পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। পসৗজন্য সাক্ষাতের শুরুতেই অর্থমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। জাতির পিতা সোনার বাংলা বিনির্মাণের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সে স্বপ্ন পূরণে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন। শেখ হাসিনা দক্ষ, যোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছেন বলেও জানান মন্ত্রী।
এ সময় অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এবং বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর ক্ষতিকর প্রভাব উত্তরণে দ্রুততার সঙ্গে সহায়তার জন্য এডিবির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর আগামী ২৬-৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এডিবি বোর্ডের ৫৫তম বার্ষিক সভায় অংশগ্রহণে সম্মতি দেয়ায় অর্থমন্ত্রীকে অগ্রীম ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ও এডিবির সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের বিষয়েও আলোচনা করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের নেয়া কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নেয়া উন্নয়ন প্রকল্পে এ অর্থবছরে প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ঋণ ডলার সহায়তা প্রকিয়াধীন আছে।
এডিমন গিন্টিং বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে এডিবির দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং এডিবি বাংলাদেশের পাশে থাকবে। এ দেশের গ্রামীণ ও নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহায়তা অব্যাহত রাখা এবং জলবায়ু সহনশীল উন্নয়ন বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে এডিবি। তিনি কোভিড-১৯ মহামারির ক্রান্তিকালে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ অন্যতম সেরা উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী এডিবি এ পর্যন্ত ২৭ দশমিক ৫৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে। করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব উত্তরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে সহায়তা দেয়ায় অর্থমন্ত্রী এডিবিকে ধন্যবাদ জানান। বিশেষ করে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এডিবিকে আরও উন্নয়ন সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ জানান মন্ত্রী। সামগ্রিকভাবে উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও এডিবির মধ্যে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
করোনা মহামারি কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা পুনরুদ্ধারে এডিবি শুরু থেকেই বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগিতা করছে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের পাশে সবসময় এডিবি থাকবে বলে প্রতিষ্ঠানটির কান্ট্রি ডিরেক্টর আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি প্রধানত বিদ্যুৎ, শিক্ষা, পরিবহন, জ্বালানি, পানিসম্পদ, কৃষি, স্থানীয় সরকার, সুশাসন, আর্থিক এবং বেসরকারি খাতকে প্রাধান্য দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।