Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৭ জুন ২০২৪, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চার প্রকল্প উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর পার্বত্য চট্টগ্রামে ঢেউ উঠেছে উন্নয়নের

প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম একসময় অশান্ত ছিল। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর শান্তি চুক্তির মাধ্যমে আমরা এ সমস্যার সমাধান করি। এখন সেখানে উন্নয়নের ঢেউ উঠেছে। এক সময়ের অন্ধকার পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন বিদ্যুতের আলো ছড়াচ্ছে। সোলার বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে সেখানে রাতদিন কাজ হচ্ছে। অর্থ-নীতির গতি সঞ্চার হচ্ছে।

গতকাল গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ৪টি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রকল্পগুলো হল- পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সৌর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্থাপনা, বিশ্বের ৭ম বৃহৎ ফোর টায়ার ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার, ভ্রাম্যমান গবেষণা তরী এবং শিপিং কর্পোরেশনের ৫টি নতুন জাহাজ উদ্বোধন। শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য ছিল এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হলে স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যে এই বাংলাদেশ উন্নত দেশ হতো। স্বাধীনতার পর পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্ত পরিবেশ ছিল। কিন্তু ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত হয়ে ওঠে।

তিনি বলেন, ৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার পর পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার সমাধান করি। শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরে এসেছে। সেখানকার এক হাজার ৮০০ অস্ত্রধারী আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের আমরা পুনর্বাসন করেছি। বিএনপির আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল। এখন সেখানে উন্নয়নের ঢেউ উঠেছে। সোলার বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে সেখানে রাতদিন কাজ হচ্ছে। অর্থ-নীতির গতি সঞ্চার হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্ন দ্বীপ বলে গ্রিড লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব না। এ কারণে আমরা সোলার প্যানেলের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলোকিত করেছি। শুধু পার্বত্য চট্টগ্রাম নয়, বাংলাদেশের একটি ঘরও অন্ধকার থাকবে না। প্রতিটি ঘরে আলো জ্বলবে। কাজের গতি বাড়বে, সময় বাড়বে। সন্ধ্যা হলেই এখন অনেকে আর ঘুমিয়ে পড়ে না। বিদ্যুতের আলোয় কাজ করে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনকালে সারাদেশের প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বালাবার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, শুধু পার্বত্য চট্টগ্রাম নয়, বাংলাদেশের একটি ঘরও অন্ধকার থাকবে না। প্রতিটি ঘরে আলো জ্বলবে। কাজের গতি বাড়বে, সময় বাড়বে। বিদ্যুতের আলোয় কাজ হবে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুল উশৈ সিং, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মেজর (অব:) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং গণভবনের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন।

প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাত
গতকাল সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বঙ্গভবনে সাক্ষাত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাধারণত বিদেশ সফর থেকে ফিরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে বিভিন্ন বিষয়ে অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী। চলতি নভেম্বর মাসে দুবাই এয়ার শোতে অংশ নিতে আরব আমিরাত এবং পরে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে প্রথম দিবারাত্রি টেস্ট ম্যাচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতা যান শেখ হাসিনা। এর আগে ১৬ অক্টোবর বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা

 



 

Show all comments
  • ম নাছিরউদ্দীন শাহ ২৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১০:৩২ এএম says : 0
    বাংলাদেশের দশ ভাগের একভাগ পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শান্তির পায়রা উড়িয়ে রক্তাক্ত জনপদে শান্তির সুবাতাস প্রতিষ্ঠা করছেন। হাজার হাজার মানুষের জীবন বাচিয়েছেন। যুদ্ধের ময়দানে পরম শান্তির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করছেন। অত্যন্ত দুঃখজনক শান্তির পক্ষে এই বিশাল অবদানের জন্য। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই বিশ্ব মানবতার মাকে শান্তিতে নোবেল পুরুক্ষার হতে বন্চিত করলেন। আমরা বাংলাদেশীরা সম্মানিত হতে পারলাম না। উন্নয়ন অগ্রগতি পার্বত্যাঞ্চল সহ চট্টগ্রামে হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নচারিনী মুজিব বর্ষে বাংলাদেশ আলো কিত করবেন। সামাজিক শান্তি রাজনৈতিক শান্তি এই দেশে বড়ই প্রয়োজন। প্রতিয়োগিতার বিশ্ব বাস্তবতার মাঝে রাজনৈতিক শৃঙ্খলা পারেন দেশ জাতির প্রত্যাশিত পথে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুদা দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্টা করতে। বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ হউক শান্তির উন্নয়ন অগ্রগতির বাংলাদেশ। আর তখনই মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর পরিশ্রম ত্যাগ দেশের জন্য পরিপূর্ণ সার্থক হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাক্ষাৎ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ