পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা, যশোর : যশোরে ঝিকরগাছা কপোতাক্ষ নদপাড়ে ৩ জন ও মনিরামপুর সড়কের সতীঘাটা থেকে ১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার ভোরে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ৪ জনের ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখতে লোকজনের ভিড় হয়। পুলিশ দাবি করছে মঙ্গলবার মধ্যরাতে গণপিটুনি ও বন্দুকযুদ্ধের শিকার তারা।
পুলিশ ছাড়া মধ্যরাতের ঘটনা সম্পর্কে কোনো সূত্র পাওয়া যায়নি। ফলে পুলিশি সূত্র যা বলেছে সেটি উল্লেখিত হচ্ছে। নিহত ৪ জনের পরিচয়ও মেলেনি। সবার পরণে লুঙ্গি। তাদেও বয়স ৩০ থেকে ৩৫-এর মধ্যে।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা খবির আহমেদ জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে একদল ডাকাত উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে হানা দেয়। ডাকাতদের উপস্থিতি টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে ডাকাতদের ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে একপর্যায়ে কপোতাক্ষ পাড়ের কৃষ্ণনগর গ্রামের কাটাখাল এলাকায় মধ্যে ৩ জনকে ধরে ফেলে উত্তেজিত জনতা। তাদের গণপিটুনিতে এই তিন ডাকাত নিহত হয়। তবে এলাকার কেউ কার বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টাকালে কিং কিভাবে গণপিটুনীর শিকার হলো তারা। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের পরিচয় সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
হাসপাতাল ও স্থানীয় সুত্র জানায়, নিহতদের মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত থাকায় গুলি না ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। মাথা ও মুখমন্ডল ক্ষতবিক্ষত হলেও শরীরের অন্যকোথাও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। পার্কের মধ্যে সামান্য দূরত্বে তিনটি স্থানে পর পর লাশগুলো ফেলা ছিল। সেখানে ছিল জমাটবাঁধা রক্ত।
প্রসঙ্গত, এর একদিন আগে সোমবার মধ্যরাতে ঝিকরগাছার ওয়াপদা বস্তি এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে উপ সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) তৌহিদুল ইসলাম আহত হন। বর্তমানে তিনি যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে, যশোরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অজ্ঞাত এক যুবক নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে যশোর-মণিরামপুর সড়কের সতীঘাটা বাজারের কাছে কামালপুরে ‹বন্দুকযুদ্ধের› ঘটনাটি ঘটে। কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, একদল ডাকাত সড়কের দুইধারে গাছে দড়ি বেঁধে ডাকাতির প্রস্ততি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়।
সর্বশেষ গণপিটুনিতে নিহত তিন ব্যক্তির মধ্যে একজনের পরিচয় মিলেছে। তিনি যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া বাজারের চা দোকানি খোরশেদ আলম। তার মেয়ে ও ছেলে জেনারেল হাসপাতাল মর্গে এসে পিতাকে শনাক্ত করেন। অন্য দুইজনের লাশ অজ্ঞাত হিসেবে দাফনের জন্য নিয়ে গেছে আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম। জানা যায়, খোরশেদ আলম শার্শা উপজেলার কাগজপুকুর গ্রামের আলম আলী সরদারের ছেলে। তিনি বেশ কয়েকবছর ধরে সদর উপজেলার চাউলিয়া গ্রামে সপরিবারে বসবাস করতেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।