নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টানা দুই কমনওয়েলথ গেমসে রুপা জিতলেও দেশসেরা শ্যুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকির সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে ব্যাক্তিগত ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে স্বর্ণপদক জয়ের আক্ষেপটা থেকেই গেল। ২০১০ ঢাকা এসএ গেমসে দলগত ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছিলেন বাকি। কিন্তু পরের আসর গৌহাটি-শিলং এসএ গেমসে পদকশূণ্যই ছিলেন বাংলাদেশের এই তারকা শ্যুটার। আর চলমান নেপাল এসএ গেমসে নিজের প্রিয় ব্যাক্তিগত ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে যথারীতি স্বর্ণবঞ্চিতই থেকে গেলেন তিনি। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের ব্যাক্তিগত ও দলীয় ইভেন্টে বাকি জিতেছেন ব্রোঞ্জপদক। আর এই ইভেন্টের ব্যাক্তিগতে এটাই বাকির প্রথম পদক জয়।
বৃহস্পতবার কাঠমান্ডুর সাতদোবাদো স্পোর্টস কমপ্লেক্সের শ্যুটিং রেঞ্জে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর শ্যুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকির দিকেই চোখ ছিল সবার। এসএ গেমসে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের ব্যক্তিগত ইভেন্টে কখনোই পদক জিততে না পারা বাকি এদিন ফাইনালের শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন। মাঝে একবার পিছিয়ে পড়লেও ফের শীর্ষে ওঠে আসেন। গ্যালারিতে উপস্থিত বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের সদস্য ও সাংবাদিক মিলিয়ে গোটা ত্রিশেক বাংলাদেশীদের মাঝে তখন টান টান উত্তেজনা। আর দু’টি শ্যুট ঠিকমতো করতে পারলেই এবারের এসএ গেমসে পঞ্চম সোনার পদকটি জিততে পারতেন বাকি। একই সঙ্গে তার স্বপ্নও পূরণ হতো। কিন্তু পূরনো সেই রোগটি আবারও পেয়ে বসে এই শ্যুটারকে। শেষ দুই শ্যুটে প্রত্যাশা অনুযায়ী স্কোর করতে পারেননি তিনি। তাতেই স্বর্ণস্বপ্ন ভেঙ্গে যায় বাকির। ২২৮ স্কোর করে ব্রোঞ্জ জেতেন তিনি। ২৪৯.২ স্কোর করে সোনা পান ভারতের পংকজ কুমার এবং ২৪৮.৭ স্কোর করে রুপা জিতেন আরেক ভারতীয় অঙ্কুশ যাদব।
ব্যক্তিগত এই ইভেন্টে স্বর্ণ জয়ের খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন বাকি। মাত্র ০.১ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকায় স্বর্ণের লড়াই থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। প্রত্যাশার চাপ নাকি অন্য কিছু। বারবার কেন এমন হচ্ছে? এর উত্তর জানা নেই বাকির। তাই তো খেলা শেষে তিনি বলেন,‘নার্ভাসনেস বা প্রেসার; যেটা ফাইনালে সবসময় সবারই থাকে। আমারও এটা ছিল আজ (বৃহস্পতিবার)। আমি নিজেই এটা কাটানোর চেষ্টা করেছিলাম। নিজেকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেই চেষ্টাও করেছিলাম। হার্টবিট বা প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে যেন সঠিক শ্যুট করতে পারি সেটাই ছিল আমার লক্ষ্য। আমি আমার মতো করে চেষ্টা করেছি। শেষ দু’টি শ্যুট ১০.০ এবং ১০.১ মেরেছি, যা খারাপ নয়। তবে স্বর্ণ জেতার জন্য এটা যথেষ্টও নয়।’ এসএ গেমসে ব্যক্তিগত ইভেন্টে স্বর্ণ জিততে না পারাটা বাকির জন্য আক্ষেপ হয়েই রইল- এটা মেনে তিনি বলেন,‘অবশ্যই স্বর্ণ না পাওয়ায় একটা আক্ষেপ তো আছেই। কারণ আমি ওই পজিশনই ছিলাম। শেষ
চার-পাঁচটি শ্যুটে আমিই উপরে ছিলাম। তারপরেও যে চাপ ধরে রাখতে আমি পারিনি। আমার মনে হয়, এটা নিয়ে আমাকে কাজ করতে হবে। আমি দূর্ভাগা। আপনি দেখেন লিডে থেকেও স্বর্ণ জিততে পারলাম না।’
বড় আসরে পদক জিততে আরো বেশি আন্তর্জাতিক টুর্ণামেন্টে খেলার বিকল্প নেই বলে মনে করেন বাকি। তার কথায়,‘ সাফল্য পেতে হলে বেশি বেশি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন করতে হবে আমাকে। ভারতের শ্যুটাররা আমার সঙ্গে কাতারে খেলেছে। এসএ গেমসে খেলার আগে চায়না গিয়েছে তারা। জার্মানিতে, নেদারল্যান্ডসে লিগ খেলেছে। তারা সবসময় খেলার মধ্যে থাকে। এটা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। শুধুমাত্র পার্থক্যটা বোঝালাম। আমি দুই বছরে ফাইনাল প্র্যাকটিস করছি দুই দিন আর ওরা করছে দশদিন। এটাই আসলে ওদের সঙ্গে আমাদের বড় পার্থক্য।’
শনিবার ১০ মিটার এয়ার রাইফেল মিক্সড ইভেন্টে সৈয়দ আতকিয়া হাসান দিশাকে নিয়ে স্বর্ণের লড়াইয়ে নামবেন বাকি। এই দু’জনের হাত ধরেই আজারবাইজানের বাকুতে ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে সোনা জিতেছিল বাংলাদেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।