Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুশকি কেন ও প্রতিকার

ডাঃ জেসমিন আক্তার লীনা | প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০১৯, ৮:৫৩ পিএম

খুশকি চুল পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ। শীতে এ সমস্যা আরো ভয়াবহ হয়ে ওঠে। তাই শীতে চুলও পড়তে থাকে অনেক বেশি। চুল বিভিন্ন কারণে পড়তে পারে, তবে খুশকি থাকলে চুল একটু বেশি পরার সম্ভাবনা থকে ।

মাথার ত্বক অনুযায়ী, খুশকিও আবার নানা রকম হয়ে থাকে। আবার অতিরিক্ত খুশকির কারণে মাথায় ফাঙ্গাসসহ নানা রকম সংক্রমণ দেখা দেয়। অনেক সময় মাথার ত্বকে প্রচুর চুলকানি হয়। তবে সব ধকলের শেষ পরিণতি হয় চুল পড়ে পাতলা হয়ে যাওয়া। তাই শুরুতেই খুশকি দূর করা প্রয়োজন।
খুশকি একবার হলে তা একেবারে দূর করা মুশকিল হয়ে পড়ে। অনেকে অনেক রাসায়নিকও ব্যবহার করে থাকেন। তবে খুশকির কারণ জানা থাকলে তা সহজেই দূর করা সম্ভব। তবে খুশকি হওয়ার অন্যতম কারনগুলো একনজর দেখে নিন -
অতিরিক্ত ময়লা :
চুলে যদি অতিরিক্ত ময়লা হয় বা নিয়মিত না ধোয়া হয়, তবে খুশকি হয়। তাই যাঁরা নিয়মিত বাইরে যান বা ধুলাবালিতে চলাফেরা করেন, তাঁদের খুশকি হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে।
ফাঙ্গাস :
ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হলেও খুশকি হয়। বেশ কয়েক দিন চুল ধোয়া না হলে আর মাথার ত্বক ঘেমে থাকলে ফাঙ্গাস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
তৈলাক্ত ত্বক :
অনেকের মাথার ত্বক তৈলাক্ত থাকে। আবার যাঁরা অনেক বেশি ঘামেন, তাঁদের মাথার ত্বকেও খুশকি হতে পারে।
নিম্নমানের পণ্য ব্যবহার :
আমাদের ত্বক ও চুল খুবই স্পর্শকাতর। তাই এগুলোর জন্য মানসম্পন্ন পণ্যসামগ্রী ব্যবহার করা প্রয়োজন। আবার নিজের ত্বক বা চুলের সঙ্গে পণ্যটি মানিয়ে যাচ্ছে কি না, তাও ভাবতে হবে। দু-একবার ব্যবহারের পরেই লক্ষ করতে হবে পণ্যটি ব্যবহারের ফলে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কি না। নিম্নমানের পণ্য খুশকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বংশগত কারণ :
অন্যান্য রোগের মতো খুশকিও বংশগত কারণে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।
মানসিক চাপ বা ক্লান্তি : দীর্ঘদিন মানসিক চাপ বা অতিরিক্ত ক্লান্তিতে থাকলে খুশকি হতে পারে।
খুশকিযুক্ত জিনিসপত্র ব্যবহার :
পরিবারের কারো মাথায় খুশকি থাকলে তাঁর ব্যবহৃত তোয়ালে বা চিরুনি অন্য কেউ ব্যবহার করলে খুশকির সংক্রমণ হতে পারে। এমনিতেও এই জিনিসগুলো সবার আলাদা থাকাই উত্তম।
পরামর্শ বা চিকিৎসা :
খুশকি দূর হয়ে গেলেও কিছু পরিমাণ যদি অবশিষ্ট থাকে, পুরো মাথায় আবার ছড়িয়ে পড়বে। তাই নিয়মিত চুল ধুয়ে রাখুন। অন্তত সপ্তাহে তিনবার শ্যাম্পু করুন।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বা ভালোভাবে জেনে কোনো পণ্য ব্যবহার করুন। কেনার পরেও যদি বুঝতে পারেন পণ্যটি মানাচ্ছে না, তবে বাদ দিন। চুলের পরিচর্যা একদিন করে তারপর ফেলে রাখলে হবে না। পরিচর্যা করতে হবে নিয়মিত। এর পরও ভালো না হলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

জুনিয়র কনসালটেন্ট (ডার্মাটোলজী)
সরকারী কর্মচারী হাসপাতাল, ফুলবাড়ীয়া ঢাকা
অরোরা স্কিন এন্ড এয়েসথেটিকস
পান্থপথ, ঢাকা
০১৭২০১২১৯৮২

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুশকি
আরও পড়ুন