অল বোরোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল মাইনরিটি স্টুডেন্টস’ ইউনিয়নের (এবিএমএসইউ) প্রায় ৩০০ সদস্য নয়াদিল্লীর জন্তর মন্তরে মঙ্গলবার বিক্ষোভ করেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পুরো ভারতজুড়ে এনআরসি প্রণয়নের ঘোষণা দেয়ার প্রেক্ষিতে সরকারের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ করলো তারা।বিক্ষোভকারীরা ‘গো ব্যাক অমিত শাহ’, ‘গো ব্যাক ভারত সরকার’ এবং ‘গো ব্যাক হেমস্ত বিশ্ব শর্মা’ লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করে। তারা অভিযোগ করেছে যে, বিজেপি সরকার আসামে ও কেন্দ্রে এনআরসিকে একটা ‘রাজনৈতিক খেলায়’ পরিণত করেছে। এবিএমএসইউ-এর সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, “এনআরসি প্রক্রিয়া নবায়নের আমরা তীব্র বিরোধীতা করছি। আসামের মানুষ, বিশেষ করে মুসলিমরা চরম হয়রানির শিকার হয়েছে। রাজ্যের ৫৫,০০০ কর্মচারি চূড়ান্ত এনআরসি তৈরির জন্য যে পরিশ্রম করেছে এবং করদাতাদের যে কোটি কোটি রুপি ব্যায় হয়েছে, সেটাকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছেন হেমন্ত বিশ্ব শর্মা ও অমিত শাহ। তিনি আরও বলেন, “আমাদের ধৈর্য শেষ হয়ে গেছে এবং চূড়ান্ত এনআরসি তালিকায় যাদের নাম এসেছে তাদেরকে পরিচয় পত্র দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আমরা দাবি জানাচ্ছি”। ২০ নভেম্বর শাহ রাজ্যসভায় ঘোষণা দেন যে, আসামের এনআরসি আপডেট প্রক্রিয়া নতুন করে করা হবে এবং ভারতের অন্যান্য জায়গাতেও এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হবে। একই দিনে, আসামের অর্থমন্ত্রী শর্মা বলেন যে, রাজ্য সরকার শাহকে অনুরোধ করেছে যাতে বর্তমান এনআরসিকে গ্রহণ করতে সরকার অস্বীকার করে। এবিএমএসইউ সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিলেরও বিরোধীতা করে বলেছে যে, এটা ‘অসাংবিধানিক’ এবং এতে ‘ভারতীয় সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘিত হয়েছে’, যেখানে বলা আছে ‘আইনের চোখে সবাই সমান’ এবং ‘সবাই আইনের সমান সুরক্ষা পাবে’। এবিএমএসইউ বোরোল্যান্ডের অ-উপজাতীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠিগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে। এদের মধ্যে মুসলিম, আদিবাসী ও কোচ রাজবংশীরাও রয়েছে। ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট আবু সাইয়েদ আনসারি বলেন, “অ-উপজাতীয়রা বিটিসি চুক্তি বা ভারতীয় সংবিধানের ষষ্ঠ শিডিউল – কোনটা থেকেই উপকৃত হয়নি। এসএএম।