বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশালের মুলাদী উপজেলায় হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারে গিয়ে স্বজনদের সাথে সিআইডি পুলিশের দুই সদস্যের ‘হাতাহাতি’ ও ‘ধস্তাধস্তির’ ঘটনায় সন্দেহভাজন আসামী পালিয়ে গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। উপজেলার মীরগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় সোমবার গভীর রাতে এ ঘটনায় সিআইডি‘র এসআই রুহুল আমিন ও কনস্টেবল আব্দুল হাকিম অাহত হয়েছে বলেও জানা গেছে।
মুলাদী উপজেলার চর কমিশনার এলাকার রব হাওলাদারের ছেলে আব্বাস হাওলাদার ওই গ্রামেরই একটি হত্যা মামলার আসামি। সিআইডি’র এসআই রুহুল সাংবাদিকদের জানান, গত বছরের ২৪ মে সকালে মুলাদীর চর কমিশনার গ্রামের ঘেরের পাশে স্থানীয় মনির হাওলাদার (২২) নামের এক ব্যক্তিকে চোখ তুলে ও গলাকেটে হত্যা করা হয়। পরে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঐ ঘটনায় নিহত মনিরের ছোট ভাই পারভেজ হাওলাদার বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় একটি হত্যা মামলা করে। গত ৪ জুলাই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি।
ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে সন্দেহভাজন আসামি আব্বাস হাওলাদারকে গ্রেপ্তারের জন্য অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে মীরগঞ্জ ফেরিঘাটের পন্টুনে তিনি ও কনস্টেবল আব্দুল হাকিম অবস্থান নিলে আব্বাসের স্বজনরা তাদের পরনে সিআইডির জ্যাকেট দেখে ঘিরে ধরে। তখন তাদের সঙ্গে ‘ধস্তাধস্তিতে’ তিনি ও কনস্টেবল আব্দুল হাকিম সামান্য আহত হন।
এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দেয়া হয়নি জানিয়ে এসআই রুহুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সিদ্বান্ত নেবেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আব্বাস হাওলাদারকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় সিআইডি পুলিশ। এ সময় আব্বাসের ভাইসহ তার ৬/৭ জন বন্ধু গিয়ে সিআইডিকে বাঁধা দিলে তাদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির সুযোগে আসামি আব্বাস পালিয়ে যায় এবং পুলিশের পক্ষ হয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে আব্বাসের ভাই ও বন্ধুরাও পালিয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।