বিভিন্ন দাবিতে নৌযান শ্রমিকরা আজ মধ্যরাত থেকে দক্ষিণাঞ্চলসহ সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী সকল নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। ১১ দফা দাবি আদায়ে নৌযান শ্রমিকদের ৮টি সংগঠনের জোট বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
এ নিয়ে গত একবছরে তিনবার ধর্মঘটের ডাক দিল ফেডারেশন। ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের দাবি, নৌযান মালিক ও সরকার বারবার ওয়াদা ভঙ্গ করায় তারা ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এবার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করবেন না। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করা হলেও তাদের মূল দাবি হচ্ছে ২০১৬ সালে প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী সকল স্তরের শ্রমিকদের বেতন প্রদান।

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহ আলম ভূঁইয়া গতকাল বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত তারা ৩ বার ধর্মঘটে গেছেন। প্রতিবারই শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার করানো হয়েছে। পরবর্তীতে নৌযান মালিকরা দাবিগুলো মেনে নেননি।

তিনি আরও বলেন, এবারও ধর্মঘট বন্ধ করতে বুধবার শ্রম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সভা হয়। সেখানে অয়েল ট্যাঙ্কার মালিক ছাড়া অন্য নৌযানের মালিক প্রতিনিধিরা আসেননি। গতকাল দুপুরে ফেডারেশনভুক্ত সকল সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করেছেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, যাত্রীবাহীসহ সব নৌযানের মালিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতি ছাড়া শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোন ধরনের বৈঠক কিংবা দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস শ্রমিকরা মানবেন না।

এদিকে ধর্মঘট সফল করতে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ নৌবন্দর বরিশালে ব্যাপক প্রস্ততি নিয়েছেন নৌযান শ্রমিকরা। তারা গতকাল বরিশাল নৌবন্দরে বিক্ষোভ সভা ও মিছিল করেন।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের বরিশাল জেলা সভাপতি হাশেম মাস্টার জানান, তারা ধর্মঘটের সমর্থনে বিক্ষোভ, লিফলেট বিতরণসহ নানাভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। আজ সকাল ও বিকালে নৌবন্দরে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করা হবে।