বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বুধবার নেদারল্যান্ডের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত-আইসিজেতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করলেন দেশটির এজেন্ট ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি। তিনি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে, গাম্বিয়া রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি অসম্পূর্ণ ও বিভ্রান্তিমূলক চিত্র তুলে ধরেছে। তিনি জানান, গণহত্যার উদ্দেশে অভিযান পরিচালনার অভিযোগে বিচার শুরু হয়েছে। কিন্তু রাখাইনে ২০১৭ সালের সামরিক অভিযানে রক্তপাত হলেও গণহত্যার মতো কিছু হয়নি।’ আজ বুধবার আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সু চির এমন বক্তব্যে হতবাক বিশ্ব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়েছে নেটিজেনরা। সর্বত্র বইছে নিন্দার ঝড়।
আলমগীর হোসাইন তার ফেইসবুকে লিখেন, সু চি পুরো বিশ্ববাসীকে মিথ্যাচার করে ধোকা দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত। যেখানে রোহিঙ্গা নির্যাতনের শত শত ভিডিও ক্লিপ আছে, তারপরেও সু চি গোয়েবলসীয় কায়দায় মিথ্যাচার করে নিজ সেনাবাহিনীকে রক্ষা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার ছল-চাতুরী আজ বিশ্বের সামনে স্পষ্ট হয়ে গেছে, সে গনতন্ত্রের নামে বিভিষিকাতন্ত্র কায়েম করে আরকানের কসাইয়ে পরিণত হয়েছে। আজ বিশ্ব দরবারে তার মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। সেইদিন বেশি দূরে নয় যেইদিন রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে সু চি সহ তার জেনারেলদের শাস্তি ভোগ করতে হবে।’
‘এসব বলে সু চি দায় এড়াতে পারবে না, কঠিন বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো হবে ইনশা আল্লাহ।’ - এমডি হাদিউল ইসলামের মন্তব্য।
এম এ রহমান শেখ লিখেন, ‘ভাবতেও কষ্ট হয়, এই সু চির জন্য রোহিঙ্গারা একদিন আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিল, তার মুক্তির জন্য! আজ সেই মানুষটিই তাদের জান মাল নিয়ে খেলছে।’
‘এই অত্যাচারী মহিলা অং সান সু চি নিকৃষ্ট থেকে নিকৃষ্টতর শাস্তি ও অপমানিত করে দুনিয়া থেকে বিতারিত হয়- আল্লাহ যেন এই দোয়া কবুল করেন, আমীন।’ - ফিরোজ হোসেনের প্রার্থনা।
গাম্বিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে আরমান মানিক লিখেন, ‘এমনভাবে বিচার করতে হবে যাতে করে কোন দেশের মুসলিমদের নির্যাতন করতে সাহস না পায় কোন দেশ। সেই সাথে ধন্যবাদ জানাই গাম্বিয়াকে মিয়ানমারেক কাঠগড়ায় দাঁড় করানো জন্য।’
‘সে তো অস্বীকার করবেই। সেনা শাসকের তল্পিবাহক হিসেবে ক্ষমতায় এসেছে। স্বার্থান্ধ, সাম্প্রদায়িক, খুনি। আন্তর্জাতিক আদালত তার অপরাধ প্রমাণের জন্য যথেষ্ট ডকুমেন্টস আছে।’ - লিখেছেন হেলাল হোসেন।
আলআমিন রহমানের দাবি, ‘অশান্তি সৃষ্টিকারী হত্যাকারী অং সান সু চির নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়া হোক।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।