Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাভারে সওজের উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় দিন

গুঁড়িয়ে দিয়েছে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা

স্টাফ রিপোর্টার, সাভার : | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

ঢাকার সাভারে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের চলমান উচ্ছেদের দ্বিতীয় দিনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুই পাশে অবৈধভাবে গড়ে তোলা শতাধিক স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সড়ক ও জনপথের জায়গায় গড়ে ওঠা স্থায়ী অস্থায়ী মার্কেট ভবনসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

গতকাল বেলা ১১টা হতে সাভার থানা বাসস্ট্যান্ড থেকে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের এক পাশে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে নির্মিত সুহাসি টাওয়ার, পাকিজা ডায়িং ফ্যাক্টরির সীমানা প্রাচীর ও অস্থায়ী সেড, বেশ কয়েকটি কাঁচা বাজার উচ্ছেদ করা হয়।

শুধুমাত্র পাকিজা ডায়িংয়ের দখল হতে প্রায় ৩০ শতাংশ জমি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান অভিযানে থাকা সওজের যুগ্ম সচিব (সম্পত্তি ও আইন) মাহবুবুর রহামান ফারুকী। তিনি বলেন, পাকিজা ডায়িং অ্যান্ড প্রিন্টিং কারখানার দখলে থাকা আরও জমি উদ্ধার প্রক্রিয়াধীন। তারা ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে ৫ দিন সময় নিয়েছে। কারণ তাদের দখলে থাকা এ অংশে মেশিনপত্র ও বৃহৎ সাইজের কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে।

এদিকে অভিযানকালে বিভিন্ন স্থাপনার মালিকানা দলিল, পর্চা, নকশাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বেশ কয়েকজন স্থাপনার মালিক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারী দলের কাছে পেশ করেন। তারা বিনা নোটিশে ভবন ভাঙার কারণ জানতে চান।

তখন যুগ্ম সচিব (সম্পত্তি ও আইন) মাহবুবুর রহামান ফারুকী তাদের বলেন, আগেই সকলকে জানানো হয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দল ও স্থানীয় প্রেসক্লাবে আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার কথা আগেই চিঠিতে জানিয়েছি।

পাকিজা কারখানা হতে জমি উদ্ধারের সময় কারখানাটির কয়েক কর্মকর্তা প্রতিবাদ করলে উত্তেজনা দেখা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে বাক-বিত-ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে।

পাকিজা ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং কারখানার প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা শফিউল আলম জানান, কারখানার ভেতরে অনেক বড় বড় মেশিনপত্র, গ্যাসের লাইন রয়েছে সেগুলো সরানোর জন্য ১০ দিন সময় চেয়েছিলাম কিন্তু তারা (সওজ) ৫ দিন সময় দিয়েছে। ৫ দিনের মধ্যে মেশিনারিজ সরাতে বেগ পেতে হবে বলেও জানান তিনি। তবে সরকারি জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে প্রশ্ন করলে পাকিজার ওই কর্মকর্তা বলেন, আমাদের জমির কাজগপত্র রয়েছে।

সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের যুগ্ম সচিব মাহবুবুর রহমান ফারুকী আরও জানান, অভিযানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, সার্ভেয়ার, স্টাফ অফিসার, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী, তিতাস গ্যাস অফিসের কর্মীসহ দেড়শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী এ উচ্ছেদ অভিযানে কাজ করছেন।

সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) জাকারিয়া হোসেন বলেন, যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্থাপনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ