নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নেপালের আবহাওয়া এখন বেশ শিতল। অক্টোবর মাসের মাঝামাঝিতে এখানে শীত শুরু হলেও বর্তমানে কাঠমান্ডুর তাপমাত্রা সকাল ও সন্ধ্যায় থাকে ৫ থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যে আবহাওয়ায় অভ্যস্ত নন বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা। ফলে লাল-সবুজের একের পর এক ক্রীড়াবিদ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ঠাঁই নিচ্ছেন। এ অসুস্থতাই বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের দুই অ্যাথলেটকে চুড়ান্ত লড়াইয়ে ট্র্যাকে নামতে দেয়নি। এদিন সকাল পৌঁনে দশটায় সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে নেমেছিলেন বাংলাদেশের জহির রায়হান ও আবু তালেব। তৃতীয় হয়ে হিট টপকে জহির এবং অষ্টম হয়ে আবু তালেব ফাইনালে উঠলেও চুড়ান্ত লড়াইয়ে আর ট্র্যাকে নামা হয়নি তাদের। তবে জহির-তালেবের মতো হিটে অসুস্থ হয়েও শেষ পর্যন্ত ফাইনালে দৌড়িয়েছেন লাল-সবুজের নারী স্প্রিন্টার সাবিহা আল সোহা। যদিও তিনি সাফল্য পাননি। হিট শেষেই জহির ও তালেবের শ্বাস কষ্ট শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে দু’জনকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্লু ক্রস হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। ফলে চুড়ান্ত লড়াইয়ে এ দু’জনের আর ট্র্যাকে নামা হয়নি। ব্লু ক্রস হাসপাতালের চিকিৎসক পবন রাওয়াল জহির সম্পর্কে বলেন, ‘'জহিরের পালস স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। এ অবস্থায় আমরা তাকে ফাইনালে অংশ নেয়ার অনুমতি দিতে পারছি না।’
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু বলেন, ‘জহির এবং তালেবেকে ইতোমধ্যেই হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিয়ে দেয়া হয়েছে এবং তারা দু’জনে হোটেলের রুমেও চলে গেছে। আজকে (গতকাল) তাদের পুরো বিশ্রামে থাকতে হবে ডাক্তারের নির্দেশে। কাল (আজ) বিকেলে আমাদের ডাক্তার তাদের ফিটনেস সার্টিফিকেট দেবেন। তবে তারা ৪০০ মিটার স্প্রিন্টের ফাইনালে আর খেলতে পারছেন না।’ তিনি যোগ করেন, ‘তবে আমরা আশাবাদী জহির ও তালেব আগামীকাল (আজ) চার গুণিতক ৪০০ মিটার এবং শনিবার চার গুণিতক ১০০ মিটার রিলেতে অংশ নিতে পারবেন।’
তবে ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে অংশ নিতে না পেরে জহির ও তালেব হতাশ হয়েছেন। বিশেষ করে জহির অনেক বেশি আপসেট ছিলেন। তিনি বলেছেন ওই ইভেন্টে অংশ নিতে পারলে একটা কিছু অর্জন করতে পারতেন নিশ্চিতভাবেই। ডাক্তার যখন জানিয়ে দিলেন জহির এই ইভেন্টে খেলতে পারবেন না, তখন তিনি অনেক কান্নাকাটি করেছেন।
নেপালের উচ্চতা ও আবাহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরেই অসুস্থ হচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা। এদের বেশীরভাগেরই শ^াস কষ্ট হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।