Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সউদী আরব কী হুথি বিদ্রোহীদের মেনে নিচ্ছে!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:২০ পিএম

ইয়েমেনের শাসন ব্যবস্থায় ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী সশস্ত্র হুথি বিদ্রোহীদের মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে সউদী আরব। শুক্রবার ইতালির রাজধানী রোমে ভূমধ্যসাগরীয় দেশগুলোর এক সম্মেলনে সউদী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের এমন ইঙ্গিত দেন। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।
সম্মেলনে আদেল আল জুবায়ের বলেন, ভবিষ্যৎ ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীসহ দেশটির সব নাগরিকের ভূমিকা থাকতে পারে। ইয়েমেনের বিদ্যমান সংকট উত্তরণে একটি সমাধানে পৌঁছানোর ওপরও জোর দেন সউদী প্রতিমন্ত্রী।
সউদী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের দাবি করেন, ইয়েমেন সংকট সউদী আরব তৈরি করেনি। বরং হুথি বিদ্রোহীরাই এ সংকট তৈরি করেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে ইরানের হস্তক্ষেপকে ‘সর্বনাশা’ বলেও দাবি করেন সউদী প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, তেহরান পুরো অঞ্চলের জন্যই হুমকি। তাদের আগ্রাসী কর্মকান্ড আর সহ্য করার মতো জায়গায় নেই।
সউদী আরব এমন সময়ে হুথি বিদ্রোহীদের মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিলো যার কিছুদিন আগেই ২০০ হুথি বন্দিকে মুক্তি দেয় দেশটি। গত মাসের শেষ দিকে মুক্তি দেওয়া হয় তাদের। সউদী সামরিক জোট জানিয়েছে, যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে শান্তি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে সউদী-ইয়েমেন সীমান্ত সংলগ্ন নজরান এলাকায় হামলা চালিয়ে সহস্রাধিক সউদী সেনাকে আটকের দাবি করে হুথি বিদ্রোহীরা। সেনাদের পাশাপাশি শতাধিক সউদী সামরিক যানও জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি তাদের। তবে ওই ঘটনায় আটক সউদী সেনাদের মুক্তির জন্য এ বন্দিবিনিময় কিনা তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে ইস্তানবুলের সউদী কনস্যুলেটে সংবাদিক জামাল খাশোগির নৃশংস হত্যাকান্ডের পর থেকেই ইয়েমেনে সউদী আগ্রাসন নিয়ে সমালোচনার মাত্রা বাড়তে থাকে।
২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী সানা দখলে নেয় দেশটির ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা। সউদী আরবের রাজধানী রিয়াদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন ক্ষমতাচ্যুত হাদি। হুথিদের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। ২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামের সামরিক আগ্রাসন শুরু করে সউদী-আমিরাতের সামরিক জোট। স্কুল, বাজার ও হাসপাতাল, জানাজার নামাজসহ বিভিন্ন স্থানে সউদী জোটের বিমান হামলায় নিহত হয় লক্ষাধিক বেসামরিক মানুষ। আহত হয় আরও অনেকে। দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায় ইয়েমেন।



 

Show all comments
  • jack ali ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৮:১৭ পিএম says : 0
    Huthi's are the enemy of Sunni Muslim.... They should be punished severely..
    Total Reply(0) Reply
  • Lakaullah ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:৫৭ পিএম says : 0
    Jack Ali I am not agree with you.in Yemen 20000 children kill by Saudi alliance. In islam you can not kill innocent people.i am not Sunni I am not Shia I am not wahabi simple I am a muslim
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মধ্যপ্রাচ্য


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ