মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বহু ইউরোপিয়ান নাগরিক তথাকথিত ইসলামিক স্টেটে হয়ে সিরিয়ায় যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। যাদের অনেকের মৃত্যুর পর তাদের সন্তানেরা সিরিয়ায় আটকা পড়েছে। সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর শক্ত ঘাটিগুলো পতনের পর তাদের যোদ্ধাদের অনেকের পরিবারের আশ্রয় মিলেছে শিবিরে। এই শিশুদের নিজের দেশে ফিরে যাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক ও আইনি জটিলতা।
অবশেষে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আটকে পড়া ৬০ ব্রিটিশ শিশুরা যুক্তরাজ্যে আশ্রয় পেতে যাচ্ছে। সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, কাউন্সিল ও শিশুদের আত্মীয়রা তাদের গ্রহণ করতে রাজি হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিন ব্রিটিশ এতিম শিশু যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছে এবং তাদের আদালতের ওয়ার্ডে সাময়িকভাবে রাখা হয়েছে। কিন্তু তাদের শিশুকেন্দ্রে পাঠানো হবে না। কারণ তাদের আত্মীয়রা নিজেদের কাছে রাখতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছে।
সিরিয়ার সংঘাতে শরণার্থী শিবিরে আটকে পড়া ইসলামিক স্টেট (আইএস) সদস্যদের ব্রিটিশ সন্তানদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে যখন সরকারের উপর চাপ বাড়ছে তখন এই পদক্ষেপের খবর জানা গেলো। শীতকাল শুরু হওয়ার আগেই তাদের ফিরিয়ে আনার দাবি জোরালো হচ্ছে।
সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আটকে পড়া ৬০ ব্রিটিশ শিশুদের মধ্যে মাত্র কয়েকজন এতিম এবং অভিভাবকহীন। কিন্তু বেশিরভাগ তাদের মায়ের সঙ্গে অবস্থান করছে। সরকারের নীতি হলো, সিরিয়ার শিশুদের মায়েদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন না করা। এতে করে শিশুদের যুক্তরাজ্যে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়েছে।
সেভ দ্য চিলড্রেনের মানবাধিকার পরামর্শক ওরলাইথ মিনোগ জানান, উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার দুটি কেন্দ্রে তাদের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। সেবা-যতœ ও উগ্রপন্থা থেকে ফিরিয়ে আনার মতো বিভিন্ন কর্মসূচি চলছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন কিছু বিবেচনায় নিয়ে বলা যায় ওই শিশুদের নিজ দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। অনেক ক্ষেত্রে তাদের গ্রহণে উদগ্রীব পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া যেতে পারে। অনেক পরিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
মিনোগ আরও বলেন, এটি বলা নিরাপদ যে, এই প্রথম যুক্তরাজ্য এভাবে শিশুদের ফেরত আনছে না। যে শিশুরা অবর্ণনীয় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেসব শিশুদের পরিবারের সঙ্গে থাকা প্রয়োজন তাদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া বিদ্যমান।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে কীভাবে শিশুদের ফিরিয়ে আনা যায় তা বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে সাধারণভাবে আইএস খিলাফতের অধীনে জন্ম নেওয়া ও বাসকারী ব্রিটিশ শিশুদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে খুব বেশি আগ্রহী না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।