বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে পুলিশি কাজে বাঁধা দানের অভিযোগে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ১০জন নেতা কর্মীর নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত দেড় থেকে ২শ জনকে আসামী করে মামলা করেছে পুলিশ। এঘটনায় পুলিশ ৫জনকে গ্রেফতার করা করেছে।
আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাজারহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দুটি গ্রুপ প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠন করে। গত শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে রাজারহাট কারিগরি বানিজ্যিক কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবুনুর মোঃ আক্তারুজ্জামানের গ্রুপ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে কুড়িগ্রাম আওয়ামীলীগের জেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুস ছালাম চাষী গ্রুপ নেতা কর্মীদের নিয়ে সম্মেলনে অংশ নিতে গেলে তারা বাধার মুখে পড়েন। পরে চাষী আব্দুস ছালাম ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদ সোহরাওয়ার্দি বাপ্পী গ্রুপের নেতা কর্মীরা উপজেলা শহরের সোনালী ব্যাংক চত্বরে অবস্থান নেয়। এসময় পুলিশ তাদেরকে টিয়ার সেল,রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাটিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং পুলিশের সাথে নেতা কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে ৪পুলিশ সদস্য সহ ১২জন আহত হয়। পরে সভাপতি আঃ ছালাম গ্রুপের নেতা কর্মীরা রাজারহাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে অবস্থান গ্রহণ করলে সেখানে দ্বিতীয় দফা পুলিশ লাটি চার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে।
এদিকে রাজারহাট কারিগরি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় মোঃ শাহের আলীকে সভাপতি ও আবু নুর মোহাম্মদ আখতারুজ্জামানকে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করে কমিটি গঠন করা হয়। অপরদিকে সন্ধ্যায় আব্দুস ছালামের পক্ষে আঃ ছালাম চাষীকে সভাপতি ও অধ্যক্ষ আসিফ সোহরাওয়ার্দী রাজনকে সাধারন সম্পাদক করে ৬৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপজেলা কমিটি ঘোষনা করা হয়।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে রাজারহাট থানার এস আই বেলাল হোসেন বাদী হয়ে সরকারী কাজে বাঁধাদান ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে সভাপতি আব্দুস ছালাম গ্রুপের ১০জন নেতা কর্মীর নাম উল্লেখ সহ দেড় থেকে ২শ জনকে আসামী করে রাজারহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। রাতেই মামলার এজাহার নামীয় আসামী নারায়ন (৪০),মোজাফ্ফর (৩৫) আইয়ুব (৪০) রিফাত (৩০) ও হাবিবুর (৩০) নামের ৫জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ রোববার কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরন করে।
মামলার পর থেকে সভাপতি আব্দুস ছালাম গ্রুপের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের মাঝে গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ কৃষ্ণ কুমার সরকার জানান,পুলিশী কাজে বাঁধা ও পুলিশকে আহত করার ঘটনায় ১০জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত দেড় থেকে ২শ জনকে আসামীর মামলায় ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।