পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : মৃত্যুদ-াদেশ কার্যকরের কিছুক্ষণ আগে পরিবারের সদস্যদের সাথে শেষ সাক্ষাতের সময় মতিউর রহমান নিজামী পরিবারের সদস্যদের ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান নিজামীর ভাতিজি।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিজামীর সঙ্গে সাক্ষাত শেষে কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। মতিউর রহমান নিজামীর ভাতিজি জানান, তারা যখন কারাগারের ভেতর প্রবেশ করেন তখন নিজামী নামাজ পড়ছিলেন। এরপর নিজামী তাদের বলেন, আমি নিজে শক্ত আছি, তোমরাও শক্ত থাকো। একই সাথে তিনি পরিবারসহ দলের নেতাকর্মীদের সকলকে ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দেন। নিজামীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে তিনটি গাড়িতে করে তাঁর পরিবারের সদস্যরা কারা ফটকে পৌঁছান। ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে কারাগার থেকে বেরিয়ে চলে যান তারা।
পরিবারের শেষ সাক্ষাৎ
মৃত্যুদ- প্রাপ্ত জামায়াতের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে গতকাল রাতে শেষ সাক্ষাৎ হয়। বিকেলে নিজামী প্রাণভিক্ষায় অসম্মতি জানালে সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যদের কারাগারে ডাকা হয়। রাত ৮টায় পরিবারের প্রায় ২৪ জন সদস্য তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে কারাগারে প্রবেশ করে। সেখানে প্রায় দেড় ঘন্টা অবস্থান শেষে ৯ টার কিছু সময় পর তারা বেরিয়ে যায়।
পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন, নিজামীর স্ত্রী শামসুন্নাহার নিজামী, বড় ছেলে ব্যারিস্টার নাজীব মোমেন, বড় পুত্রবধূ, দুই নাতি, ছোট মেয়ে মহসীনা, নিজামীর চাচাতো ভাই, ভাইয়ের মেয়েসহ নিকটাত্মীয়রা। তবে দেখা করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় পরিবারের কেউ গণমাধ্যমের সাথে কোন কথা বলেননি।
সন্ধ্যায় কারা কর্তৃপক্ষ তাদের টেলিফোনে কারাগারে আসতে বললে ৬টায় ৩৫ মিনিটে রাজধানীর বনানীর জে ব্লকের ১৮ নম্বর রোডের ৬০ নম্বর বাড়ি ‘মিশন নাহার’ থেকে তিনটি গাড়িতে কারাগারের পথে রওনা হন নিজামীর পরিবারের এসব সদস্য। রাত ৭টায় ৫২ মিনিটে তারা কারাফটকে উপস্থিত হন। কিছুক্ষণের মধ্যে কারা কর্তৃপক্ষ নিজামী পরিবারের সদস্যদের কারাগারের অভ্যন্তরে প্রবশে করায়। এসংবাদ লেখা পর্যন্ত নিজামীর স্বজনরা কারাগারের অভ্যন্তরে অবস্থান করছিল।
এর আগে সন্ধ্যায় কারাগারের মূল ফটকে এসে পৌঁছান। প্রথমে একটি কালো পাজেরো (ঢাকা মেট্রো-চ১৬-০২৫৭) কারাগারে প্রবেশ করে। দ্বিতীয়টি প্রাইভেটকার ঢাকা মেট্রো ঘ ১১-৮৬৩৮ এবং সবশেষে আরেকটি মাইক্রোবাস ঢাকা মেট্রো চ ৫৩-১৪৬৪৯ কারাফটকে প্রবেশ করে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কারা কর্তৃপক্ষ নিজামীর পরিবারের সদস্যদের দেখা করতে ফোন দেয়। অবশ্য নিজামীর সঙ্গে দেখা করার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবারকে ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।