Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাউফলের উত্তর চন্দ্রদ্বীপ ইউপির ভাঙ্গা দুই ব্রিজের কারণে দুর্ভোগের শিকার

শিক্ষার্থীসহ হাজারো জনসাধারণের জনদুর্ভোগ চরমে

বাউফল (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০১৯, ২:৩০ পিএম | আপডেট : ২:৪৬ পিএম, ৩০ নভেম্বর, ২০১৯

পটুয়াখালীর বাউফলের চন্দ্রদ্বীপ ইউপির পশ্চিম চরমিয়াজান বাজার সংলগ্ন ব্রিজ ও আলগী ব্রিজ চার বছরেও সংস্কার না হওয়ায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন পৃথক এই দুইটি ব্রিজ পাড় হতে গিয়ে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, মহিলা ও শিশুসহ বয়োবৃদ্ধরা দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। মুলভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন চন্দ্রদ্বীপ ইউপির উত্তর চন্দ্রদ্বীপের সাত-আটটি চরের প্রায় ১৪-১৫ হাজার মানুষের চলাচলে এই ব্রিজ দুইটি এখন মরনফাঁদে পরিনত হলেও সংস্কার কিংবা পূন:নির্মাণে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা কর্তৃপক্ষ।

রায়সাহেব চরের মাঝখান দিয়ে তেঁতুলিয়া নদী থেকে উঠে আসা চন্দ্রদ্বীপ ইউপির পশ্চিম চরমিয়াজান বাজার সংলগ্ন ব্রিজ ও চরনিমদী-চরআলগীর মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের উপর জালাল ফরাজি বাড়ির পাশের আলগী ব্রিজ দুটির অধিকাংশ স্লাবধ্বসে যাওয়ার কারনে দু’পাশের চর রায়সাহেব, চরমিয়াজন, চরনিমদী, কিসমত পাঁচখাজুরিয়া, চরকচুয়াসহ ৭-৮টি চরের হাজারো মানুষ জিবেনের ঝুঁকি নিয়ে এই ব্রিজ দুটি দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।

এছাড়া ৯৭ নং চর রায়সাহেব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরওয়াডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মুল ভূখন্ডের ধানদী ফাজিল মাদ্রাসা, ধানদী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭১ নং নিমদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা কলেজ, বাউফল সরকারি কলেজ, নিমদী লঞ্চঘাটের যাত্রি ও ইউনিয়ন কমিউনিটি স্বাস্থ্য সেন্টারের রোগী-সাধারনসহ উভয় পাশের চরমিয়াজান ও ধানদী বাজারের লোকজন প্রতিদিন চলাচল করে।

ব্রিজ দুইটির স্লাব ও লোহার এ্যাঙ্গেল ক্ষতিগ্রস্থ’ হওয়ায় চলাচলের জন্যে স্থানীয়রা গাছের ডাল, বাঁশ ও কাঠের তক্তা দিয়ে কোনরকম ভাবে মেরামত করলেও সংস্কার কিংবা পূন:নির্মাণের কোন ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

ধানদী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমরান, শারমীন, নার্গীস, সীফাসহ বেশকয়েকজন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এই প্রতিবেদকে জানান, “ব্রিজটি দুটি দিয়ে পাড় হতে গিয়ে মহা ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষার্থী, বয়োবৃদ্ধ, মহিলা ও শিশুরা। অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। গত এক বছরে অন্তত ৮-১০ বার দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে ব্রিজ ব্যবহার করা শিক্ষার্থীরা”।

চর রায়সাহেব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কলি আক্তার জানান, “ মাত্র বছর চারেক আগে ব্রিজ দুটি নির্মাণ করা হলেও ঠিকাদারের কারসাজির কারণে এই অল্প সময়েই ব্রিজদুটির করুন হাল হয়েছে। সিমেন্টের স্লাব ভেঙে যাচ্ছে। গাছের ডাল, কাঠ, বাঁশ দিয়ে মেরামত করা হলেও তা বেশি দিন স্থায়ী হচ্ছে না। প্রতিদিন হাজারো চরবাসিকে মূলভূখন্ডের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাসপাতাল, বাজার ও নিমদী লঞ্চঘাটে পাড়ি দিতে হয়। বিকল্প কোন পথ না থাকায় এই দুটি ব্রিজ পাড় হতে চরবাসীদের দুর্ভোগ এখন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাড়িয়েছে। এ ছাড়া রায়সাহেব চরের গুচ্ছগ্রামের শিশু শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিতে সেখানেও খালের ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণ জরুরী হয়েছে”।

চন্দ্রদ্বীপের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রায়সাহেব এলাকার মেম্বর ছালাম শরীফ বলেন, ‘সিমেন্টের স্লাব ও লোহার এ্যাঙ্গেলে নির্মিত ব্রিজদুটির অধিকাংশ স্লাবই ভেঙে পড়ে যাচ্ছে। ব্যাক্তিগত উদ্দ্যেগে সংস্কারের ব্যাবস্থা করা হলেও তা স্থায়ী হচ্ছে না। চরের ছেলে-মেয়েরা এমনিতেই অনেক কস্টে নদী পাড় হয়ে স্কুল-কলেজে যাতায়ত করে। জনসাধারন ও শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘবে রায়সাহেবের গুচ্ছগ্রাম সংলগ্ন খালের ওপার নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণসহ এই দুই ব্রিজের খুব দ্রুত সংস্কার করা না হলে যেকোন সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রিজ

২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ