পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস কেন কিছু স্থানে প্রচন্ড আঘাত হেনেছে এবং কিছু স্থানে ছাড় দিয়েছে, তা বোঝার চেণ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বজুড়ে ইতিমধ্যে শত শত গবেষণা চলছে যে, জনসংখ্যা, পূর্ব-বিদ্যমান পরিস্থিতি এবং বংশগতি কীভাবে স্থানভেদে বিভিন্ন প্রকার পরিস্থিতেকে প্রভাবিত করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেছন যে, পাশাপাশি তাপমাত্রা এবং জনসংখ্যা এর কারণ হতে পারে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি এখানে ২ কিস্তিতে প্রকাশিত হবে। আজ ১ম পর্ব দেয়া হ’ল ঃ
ইরানে করোনাভাইরাস এত বেশি লোককে হত্যা করেছে যে, দেশটি গণকবর দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে প্রতিবেশী ইরাকের মৃতের সংখ্যা ১শ’রও কম। ডোমিনিকান রিপাবলিক প্রায় ৭ হাজার ৬শ’ সংক্রমণের খবর জানিয়েছে। অথচ সীমান্তের ওপারেই হাইতিতে সংক্রমণের সংখ্যা মাত্র ৮৫টি।
ইন্দোনেশিয়ায়তে করোনাভাইরাসে হাজার হাজার মৃত্যু ঘটেছে বলে বিশ্বাস করা হয়। নিকটবর্তী মালয়েশিয়ায়, কঠোরভাবে লকডাউনের কারণে প্রাণহানির ঘটনা প্রায় ১শ’তে সীমিত রয়েছে।
কঠোর সামাজিক দূরত্ব এবং প্রাথমিক লকডাউন ব্যবস্থা স্পষ্টভাবেই কাজে লেগেছে। তবে মিয়ানমার এবং কম্বোডিয়া সেসব অনুসরণ করেনি এবং হাতেগোনা কয়েকটি সংক্রমণের খবর দিয়েছে। এ বিষয়ে যে তত্ত্ব অপ্রমাণিত কিন্তু ব্যাখ্যা করা সম্ভব, তা হ’ল, দেশগুলিতে সম্ভবত এখনো ভাইরাস যেতে পারেনি। রাশিয়া ও তুরস্কও সঙক্রমিত হওয়ার আগে নিশ্চিন্তে ছিল তারপর হঠাৎ করেই সেখানে সংক্রমণ ধরা পড়ে।
বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, করোনাভাইরাসের খামখেয়ালীপনার রহস্য জানলে, নিজেদেরকে কীভাবে এবং কতদিন পর্যন্ত সর্বোত্তমভাবে সুরক্ষিত করতে হবে, তা নির্ধারণ করা সহজ হয়ে উঠতে পারে। সময় এখনও সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামক হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে:
বিশ্বজুড়ে সংক্রামক রোগ নিয়ে গবেষণা করা চিকিৎসকরা বলছেন যে, তাদের কাছে মহামারী সংক্রান্ত সম্পূর্ণ চিত্র পাওয়ার জন্য এখন পর্যাপ্ত তথ্য নেই এবং অনেক দেশের তথ্যের যে অসঙ্গতি ও ফাঁক ফোকর রয়েছে, সেগুলো ছাড়া খুব তাড়াতড়ি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো বিপজ্জনক হবে। ১৯১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে স্প্যানিশ ফ্লু ছড়িয়ে পড়লে ধারণা করা হয়েছিল যে, গ্রীষ্মকালে তার সমাপ্তি ঘটবে। কিস্তু তা শরৎকালে আরো প্রাণঘাতী হয়ে ফিরে আসে এবং পরের বছর ৩য় বারের মতো আঘাত হানে। এটি একসময় আলাস্কা এবং দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপের মতো সুদূর প্রান্তে পৌঁছেছিল এবং বিশ্বের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশকে সংক্রমিত করেছিল।
ভাইরাস পরীক্ষা অনেক জায়গাতেই শোচনীয়, যা ভাইরাসের অগ্রগতিকে বিশাল অবমূল্যায়নের দিকে ঠেলে দিয়েছে এবং এসংক্রান্ত মৃত্যুর ঘটনা নিঃসদেহে সঠিক গণনার বাইরে রয়ে যাচ্ছে। অনেক উন্নয়নশীল দেশে উষ্ণ আবহাওয়া এবং তরুণ জনসংখ্যা সহ সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে পেরেছে।
তারুণ্যের শক্তি:
বহু মহামারী থেকে রক্ষা পেয়েছে এমন দেশগুলির জনসংখ্যা তুলনাম‚লকভাবে তরুণ। সিঙ্গাপুরের নানিয়াং টেকনোলজিকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যা ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জোসিপ কার বলেছেন, তরুণদের মধ্যে আরো শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম থাকে, যার ফলে সংক্রমণ হালকা হয়ে দেখা দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে গবেষকরা বলেছেন, তারুণ্যের পাশাপাশি, আপেক্ষিকভাবে সুস্বাস্থ্য আক্রান্তদের মধ্যে ভাইরাসের প্রভাবকে হ্রাস করতে পারে। তবে কিছু পূর্ব-বিদ্যমান পরিস্থিতি, বিশেষত উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং স্থুলতা তীব্র সংক্রমণকে আরো মারাত্মক করতে পারে।
জনসংখ্যা তত্তে্বর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রমও রয়েছে। জাপান, বিশ্বের প্রবীণতম গড় জনসংখ্যা নিয়ে ৫শ’ ২০টিরও কম মৃত্যু রেকর্ড করেছে, যদিও পরে পরীক্ষায় সংক্রমণের হিসাব বেড়েছে এবং হার্ভার্ডের ড. ঝা সতর্ক করেছেন যে কিছু যুবক যাদের ভেতর লক্ষণগুলি দেখা যাচ্ছে না তারাও ভীষণভাবে সংক্রামক। কারণ তাদের সংক্রমণের বিষয়টি ভালভাবে বোঝা যায় না। (চলবে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।