পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পঞ্জিকার হিসাবে শীতকালে এসে পৌষ মাসের প্রথম তিন দিন প্রায় সারাদেশে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা ঊর্ধ্বে ছিল। গতকাল বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজারহাটে ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় রাতের সর্বনিম্ন ১৬.২ এবং দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ২০ ডিগ্রি সে.। এদিকে আবহাওয়া বিভাগ পূর্বাভাসে বলছে, আজ বৃহস্পতিবার থেকে হালকা শৈত্যপ্রবাহ শুরু হচ্ছে দেশের উত্তর-পশ্চিম জনপদ এবং কয়েকটি জেলায়। হিমালয় থেকে উত্তরের কনকনে হিমেল হাওয়া ও কুয়াশায় গতকাল রাত থেকে উত্তর জনপদে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। পূর্বাভাসে জানা গেছে, আজসহ আগামী ৭২ ঘণ্টায় সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা ক্রমশ হ্রাস পেতে পারে। তবে এরপরের ৫ দিনে ফের বেড়ে যেতে পারে।
গতকাল রংপুর-রাজশাহী বিভাগ তথা উত্তরাঞ্চল, শ্রীমঙ্গল, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর অঞ্চলে রাতের তাপমাত্রার পারদ ১০.৮ থেকে ১৩ ডিগ্রিতে নেমে আসে। সমগ্র দেশে আবহাওয়া শুষ্ক রয়েছে। কোথাও কোথাও আকাশ আংশিক মেঘলা রয়েছে।
ঢাকা, টাঙ্গাইল, বগুড়া জেলায় এবং রংপুর বিভাগজুড়ে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সাথে রাতের সর্বনি¤œ তাপমাত্রার ব্যবধান অনেকটাই কমে গেছে। এরফলে শীতের প্রকোপ বেড়ে গেছে। এসব এলাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২১ থেকে ১৭.৬ ডিগ্রি সে.। অথচ রাতের পারদ ১২ থেকে ১৬ ডিগ্রি।
শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সে. নেমে এলে। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, তাপমাত্রার পারদ ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সে. হলে মৃদু বা হালকা, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি হলে মাঝারি এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সে. নামলে তখন তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়।
চলতি ডিসেম্বর মাসের শেষে উত্তর, উত্তর-পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম এবং ঢাকাসহ মধ্যাঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দেয়া হয় আবহাওয়া বিভাগের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস বৈঠকে। জানুয়ারি’২০২০ মাসে তীব্র ধরনের শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়তে পারে ওইসব অঞ্চল। ত্রৈমাসিক পূর্বাভাসে রয়েছে এ সতর্কতা।
আজ বৃহস্পতিবার সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা স্থানভেদে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সে. হ্রাস এবং দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে। তবে এরপরের ৫ দিনে রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়া বিভাগ বলছে, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এ কারণে সবধরনের যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বাড়বে, প্রয়োজন সতর্কতার। কেননা মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক-মহাসড়ক, নৌপথ ও রেলপথে দৃষ্টিসীমা সঙ্কুচিত হয়ে আসবে। দেশের অন্যত্র মাঝারি থেকে হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।
কুয়াশার সঙ্গে ধুলোবালি ও দূষণে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় শহর-নগর-শিল্পাঞ্চলে মানুষ নাকাল। ধুলোদূষণে হরেক রোগব্যাধির প্রকোপ দেখা দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।