Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিরাজগঞ্জে আ’লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ

দোকানপাট ভাংচুর, বিএনপি অফিসে অগ্নিসংযোগ

সিরাজগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৫:৪৭ পিএম | আপডেট : ৬:২৯ পিএম, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯

সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় র‌্যালীতে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আ’লীগ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ, ইট পাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, দোকানপাট ভাংচুর ও বিএনপি অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৭০জন আহত হয়েছেন। রবিবার সকাল ১১টার দিকে শহরের ইবি রোডস্থ চাররাস্তার মোড়ে(বিএনপি অফিসের পাশে) এ ঘটনা ঘটে। সিরাজগঞ্জ-২(সদর-কামারখন্দ) আসনের এমপি অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল¬াত মুন্না এ র‌্যালীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় শহরজুড়ে আতংক বিরাজ করছে।

জানা যায়, রবিবার সকালে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের উদ্যোগে বিজয় র‌্যালীর আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল¬াত মুন্নার নেতৃত্বে র‌্যালীটি কলেজ থেকে বের হয়ে শহরের ইবি রোডস্থ চাররাস্তার মোড়ে পৌঁছলে কতিপয় বিএনপিকর্মী র‌্যালীতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় বিক্ষুব্ধ আ’লীগ নেতাকর্মীরা বিএনপির হামলা প্রতিহত করতে গেলে উভয় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে তা আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ১৫-২০টি দোকানপাট ভাংচুরসহ বিএনপি অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয়দলের অন্তত ৭০জন আহত হন। আহতদের সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
শহর আ’লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে সিরাজগঞ্জ-২(সদর-কামারখন্দ) আসনের এমপি অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল¬াত মুন্নার নেতৃত্বে র‌্যালীটি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করার সময় বিএনপির সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে দলের কমপক্ষে ১৫নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক ও নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান বাচ্চু র‌্যালীতে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি অফিসের পাশে অবস্থিত ভাসানী মিলনায়তনে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ চলছিলো। এসময় পূর্ব পরিকল্পতভাবে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আ’লীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। হামলায় জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেন হিটলার গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। এছাড়া, বিএনপি অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে তারা। এসময় তিনি পরিকল্পিত এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সদর থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংঘর্ষ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ