বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রথম দফায় বলা হয় ষ্ট্রোক করে মারা গেছে, দ্বিতীয় দফায় বলা হয় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আতœহত্যা করেছে। তিন মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে এমন অসংলগ্ন কথা-বার্তার খবর ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।পরবর্তীতে গভীর রাতে ওই ঘটনাকে পাঁচ লাখ টাকায় রফার মাধ্যমে আতœহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আর এমন ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা সদরে।
গত রোববার সকালে বাউফল পৌরসভার সাহাপাড়া এলাকায় টুম্পা রানী (২২) নামে এক গৃহবধূ নিহত হন। খবর পেয়ে সকাল ১১ টার দিকে স্থানীয় সাংবাদিকেরা সেখানে উপস্থিত হয়ে মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে টুম্পার জা পিংকি সাহা (২৮)(বাসুরের স্ত্রী) বলেন, ষ্ট্রোক করে মারা গেছেন টুম্পা। এর কিছুক্ষণ পরে টুম্পার শাশুড়ি পুস্প রানী (৫৫) বলেন ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ওই গৃহবধূ সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা নিতাই সাহার স্ত্রী। ২০১২ সালে নিতাই সাহার সঙ্গে পাশের গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া গ্রামের সন্তোস সাহার মেয়ে টুম্পা রানী সাহার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে গৌর হরী (৬) নামে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
নিহত ব্যক্তির স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,রোববার সকালে শাশুরী ও জা’য়ের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে টুম্পার। পরে সকাল আটটার দিকে টুম্পা তাঁর ছেলে গৌর হরীকে নিয়ে স্কুলে চলে যায়। গৌরকে স্কুলে রেখে ফের বাড়িতে যান টুম্পা। ওই সময় টুম্পার সঙ্গে শাশুড়ি পুস্প রানীর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শাশুড়ি ও জা পিংকি সাহা মিলে মারধর করে।একপর্যায়ে টুম্পা অচেতন হয়ে মারা যায়। প্রথমে ষ্ট্রোক, পরবর্তীতে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন,‘গলায় ফাঁস লাগিয়ে আতœহত্যা করলে তাঁকে (টুম্পা) ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যেত।কিন্তু তাঁকে সেভাবে কেউ দেখতে পাননি। এটি একটি হত্যা।’
টুম্পার মৃত্যুর বিষয়ে তাঁর ভাই শুভ সাহা বলেন, বিবাহের পর থেকে টুম্পাকে কারণে অকারণে প্রায়ই মারধর করা হত। যা টুম্পা তাঁদেরকে মুঠোফোনে জানিয়েছেন। তাঁর দাবি বোনকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে তাঁদেরকে থেমে যেতে হয়েছে।বিভিন্ন কারণ সম্পর্কেও তিনি কিছু বলতে চাননি।
তবে এ বিষয়ে টুম্পার বাবা মন্তোষ সাহা শুরুতে মেয়ে হত্যার বিচার চান। কিন্তু গতকাল সোমবার এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,‘রফার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য আজ (সোমবার) সকালে লাশ পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে। আত্মহত্যা না করলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।