশ্মিরকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে বিল পাস হয়। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক সেনাসদস্য। জারি করা হয় বিধিনিষেধ। গ্রেফতার করা হয়েছে শত শত মানুষকে। এরকম প্রেক্ষাপটে ৮ ডিসেম্বর মার্কিন কংগ্রেসের সর্বদলীয় একটি কমিটির একটি প্রস্তাবে কাশ্মিরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নকরণ ও বিধি-নিষেধ আরোপের জন্য নরেন্দ্র মোদির সরকারের সমালোচনা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।