পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সবচেয়ে ‘বড় রাজাকার’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি। মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি জিয়াউর রহমান করেছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।
গতকাল শনিবার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান এক নম্বর খালেদা জিয়া দুই নম্বর রাজাকার।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে সাবেক মন্ত্রী শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, আমি একটা কথা বলতে চাই, জিয়াউর রহমানকে অনেকে বলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিল। তার সম্পর্কে এরকম কথা বলে কেন? জিয়াউর রহমান ছিল সবচেয়ে ‘বড় রাজাকার’। তার প্রমাণ আমি দিচ্ছি। তার প্রমাণ আমার কাছে আছে। প্রমাণ ছাড়া কথা বলি না। তিনি আরো বলেন, যদি কেউ মুক্তিযুদ্ধে এ জাতির (বাংলাদেশ) সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে থাকে, সেটা করেছে জিয়াউর রহমান।
মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলেন দাবি করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে তিন শ্রেণীর লোক মুক্তিযুদ্ধে গেছেন। এক শ্রেণীর গেছে বঙ্গবন্ধুর ডাকে। আরেক শ্রেণী ছিল জীবন বাঁচানোর সুবিধায় ভারতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম লেখিয়েছিল। আরেক শ্রেণী ছিল পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে। সেই পাকিস্তানের এজেন্টই জিয়াউর রহমান ছিল।
জিয়াউর রহমান সবচেয়ে ‘বড় রাজাকার’ ছিলেন তার স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে শেখ সেলিম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান আর্মির একজন কর্নেল ছিল। ১৯৫ জন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর একজনও ছিল এই কর্নেল আসলাম বেগ। তিনি জিয়াউর রহমানকে লিখেছেন- ‘মেজর জিয়াউর রহমান, পাক আর্মি ঢাকাও তোমার কাজে আমরা খুশি। আমাদের অবশ্যই বলতে হবে, তুমি (জিয়াউর রহমান) ভালো কাজ করেছো। খুব শিগগিরই তুমি নতুন কাজ পাবে। তোমার পরিবার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ো না। তোমার স্ত্রী (খালেদা জিয়া) ও বাচ্চা ভালো আছে।’
শেখ সেলিম বলেন, ‘স্ত্রী (খালেদা জিয়া) তো ভালোই থাকবে। ওনাকে দেখাশোনা করতো ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর একজন জানজুয়া। জানজুয়া যখন মারা যায়, তখন উনি (খালেদা জিয়া) প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে শোকবার্তা পাঠান। একজন ‘বড় রাজাকার’ ছাড়া কেউ এই যুদ্ধাপরাধী, গণহত্যাকারীদের প্রতি সহানুভুতি দেখাতে পারে না। বেসিক্যালি এই দুইজনই (জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া) ছিল এক নম্বর ও দুই নম্বর রাজাকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।