Inqilab Logo

শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

তীব্র শীতে অনেকেই অসুস্থ

ধুলোদূষণের সঙ্গে ঘন কুয়াশায় বাধাগ্রস্ত সূর্যের তেজ

শফিউল আলম | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম | আপডেট : ১২:১৭ এএম, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯

হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতমালা থেকে আসা উত্তুরের হাঁড় কনকনে হিমেল হাওয়ায় ভর করেছে পৌষের শীত। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে গেছে ঠান্ডা বাতাস। ঠান্ডায় দেশের প্রায় সর্বত্র কাহিল হয়ে পড়েছে মানুষ। অনেকেই বিভিন্ন রোগব্যাধিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডাক্তারের চেম্বারে রোগীর চাপ। বিশেষ করে বয়োবৃদ্ধ ও শিশুদের দুর্ভোগ বেশি। 

গতকাল (শুক্রবার) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দক্ষিণ-পশ্চিমের জনপদ চুয়াডাঙ্গায় ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোরে ৯, রাজশাহীতে ৯.৮, ঢাকায় ১৩.৪, চট্টগ্রামে ১৪, স›দ্বীপে ১১.৫, সীতাকুন্ডে ১২ ডিগ্রি সে.। এমনকি সমুদ্র তীরের কক্সবাজারেও পারদ অস্বাভাবিক হারে নেমে গেছে ১৪.২ ডিগ্রিতে।
রাজশাহী, রংপুর বিভাগের অধিকাংশ স্থানে রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে রয়েছে। খুলনা বিভাগে বিশেষত দক্ষিণ-পশ্চিমে ১২ ডিগ্রির নিচে, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক স্থানে ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রিতে নেমেছে পারদ।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, রাজশাহী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। আগামীকাল রোববার থেকে শীতের দাপট কমতে শুরু করবে। তবে এ সপ্তাহের শেষ দিকে ফের শীতনামানো বৃষ্টিপাত হতে পারে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে। এরপর জানুয়ারিতে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসছে। তখন পারদ নামতে পারে ৬ ডিগ্রি সে. নিচে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ সূত্র জানায়, পৌষ মাসে বিশেষ করে মধ্য-ডিসেম্বরের পর থেকে শীতের প্রকোপ বাড়বে এটি বাংলাদেশে আবহাওয়াগত স্বাভাবিক রুটিন। তবে সাম্প্রতিককালে মাত্রাতিরিক্ত হারেই ধূলোবালি, ধোঁয়াটে উপাদানগুলো ছড়িয়ে পড়েছে বায়ুমন্ডলে। এই ধুলোবালির দূষণের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শীতের এ সময়ে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা।
এতে করে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সূর্যের তাপ, তেজ বা স্বাভাবিক উত্তাপ। স্বাভাবিক সূর্য কিরণকাল হয়ে পড়েছে সঙ্কুচিত। ভূ-উপরিভাগে উত্তাপ তৈরির সময়সীমা এখন খুবই কমে গেছে। তাছাড়া বাতাসে বিরাজ করছে অস্বাভাবিক হারে আর্দ্রতা। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকায় আর্দ্রতার হার ছিল ৮৫ শতাংশ। এ অবস্থায় তাপমাত্রার পারদ ক্রমেই নেমে গেছে, যেমনটি রাতে তেমনি দিনের বেলায়ও। গত দু’দিনের প্রচন্ড ঠান্ডা অনুভূত হওয়ার এটি অন্যতম প্রধান কারণ।
অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার কাছাকাছির দিকেই চলে গেছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অনেক এলাকার তাপমাত্রা। এরফলেও বেড়েছে শীতের দাপট। গতকাল ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ১৭.৩ এবং সর্বনিম্ন ১৩.৪ ডিগ্রি সে.। বদলগাছি, রংপুর, দিনাজপুর, তেঁতুলিয়া, ডিমলা, রাজারহাটসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও নেমে গেছে গতকাল ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রির আশপাশে।
অর্থাৎ এসব এলাকায় সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ব্যবধান মাত্র ৪ থেকে ৭ ডিগ্রি সে.। এহেন বৈরী আবহাওয়া শীতের মৌসুমে ঠান্ডার তীব্রতাকে বাড়িয়ে তুলেছে। বৃদ্ধি পেয়েছে ঠাÐাজনিত কষ্ট-দুর্ভোগ।
রাত-দিনের দীর্ঘ সময়ে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার সঙ্গে ধুলোবালি ও দূষণে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় শহর-নগর, শিল্পাঞ্চলে তীব্র দূষণে সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, ভাইরাস জ্বর, হাঁপানি, পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধির প্রকোপ দেখা দিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শীত

৩১ জানুয়ারি, ২০২৩
৬ জানুয়ারি, ২০২৩
৫ জানুয়ারি, ২০২৩
৫ জানুয়ারি, ২০২৩
৩ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ