Inqilab Logo

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অগ্নিগর্ভ আসামে কারফিউ ভেঙে বিক্ষোভ, পুলিশের গুলি

নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:৪০ এএম | আপডেট : ৯:১২ এএম, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯

মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা


বিক্ষোভ থামাতে আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। টুইট করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও। তাতেও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) নিয়ে বিক্ষোভ থামানো গেল উত্তর-পূর্ব ভারতে। বরং গতকাল বৃহস্পতিবার তা চরম আকার ধারণ করল আসাম ও ত্রিপুরায়। আসামের গুয়াহাটিতে কারফিউ ভেঙে রাস্তায় নেমে আসে হাজারো জনতা। বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশের চালানো গুলিতে ১জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৪জন। প্রবল বিরোধিতার মধ্যে বুধবার ভারতের রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ (ক্যাব)। বৃহস্পতিবার বিলটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করল ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ। তাদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস সাংসদ কপিল সিব্বল। তিনি জানিয়েছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে অবৈধ ও পরিত্যক্ত ঘোষণার আরজি করা হয়েছে আদালতে। বুধবারই বিলের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল মুসলিম লিগ। বিলটি অবৈধ ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে তারা রিট পিটিশনে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গুয়াহাটির লালুঙ গাঁও-তে এ দিন বিক্ষোভ সামাল দিতে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে খ-যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। উত্তেজিত জনতাকে থামাতে গিয়ে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। তাতেই মৃত্যু হয় দীপাজ্বল দাস এক আন্দোলনকারীর। গুয়াহাটির সৈনিক ভবনের কেন্টিনের কর্মী ছিলেন তিনি। গুলিতে চার জন আহত হন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অগ্নিগর্ভ আসামে বিক্ষোভের প্রভাব পড়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়ালের বাড়িতেও। বিক্ষোভকারীরা মুখ্যমন্ত্রীর গিব্রুগড়ের বাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাথর নিক্ষেপ করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের এক কর্মকর্তা জানান, অনাকাক্সিক্ষত এই আক্রমণের কারণে বাড়ির জানালার বেশ কিছু কাঁচ ভেঙে পড়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন দিব্রুগড়ের এসপি গৌতম বড়ুয়া। কেবল সর্বানন্দের বাড়িই নয়, স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক প্রশান্ত ফুকান এবং দলের দিব্রুগড় জেলা সভাপতি সুভাষ দত্তের বাড়িতেও আক্রমণ হয়েছে। ছাবুয়ায় বিজেপি বিধায়ক বিনোদ হাজারিকার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। ওই এলাকায় একটি সার্কল অফিসেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে বিতর্কিত এই বিল পাসের প্রতিবাদে এরই মধ্যে গোটা রাজ্যে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। যে কারণে আসামের গুয়াহাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। এমনকি রাজ্যের দশটি জেলায় গত বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। গতকাল সকাল হতেই সেখানে রাস্তায় নেমে আসেন সাধারণ মানুষ। জ্বলন্ত কাঠ ফেলে জায়গায় জায়গায় পথ অবরোধ করেন তারা। সেই সঙ্গে চলতে থাকে সরকারবিরোধী সেøাগান।

বিক্ষোভ হিংসাত্মক আকার ধারণ করায় বুধবার থেকেই অবরুদ্ধ আসাম। এ দিন এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, ভিস্তারা, গো এয়ার-সহ বেশ কিছু সংস্থা আসাম বিমান বন্দর থেকে তাদের একাধিক বিমানের ফ্লাইট বাতিল করেছে। বাতিল করা হয়েছে বেশ কিছু বিমানের অবতরণ। এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার উত্তর-পূর্ব শাখার এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সঞ্জীব জিন্দল বলেন, ‘ডিব্রুগড়ে ন’টি বিমানের উড়ান বাতিল করা হয়েছে। বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় কোনও ট্যাক্সিও পাওয়া যাচ্ছে না, যার ফলে গতকাল যারা বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন, তারা এখনও যেতে পারেননি।’

বুধবার বিক্ষোভ চলাকালীন ডিব্রুগড়ের ছাবুয়ার একটি রেল স্টেশন চত্বরে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। তিনসুকিয়ার পানিতোলা স্টেশন চত্বরেও আগুন ধরানো হয়, যার পর এ দিন আসামে সমস্ত লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। আপাতত ডিব্রুগড় থেকে সমস্ত দূরপাল্লার ট্রেনও বন্ধ রাখা হয়েছে। এ দিন গুয়াহাটিতে রণজি ট্রফিতে সার্ভিসেস বনাম আসামের ম্যাচ ছিল। কারফিউর জেরে তা-ও সাসপেন্ড করা হয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যেই টুইটারে আসামবাসীর উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অসমিয়া ভাষায় তিনি লেখেন, ‘সিএবি নিয়ে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। কেউ আপনাদের অধিকার কাড়তে পারবে না। কেন্দ্রীয় সরকার এবং আমি আপনাদের রাজনৈতিক, ভাষাভিত্তিক, সাংস্কৃতিক এবং জমির অধিকার নিয়ে সাংবিধানিক নিরাপত্তা দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

অশান্ত আসামের ক্ষোভ প্রমশনে মোদির এই টুইট বার্তা নিয়ে খোঁচা দিয়েছে কংগ্রেস। আসামের কিছু জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই ঘটনাকে টেনে কংগ্রেসের তরফে পাল্টা টুইটে লেখা হয়েছে, ‘আমাদের অসমিয়া ভাই বোনেরা আপনার এই আশ্বাস-বার্তা পড়তে পারবেন না মোদিজি। আপনি হয়তো ভুলে গিয়েছেন, তাদের ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে।’

আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালও এ দিন শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ জানান সাধারণ মানুষের কাছে। বিজেপির জেলা স্তরের নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে যা তথ্য রয়েছে, তাতে এ রাজ্যে পাঁচ লাখের বেশি অনুপ্রবেশকারীকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। তাই আমাদের সংস্কৃতির এবং ঐতিহ্যের কোনও সঙ্কট দেখা দেবে না।’

এদিকে, নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে যুব কংগ্রেসের মিছিল ঘিরে সংঘর্ষ হয় সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে। মহম্মদ আলি পার্ক থেকে শুরু হওয়া মিছিল বিজেপি রাজ্য দফতরের সামনে পৌঁছতেই শুরু হয় অশান্তি। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা তাদের মিছিলে হামলা চালিয়েছে। পাল্টা গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, কংগ্রেসের মিছিল থেকেই প্রথম ইট-পাথর ছোড়া হয়েছে বিজেপি রাজ্য অফিসের দিকে।

অন্যদিকে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এনে ভারত আসলে দেশটির মুসলিমদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক করে রাখতে চাইছে। এমনই অভিযোগ করলেন মার্কিন কংগ্রেসের মুসলিম বিষয়ক কুটনীতিক অ্যান্ডার কারসন। এর আগেও জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার প্রতিবাদে মুখ খুলেছিলেন তিনি।

এই বিলের বিরোধিতায় এরই মধ্যে পদত্যাগ করেছেন ভারতের বেশ কয়েকজন উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। এবার সেই ধারাবাহিকতায় মহারাষ্ট্র পুলিশের আইজি আবদুর রহমানও পদত্যাগ করলেন। টুইটে তিনি জানিয়েছেন, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংবিধান বিরোধী। আমি এই বিলের বিপক্ষে। শুধুমাত্র মুসলিমদের নিশানা করেই আনা হয়েছে এই বিল। আমি আগামীকাল থেকে অফিসে যাব না। আমি ইস্তফা দিচ্ছি।’ টুইটের পাশাপাশি ইস্তফাপত্রেরও একটি ছবি দিয়েছেন আইপিএস অফিসার। সূত্র : টিওআই।

 



 

Show all comments
  • Mohammad Liton Hosen ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
    আল্লাহ ভারতকে খন্ড খন্ড করে দাও
    Total Reply(0) Reply
  • Raihan Uddin ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
    বিশ্বে ইজরাইলের আরেক নাম ভারত
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Habibur Rahman ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
    ভারতের আসামের হিন্দুরা বাংলাদেশি হিন্দুদের লাইক করে না,,আর বাংলাদেশি হিন্দু রাত দিন ভারত কে ...করে।
    Total Reply(0) Reply
  • Kabir ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
    মোদী ইন্ডিয়াকে পাকিস্তানের মত দেউলিয়া বানিয়েই ছাড়বে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mb Tutul ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
    ১৯৭১ সালে পাকিস্তান আমাদের সাথে যা করেছিলো তার জন্য আমরা স্বাধীন হওয়ার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম এবং ভারত আমাদের পাশে দাড়িয়েছিলো। তাহলে আমাদেরও কি উচিত না আসাম ও কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্য তাদের পাশে দাঁড়ানো ? কারন ভারত ও এদের সাথে একই রকম জুলুম করতেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Kobi Nill ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:১৫ এএম says : 0
    আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • H M Mohi Uddin ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:১৫ এএম says : 0
    বাংলার মানুষ হুশিয়ার হো না হয় ভারত বাংলাদেশ কে গিলে ফেলবে আজ তাদের গোলামী করো না! আসাম নিয়ে গেছে আর আসামের মানুষ কে আমাদের উপর চেড়ে দিচ্ছে!
    Total Reply(0) Reply
  • Imran Haque ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:১৫ এএম says : 0
    ১৯০৫ সালে ফিরে যাওয়া উচিৎ, বাংলা,বিহার,আসাম,ত্রিপুরা, এসব নিয়ে বাংলা তৈরি হোক,যেখানে সব বাংঙ্গালী থাকবে।আসামের উচিৎ ভারত ত্যাগ করে বাংলাদেশের সাথে যুক্ত বা আলাদা রাষ্ট্র গঠন করা, মনিপুরের মতো উত্তর পূর্ব সব রাজ্য ভারত ত্যাগ করা উচিৎ,, কারন ৪৭ সালে যে শর্তে এই রাজ্যগুলো ভারতের সাথে যুক্ত হয়েছে তার সকল শর্ত ভারত ভঙ্গ করেছে।
    Total Reply(1) Reply
    • Md. Aman Ullah Talukder ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৯:০০ এএম says : 4
      Absolutely right! Thank you commentator.
  • HM Muhith ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:১৫ এএম says : 1
    এই আন্দোলনের কোন মূল্য নেই।ক্যাব কখনও বাতিল হবে না। ভারত উত্তর পূর্ব আর পশ্চিমবঙ্গের লোকদের কখনো গুরুত্বের খাতিরে কিছু দেখে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Kaji Al Mamun ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:১৬ এএম says : 0
    হংকংয়ে এত বড় বিক্ষোভেও কমিউনিস্ট চীন তাদের সেনাবাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে দাড় করিয়ে দেয় নি। আর গণতন্ত্রের ধব্জাধারী দেশ ভারতের অশিক্ষিত দোকানদার প্রধানমন্ত্রী মুদি আসামের ভূমিপুত্রদের দমন করতে সেনাবাহিনী লেলিয়ে দিয়েছে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩ জন অসমিয়া মুদির সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে
    Total Reply(0) Reply
  • Md Shihab ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:১৬ এএম says : 0
    ভারত তাদের অখন্ড ভারত নীতির কথা বলে। এবং এখনো তারা সেই প্রচেষ্টায় ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।কিন্তু বাস্তব কথা এই ভারত কখনোই অখন্ড ছিল না। খন্ড খন্ড বিভক্ত ছিল। ভারত একমাত্র অখন্ড ছিল চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের সময় এবং দিল্লি সালতানাতের সময় (কিছু অংশ ব্যতীত)। এই দুয়ের একজনও হিন্দু ছিল না। চন্দ্রগুপ্ত শাসকরা ছিল জৈন। এবং দিল্লি সালতানাতের শাসক রা ছিল মুসলিম
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Kowaj Ali khan ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৩:৪৬ এএম says : 0
    অতি সত্বর তুমরা স্বাধীনতা ঘোষণা করো । ভারত ত্যাগ করো ।ইনশাআল্লাহ ।
    Total Reply(0) Reply
  • md Shohidul Islam ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৯:৩১ এএম says : 0
    ট্রাম্প সারা বিশ্বে মানুষ হত্যা করছে আর মুদি নিজের দেশের মানুষ হত্যা করছে। ফলাফল আমেরিকা আন্তর্জাতিক আধিপত্য হারিয়েছে এক সময় অর্থনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে যাবে। আর ভারত খুব দ্রুত ভেঙে টুকরো টুকরো হবে ইনশাআল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আসাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ