মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারের বেসামরিক নেতা অং সান সু চির উপস্থিতিতে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গতকাল মঙ্গলবার শুরু হয়েছে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার শুনানি। জানা গেছে, তিন দিনব্যাপী এ শুনানি শেষে আদালত মিয়ানমারের অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন দিনব্যাপী শুনানি চলাকালে জাতিসংঘের এই সর্বোচ্চ আদালতের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জল্পনা-কল্পনা চলছে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অংশ হিসেবে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে। তবে মিয়ানমার সরকারের প্রধান হিসেবে সু চিকে দায়মুক্তি দেয়া হতে পারে।
মিয়ানমারের 'জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য' সু চি এখন হেগে অবস্থান করছেন। শুনানিতে উপস্থিত আছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদ বিন মোমেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। প্রয়োজনে বাদীপক্ষকে সহায়তা দেবেন তারা।
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে শুনানির প্রথম দিনে যখন রোহিঙ্গাদের ওপর সে দেশের সামরিক বাহিনীর একের পর এক নৃশংসতার ঘটনা তুলে ধরা হচ্ছিল তখন সেখানে পাথরের মত মুখ করে বসেছিলেন নোবেল শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী অং সান সু চি।
গাম্বিয়ার বিচার-মন্ত্রী আবুবাকার তাম্বাদু প্রথম দিনের শুনানির শুরুতে বলেছেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচার হত্যার প্রশ্নে বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করতেই তার দেশ আইসিজেতে এই অভিযোগ এনেছে।
তিনি বলেন, সারা বিশ্ব কেন এখন নীরব দর্শক? কেন আমাদের জীবদ্দশাতে এটা আমরা ঘটতে দিচ্ছি? সবাই মনে করে এখানে মিয়ানমারের বিচার হচ্ছে। আসলে এখানে বিচার চলছে আমাদের সামগ্রিক মানবিকতার।
শুনানির প্রথম দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার বাদীপক্ষের বক্তব্য শোনা হয়েছে। মিয়ানমার এসব অভিযোগের জবাব দেবে বুধবার। এরপর বৃহস্পতিবার দু'পক্ষের মধ্যে যুক্তি-তর্ক হবে।
আইসিজেতে আফ্রিকার একটি ছোট মুসলিম রাষ্ট্র গাম্বিয়া মিয়ানমারে সংঘটিত জেনোসাইডের বিচার চেয়ে যে মামলা করেছে, তাকে মিয়ানমার কোনোভাবে গুরুত্ব না দিয়ে পারবে না। মনে রাখা জরুরি যে, গাম্বিয়া একা এ মামলা করেনি, বরং আন্তর্জাতিক ইসলামিক সম্মেলনের (অর্গানাইজেশন অব ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ওরফে ওআইসি) ৫৭ সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে এবং পক্ষে গাম্বিয়া আইসিজেতে এ মামলা করে। অধিকন্তু আইসিজে ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের আওতায় প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক আদালত যেখানে গাম্বিয়া এবং মিয়ানমার দুটিই অনুস্বাক্ষরকারী রাষ্ট্র অর্থাৎ স্টেটপার্টি। মিয়ানমার ১৯৫৬ আর গাম্বিয়া ১৯৭৮ সালে জাতিসংঘের এ-জেনোসাইড কনভেনশন অনুস্বাক্ষর করেছে। কাজেই মিয়ানমার এর ‘টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন’ মানতে বাধ্য।
গাম্বিয়া মামলার পিটিশনের শুরুতেই আবেদনের ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য আইসিজের স্টেটিউটসের ধারা ৩৬ (১) ও ৪০ এবং আইসিজের কার্যবিধি ৪১-এর উল্লেখ করে, যা স্টেটপার্টি হিসেবে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার মামলা করার এখতিয়ার প্রতিষ্ঠিত হয়।
আইসিজেতে এ মামলাটি যুগান্তকারী দু’টি কারণে-
প্রথমত, প্রতিবেশী না হয়েও বৈশ্বিক সনদে স্বাক্ষরকারী হিসেবে মিয়ানমার থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরের আরেকটি উপমহাদেশ আফ্রিকার রাষ্ট্র গাম্বিয়া এই মামলার বাদী। গণহত্যার অভিযোগে আইসিজেতে এর আগে যেসব মামলা হয়েছে, সেগুলো ছিল প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে (সার্বিয়া বনাম বসনিয়া এবং সার্বিয়া বনাম ক্রোয়েশিয়া)।
দ্বিতীয়ত, এই প্রথম মানবাধিকারের লড়াইয়ের জন্য শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী একজন রাজনীতিক গণহত্যার সাফাই দিতে হাজির হয়েছেন শান্তি প্রাসাদে। ১৯৯১ সালে শান্তি পুরস্কার বিজয়ের ২৮ বছর পর সামরিক শাসনোত্তর মিয়ানমারের প্রথম বেসামরিক সরকারের প্রধান অং সান সু চি তাঁর দেশের সামরিক বাহিনীর নৃশংসতার যৌক্তিকতা তুলে ধরতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অবতীর্ণ হচ্ছেন। ২০১৭ সালের আগস্টে শুরু হওয়া রোহিঙ্গাবিরোধী সামরিক অভিযানের পর সু চি জাতিসংঘের মতো বৈশ্বিক ফোরামে খুব কমই অংশ নিয়েছেন।
এ মামলার আরেকটা শক্তিশালী দিক হচ্ছে, মামলার পিটিশনে ২০১৬ এবং ২০১৭ সালের মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত অপারেশন ক্লিয়ারেন্সের আওতায় জেনোসাইডের সব আলামত অত্যন্ত শক্তভাবে লিপিবদ্ধ করা। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে: (১) অমানবিক নির্যাতন, (২) নাগরিকত্ব অস্বীকার, (৩) ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন, (৪) রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রচার, (৫) অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া, (৬) সহায়-সম্পত্তি এবং স্থাবর সম্পত্তি লুণ্ঠন, (৭) শিশু-নারী-বৃদ্ধদের নির্বিচার নির্যাতন, (৮) গণহারে নারী ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন, (৯) নির্বিচারে গণহত্যা, (১০) সুপরিকল্পিতভাবে জাতিগত নিধনের জোর প্রয়াস।
বিচারের রায় যা-ই হোক না কেন, গাম্বিয়ার মামলার মধ্য দিয়ে নতুন করে বিশ্ববাসীর সামনে আরও একবার প্রকাশিত হলো মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর জেনোসাইড সংঘটনের বাস্তব তথ্যচিত্র।
তবে, এ মামলার একটি দুর্বল দিক হচ্ছে- মামলার প্রায় সব তথ্যপ্রমাণ ২০১৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গঠিত তিন সদস্যবিশিষ্ট স্বাধীন তথ্য-অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন। কেননা গাম্বিয়া এ মামলা করার জন্য রাখাইন রাজ্য কিংবা বাংলাদেশ থেকে সরেজমিনের কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি কিংবা মিয়ানমার বা বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের কোনো পর্যায়ে সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসেবে হাজির করাতে পারেনি। ফলে, সু চির নেতৃত্বে মিয়ানমার ডেলিগেটস যখন আইসিজেতে শুনানিতে অংশ নেবেন, তখন গাম্বিয়ার পক্ষে সাক্ষাৎ তথ্যপ্রমাণ (ফার্স্ট-হ্যান্ড এভিডেন্স) উপস্থাপন করা খানিকটা কঠিন হয়ে যাবে।
মিয়ানমার যে অপরাধ করেছে, তার সত্যিকার কতটুকু বিচার হবে- সে প্রশ্নে বলা যায়, এ মামলার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে খোদ আইসিজের এখতিয়ার, পরিধি এবং জুরিসডিকশনের সীমাবদ্ধতা। কেননা আইসিজের কাজ হচ্ছে প্রধানত দুটি। এক. দুটি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে আইনগত বিরোধ (লিগ্যাল ডিসপিউট) মীমাংসা এবং দুই. কোনো আইনি প্রশ্নে পরামর্শমূলক মতামত প্রদান। ফলে, এতটুকু সামর্থ্য নিয়ে আইসিজে মিয়ানমারের কতটুকু বিচার করতে পারবে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
তবে অন্তর্র্বতী যেসব আদেশ হতে পারে তা হল- রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়া, নাগরিকত্ব দেয়া, বৈষম্যমূলক আইন সংশোধন, মানবাধিকারকর্মীদের প্রবেশ নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ যেকোনো আদেশ দিতে পারে বিচার আদালত।
হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও (আইসিসি) রোহিঙ্গাদের গণহত্যা নিয়ে আরেকটি মামলা চলছে। আদালত এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া আর্জেন্টিনার একটি আদালতেও রোহিঙ্গা গণহত্যায় সু চির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এদিকে সু চি যখন রোহিঙ্গা গণহত্যার পক্ষে সাফাই গাইতে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে গেছেন, ঠিক তখনই মিয়ানমারকে বয়কটের ডাক দিয়েছে ১০টি দেশের ৩০টি সংগঠন। শুনানি সামনে রেখে নেপিদোর ওপর চাপ জোরালো করতেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
রয়টার্স জানায়, জার্মানিভিত্তিক ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনস নামের প্ল্যাটফর্ম থেকে 'বয়কট মিয়ানমার ক্যাম্পেইন' শুরু করা হয়েছে। সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গণহত্যা মামলার শুনানিকে সামনে রেখে ৩০টি সংগঠন মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ফরাসি ডট কো, রেস্টলেস বিংস, ডেস্টিনেশন জাস্টিস, রোহিঙ্গা হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক অব কানাডা, রোহিঙ্গা হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ অব ইন্ডিয়া ও এশিয়া সেন্টারের মতো সংগঠনগুলো।
ফি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাই সান লুইন বয়কট কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলেছেন, জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান মিশন স্পষ্ট করেছে যে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জাতিকে নির্মূল করে দেয়ার একটি নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী হিসেবে আমরা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অধীনে ১৫ বছর গৃহবন্দি থাকা অং সান সু চির মুক্তির আন্দোলন করে এসেছি। তবে তিনি সেই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর খুনিদের সঙ্গে নিয়ে চলছেন। তাই আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক ও আনুষ্ঠানিক সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে সবার প্রতি আহ্বান জানাই।
এদিকে, রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ স্বীকার করে নিতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাত নোবেল বিজয়ী। মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে সুচির প্রতি এই আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে এই গণহত্যার জন্য সু চি ও মিয়ানমারের সেনা কমান্ডারদের জবাবদিহিতার আহ্বানও জানান তারা।
সাত নোবেল বিজয়ী হচ্ছেন- শান্তিতে নোবেলজয়ী ইরানের শিরিন ইবাদি, লাইবেরিয়ার লেমাহ গবোই, ইয়েমেনের তাওয়াক্কুল কার্মান, উত্তর আয়ারল্যান্ডের মাইরেড মাগুয়ের, গুয়েতেমালার রিগোবার্টা মেনচ তুম, যুক্তরাষ্ট্রের জোডি উইলিয়ামস ও ভারতের কৈলাশ সত্যার্থী।
বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হিসেবে আমরা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত হওয়া গণহত্যাসহ অপরাধগুলো প্রকাশ্যে স্বীকার করার জন্য নোবেলজয়ী অং সান সুচির প্রতি আহ্বান জানাই। আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে, এই নৃশসংসতায় নিন্দা জানানোর পরিবর্তে সেটা অস্বীকার করেছেন সুচি।
গত অক্টোবরে জাতিসংঘ সদর দফতরে আইসিজের নবনিযুক্ত রেজিস্ট্রার ফিলিপ গটিয়ার জানিয়েছিলেন, গণহত্যার মামলার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের যেকোনো রায়ই চূড়ান্ত, বাধ্যবাধকতাপূর্ণ ও অবশ্যপালনীয়। চূড়ান্ত রায়ের পর আপিলের কোনো সুযোগ নেই।
এই আদালতের বর্তমান প্রেসিডেন্ট হলেন সোমালিয়ার বিচারপতি আবদুলকোয়াই আহমেদ ইউসুফ এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট চীনের বিচারপতি ঝু হানকিন। বিচারকদের নির্বাচন করেন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদ। অন্য সদস্যরা হলেন ¯েøাভাকিয়ার বিচারপতি পিটার টমকা, ফ্রান্সের বিচারপতি রনি আব্রাহাম, মরক্কোর মোহাম্মদ বেনুনা, ব্রাজিলের অ্যান্টোনিও অগাস্টো কানকাডো ত্রিনাদে, যুক্তরাষ্ট্রের জোয়ান ই ডনোহু, ইতালির গর্জিও গাজা, উগান্ডার জুলিয়া সেবুটিন্দে, ভারতের দলভির ভান্ডারি, জ্যামাইকার প্যাট্রিক লিপটন রবিনসন, অস্ট্রেলিয়ার রির্চাড ক্রর্ফোড, রাশিয়ার কিরিল গিভরগিয়ান, লেবাননের নওয়াফ সালাম এবং জাপানের ইউজি ইওয়াসাওয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।