Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতের ‘মুসলিমবিরোধী’ নাগরিকত্ব বিলে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিবাদ

আবদুল মোমিন | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৬:৫৩ পিএম

ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে মুসলিমদের বাদ দিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেয়ায় নানা মহলে এই বিলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ হচ্ছে। গত সোমবার লোকসভায় চরম উত্তেজনাপূর্ণ দৃশ্য এবং দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রতিবাদ বিক্ষোভের মধ্যে এই বিলটি পাস হয়। ‘মুসলিম বিরোধী’ বিলটির বিরুদ্ধে নেট দুনিয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ চলছে।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের ডাকে এই বিলের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ১১ ঘন্টার সর্বাত্মক বন্ধও পালিত হয়। কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিভিন্ন বিরোধী দল যেমন পার্লামেন্টে এই বিলের বিরোধিতা করেছে, তেমনি বিভিন্ন মুসলিম দলের নেতারাও বিলটিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। ভারতের অ্যাক্টিভিস্ট ও সাবেক আমলাদের একাংশ তো এই বিলের বিরুদ্ধে আইন অমান্য আন্দোলন গড়ে তোলারও ডাক দিচ্ছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রতিবাদ জানিয়ে তানজিন আহমেদ লিখেছেন, ‘‘ধর্মীয় উগ্রবাদের চূড়ান্ত রূপ দেখছি ভারতে। যা পুরো উপমহাদেশের জন্য ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে।’’

আবু সালেহ্ লিখেছেন, ‘‘বর্তমান ভারত এখন একদল হায়নাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, এরা এ অঞ্চলের অশান্তি সৃষ্টিতে হিন্দু-মুসলিম ইস্যুটাকে উস্কে দিচ্ছে।’’

‘‘এটাকে কি অসাম্প্রদায়িকতা বলে? অথচ ভারতের সংবিধানে বলা আছে ভারত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র’’ লিখেছেন মহিন খান ইমন।

এটিএম আবদুর রহিম লিখেছেন, ‘‘সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বিলটি দিয়ে হিন্দুয়ানী জাগ্রত করার রাজনৈতিক খেলাটি বিজেপির রাজনীতির জন্য বুমেরাং হিসাবে দেখা দিবে! তাছাড়া উত্তর পূর্ব ভারতে এ আইনের প্রয়োগ কোনভাবে সম্ভব হবে বলে মনে হয় না!’’

ইকবাল হাসান লিখেছেন, ‘‘প্রতিবাদ করে কিছু হবে না! ৩৭০ মতো রাতের আধারে পাস হবে এ বিল! আর রাতের বেলা সবার অগোচরে কারা কাজ করে সবাই জানে? বিজিপি এ বিলের মাধ্যমে ২৪ সালে নিজেদের ভোট ব্যাংক সুগঠিত করছে। কারন তারা জানে তাদের দ্বারা স্টাচু- স্টাচু খেলা, মন্দির মসজিদ, রাতের আধারে বিল পাস, হিন্দু-মুসলিম ছাড়া দেশের উন্নয়নের অ হবে না!’’

‘‘স্পষ্টতই ভারতের ক্ষমতাসীনরা রাষ্ট্রীয় ভাবে এ অঞ্চলে দিন দিন উগ্রবাদিতা ছড়িয়ে দিচ্ছে! যা দাঙ্গা সহ ধর্মীয় সহবস্থান দীর্ঘমেয়াদি ভাবে বিনষ্ট হবে’’ মন্তব্য মামুনুর রশিদের।

মঞ্জুরুল আলম লিখেছেন, ‘‘মোদি আর অমিত শাহ মিলে পুরো ভারতকে ধ্বংস করে দেবে দেড়শ কোটি মানুষ এখনই সচেতন না হলে এই দুইটি প্রাণীর কারণে পুরো ভারতীয় উপমহাদেশ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে।’’

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সোশ্যাল মিডিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ