পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে দুটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির বিপরীতে আয় হ্রাসে চরম দুর্ভোগে দক্ষিণাঞ্চলের নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে হাহাকার শুরু হয়েছে। চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, রান্নার গ্যাস, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, আদা ও শাক-সবজিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির বিপরীতে আয় হ্রাসে সীমিত আয়ের পরিবারে কষ্ট বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ ও ‘বুলবুল’ এর ছোবলে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে দু’দফায় আঘাত আসায় কৃষক পরিবারগুলোতেও নিরব কান্না চলছে। যার বিরূপ প্রভাব পড়েছে বাজারেও।
ব্যয় বৃদ্ধি পেলেও সঞ্চয়পত্রের মুনাফা হ্রাসের পাশাপাশি বাড়তি করারোপ এবং সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ইউনিট ফান্ডের মূল্য ও ডিভিডেন্ড উদ্বেগজনক পর্যায়ে হ্রাস পেয়েছে। সাথে শেয়ার মার্কেটের নাজুক অবস্থায় এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না। এমনকি আইসিবি’র অনেক ইউনিট সার্টিফিকেটের ক্রয় মূল্যের চেয়ে বিক্রি মূল্য অস্বাভাবিক হ্রাসের ফলেও সাধারণ মানুষ পুঁজি হারিয়ে পথে বসার উপক্রম। আর এরই সাথে গত কয়েক মাস ধরে ভোগ্যপণ্যসহ নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি মূল্যস্ফীতি বাড়াচ্ছে।
গত দু’মাস ধরে পেঁয়াজের অগ্নিমূল্য সাধারণ মানুষের কষ্ট নজিরবিহীন পর্যায়ে নিয়ে গেছে। খুচরা বাজারে এক কেজি পেঁয়াজ আড়াইশ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গত পনের দিনেরও বেশি সময় ধরে। পেঁয়াজের মত রসুন ও আদার দামও গত প্রায় দু’মাস ধরে ঊর্ধ্বমুখী। চালের দাম গত এক মাসে ৫-৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সাড়ে ১২ কেজি এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে দেড়শ’ টাকারও বেশি। সয়াবিনসহ বেশিরভাগ তেলের দামও লিটার প্রতি ৫ টাকা বেড়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে শাক-সবজির দাম বেড়েছে দ্বিগুনেরও বেশি। আমনের উৎপাদন নিয়েও শঙ্কা বাড়ছে। সব ধরনের শীতকালীন সবজি এখন ৮০-৯০ টাকা কেজি। ফলে ব্যয় সংকোচন করেও সংসার চলছে না বেশিরভাগ মানুষের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের সঞ্চয়পত্র শাখায় গিয়ে একাধিক নারী বিনিয়োগকারীর ক্ষোভের কথাও শোনা গেছে। দু’বছর আগে পরিবার সঞ্চয়পত্রে এক লাখ টাকা বিনিয়োগে মাসে ১ হাজার ৭০ টাকা মুনাফা তুলতেন নিলুফা বেগম। এরপরে তা ৯১২ টাকায় হ্রাস পায়। জুলাই থেকে একই বিনিয়োগের বিপরীতে তিনি মুনাফা পাচ্ছেন ৮৬৪ টাকা। তিনি প্রশ্ন করেন, শতকরা দু’টাকারও বেশি মুনাফা হ্রাস করল সরকার, অপরদিকে সব নিত্যপণ্যের দামে ঊর্ধ্বগতি। আমরা বাঁচব কি করে? একই প্রশ্ন পেনসনার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগকারীদেরও।
মুনাফা হ্রাসের কারণে সঞ্চয়পত্রসহ সরকারি বিনিয়োগে সঞ্চয় প্রবৃদ্ধিতেও ভাটির টান শুরু হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে সঞ্চয়পত্র বিক্রির হার চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫০%-এরও বেশি হ্রাস পেয়েছে। একই অবস্থা আইসিবি’র সব বিনিয়োগেও। ২০১৮-এর জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দক্ষিণাঞ্চলে যেখানে বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল প্রায় ১৬৫ কোটি টাকার, ২০১৯-এর একই সময়ে তা বিক্রি হয়েছে ৭৬ কোটি টাকারও কম। অপরদিকে গত বছর জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে যেখানে সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর পরিমাণ ছিল প্রায় ১০১ কোটি টাকা। এবার তা একই সময়ে প্রায় ১৩০ কোটি টাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
সীমান্তে ঢুকে দুই জেলেকে ধরে নিলো বিএসএফ
রাজশাহী ব্যুরো ও গোদাগাড়ী উপজেলা সংবাদদাতা
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ফরহাদপুর নির্মলচরের নিচ হতে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে আব্দুর রহিম (৫৫) ও ওমর আলী (৩২) দুই জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতের টিকনা চর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা। আটককৃত দুই জেলে প্রেমতলী কাঁঠাল বাড়িয়া গ্রামের আবু বক্কর ও মৃত মোশাররফ হোসেনের ছেলে।
মাটিকাটা ইউপির ১ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. নয়ন আলী জানান, আটককৃত দুই জেলে গতকাল বৃহষ্পতিবার বিকেল ৩ টার দিকে বাংলাদেশের ভিতর ফরহাদপুর সামাজিক বনায়নের নিকট নির্মল চর এলাকায় মাছ ধরে নিয়ে আসছিলো। এই সময় ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশ প্রবেশ করে তাদের টেনে হিচড়ে নিয়ে চলে যায়।
এই ঘটনা এলাকাবাসী প্রেমতলী বিজিবি ক্যাম্পেও জানাই। বাংলাদেশে বিএসএফ প্রবেশ করে ধরে নিয়ে যাওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এবিষয়ে বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউদ্দিন মাহমুদ বলেন, স্থানীয়রা বিজিবিকে জানিয়েছে বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে দুই জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এ সময় কয়েকজন পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। তবে এ ঘটনার পর বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।