এডিট করা যাবে পাঠানো মেসেজ! অতি প্রয়োজনীয় ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ
অ্যাপেল কিংবা টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলিতে মেসেজ পাঠিয়ে দেয়ার পরও তাতে কোনও ভুল থাকলে এডিট করা
টেন মিনিট স্কুল এখন রবি টেন মিনিট স্কুল। দেশের সবচাইতে বড় এই অনলাইন পাঠশালার যাত্রা পথের সংগী দেশের অন্যতম বড় মোবাইল নেটওয়ার্ক রবি। যাত্রার শুরুর গল্পটা কিন্তু এত সহজ ছিলনা। সেই গল্পটাই আজকে শেয়ার করবো। সেই সাথে রবি টেন মিনিট স্কুলের উদ্যোক্তা আয়মান সাদিকের অনেক অজানা গল্পই সবাই জানবে, সেই সাথে জানাবো রবি টেন মিনিট স্কুল নিয়ে ভবিষ্যতের অনেক পরিকল্পনা।
রবি টেন মিনিট স্কুলের যাত্রা শুরুর গল্প
টেন মিনিট স্কুল। দেশের সবচাইতে বড় অনলাইন পাঠশালা। এটি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের একটি উদ্যোগ। দেশের সর্বত্র সমন্বিত শিক্ষার স্বপ্নের বীজ বুননে শুরু হয় এ পথচলা। আর এর উদ্যোক্তা আয়মান সাদিক।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সময় উপযুক্ত নির্দেশনা পাননি তিনি। তাই সফলতা পেতে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়ে আয়মান সাদিক পড়লেন মহা যন্ত্রণায়! মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে হিসাব বিজ্ঞান ক্লাসে বসে তার মাথা ঘুরপাক খেতে লাগল।
সমস্যা কাটাতে ইউটিউবে হিসাববিজ্ঞান বিষয়ের ওপর কিছু টিউটোরিয়াল খুঁজে পেলেন। এরপর সতেরোটা ভিডিও দেখে আবিষ্কার করলেন, হিসাব বিজ্ঞানের মোটা বইটার ১৭টা অধ্যায় পড়া শেষ তার! ভাবলেন, সহজে শেখার এই উপায়টা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিলে কেমন হয়? এই ভাবনা থেকেই বছর দুয়েক আগে যাত্রা শুরু হয়েছিল টেন মিনিট স্কুল ডটকম (10minuteschool.com) নামের ওয়েবসাইট।
এ অনলাইন প্লাটফরম তৈরির উদ্যোগের উদ্দেশ্য আয়মান সাদিকের কাছে জানতে চেয়েছিলাম।
“মুল উদ্দেশ ছিলো দুইটা বাঁধা দূর করা, অর্থনৈতিক বাঁধা এবং ভৌগোলিক বাঁধা এই দুইটা বাঁধার কারনে বাংলাদেশের স্টুডেন্টরা ঠিক মত এডুকেশন পাচ্ছে না। আর একটা বাঁধা আমার মনে হয় সেটা হচ্ছে ইনফরমেশন বাঁধা, কারন পড়ানোটা যত সুন্দর করে বুঝানো যায়, যত সুন্দর করে শেখানো যায়, অনুপ্রেরনা দেয়া যায় এই কাজটা এই ব্যাপারটা হচ্ছিলো না। ফ্রি করলে অর্থনৈতিক বাঁধা নেই, অনলাইনে করলে ভৌগোলিক বাঁধা নেই আর আমরা চাচ্ছিলাম বিভিন্ন রকম ইন্টার্যাক্টিভ কন্টেন্ট আনতে, কারন বাংলাদেশে এরকম কন্টেন্ট আগে ছিলো না যেমন স্মার্ট বুক আছে, লাইভ ক্লাস আছে যেখানে শুধু মাত্র ওয়ান ওয়ে কমিউনিকিশন না, টু ওয়ে কমিউনিকেশন হয়। তো সেখান থেকেই ৩টা মূল বাঁধা দূর করার জন্য রবি টেন মিনিট স্কুলের সূচনা।”
আইবিএ থেকে বিবিএ পাস করে আয়মান সিদ্ধান্ত নিলেন ‘চাকরিতে যোগ দেব না’, ব্যাপারটা তো তাঁর নিজের ক্যারিয়ারের জন্য ভয়েরই ছিল। পরিবারের সবচেয়ে বড় ছেলের মুখে ‘আগে দেশ গড়ব, পরে নিজেকে’, ব্যাপারটা অবশ্যই ভয়ের ছিল তাঁর পরিবারের জন্য। পরিবারের লোকদের কাছে শুরুতে তার বড় ছেলের পরিচয় দেওয়াটাও কিছুটা বিব্রতকর ছিলো।
এমন কি সে সময়টাতে পাড়ায় রটে যায়, আয়মানের কাছ থেকে দূরে থাকবে। সে কী জানি ভিডিও বানায় রাত জেগে জেগে।
কে কী মনে করল তা থোড়াই কেয়ার করে আয়মান এগিয়ে যেতে থাকলেন। টিউশনি করে সেই টাকা দিয়ে চালিয়ে যেতে থাকলেন তাঁর অনলাইন ক্লাস। দিনে চারটি টিউশনি পর্যন্ত করেছেন। টেন মিনিট স্কুলে প্রথম স্পনসর আসার আগে তাঁর টিউশনি করে তোলা আট লাখ টাকার পুরোটাই এখানে দিয়েছেন। সাহস এক মুহূর্তের জন্যও হারাননি। হাসিমুখেই ছিলেন।
একদম শুরু দিকের প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে আয়মান জানান, তার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ছিলো মূলত বাস্তবিক ধারণার অভাব। তার মুখেই শোনা যাক শুরুর দিকের কথা, রবি-টেন মিনিট স্কুলের ওয়েবসাইট বানানোর জন্যে দু-দুবার দু-দুটো সফটওয়্যার কোম্পানীর সরণাপন্ন হয়েছিলাম। দূর্ভাগ্যবশত দু-দুবারই বোকা বনতে হয়েছিলো। তখন এ বিষয়গুলো নিয়ে তেমন পরিষ্কার ধারণা না থাকার কারণে এ ধরণের ঝামেলায় পড়তে হয়েছিলো। আর পরিবার, পাড়া-প্রতিবেশীকে পুরো বিষয়টা সম্পর্কে বোঝাতেও রীতিমতো বেগ পেতে হয়েছে। হতাশা একেবারেই কাজ করতো না বললে মিথ্যা বলা হবে। হাল ছাড়ার কথা ভাবি নি কখনো!
টেন মিনিট স্কুল নাম ঠিক করার কারণ
টেন মিনিট স্কুল নাম ঠিক করার কারণ জানতে চাইলে এর উদ্যোক্তা আয়মান সাদিক চমৎকার উত্তর দেন। সেটি পাঠকদের সাথে হুবহু তার ভাষাতেই শেয়ার করছি।
“আমরা বাঙ্গালিরা কিন্তু সব সময় এই কথাটা বলি, যেমন ধরেন আপনি ঘুমিয়ে আছেন কোথাও যেতে হবে আপনি বলেন “ভাই ১০ মিনিটে আসছি”। ৫ ঘন্টা লাগলে ও ১০ মিনিট, ১ মিনিট লাগলে ও ১০ মিনিট। আমরা ১০ মিনিটে সব কাজ করতে চাই, সেখান থেকেই চিন্তা করা তাহলে পড়ালেখা কেন ১০ মিনিটে করবো না। তাই প্ল্যান করলাম যা শিখতে চাও, যা প্র্যাকটিস করতে চাও সব ১০ মিনিটে, সেখান থেকেই নামটা ঠিক করি টেন মিনিট স্কুল।
মাত্র ১০ মিনিটে ব্যাপারটা করা অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ, নতুন কেউ আসলে প্রথমে একটু সমস্যার মধ্যে পরে যায় যে মাত্র ১০ মিনিটে করতে হবে। আসলে অনলাইন এ আপনার একটা পড়ালেখার কন্টেন্ট ঠিক পাশে একটা গানের ভিডিও, তার ঠিক পাঁশে একটা নাচের ভিডিও ইত্যাদি ইত্যাদি এবং ওই ভিডিওগুলা অবশ্যই অনেক ইন্টারেস্টিং। আর সেটা ফেলে রেখে ঘন্টার পর ঘন্টা ক্লাস আসলে কেউ করতে চাইবে না তাই চিন্তা করলাম যত ছোট করবো তত ভালো, আমার শুরু দিকের ভিডিও গুলা যদি দেখেন সেগুলি এক মিনিটের, আমি টাইমার নিয়ে বসতাম, ৫০ সেকেন্ড আসলেই তারাতাড়ি শেষ করে ফেলার চেস্টা করতাম।”
রবি টেন মিনিট স্কুলে কি আছে?
এই সাইটে ক্লিক করলেই পছন্দের বিষয়ের ওপর নির্ধারিত কিছু নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন চলে আসবে। ১০ মিনিটের মধ্যে এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। সময় শেষ হলে অথবা সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়ে গেলে দেওয়া হবে ফলাফল। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কার অবস্থান কত, তাও বলে দেবে ওয়েবসাইটটি। ঘরে বসেই শিক্ষার আলো পেয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি, নিজেকে যাচাই কিংবা তথ্য অনুসন্ধান, সব হবে এক ওয়েবসাইটে। অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা থেকে শুরু করে আইবিএ, মেডিক্যাল, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ‘কুইজ’ পরীক্ষার প্রশ্ন পাওয়া যাবে এখানে। বিসিএস, ব্যাংক ও অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির পাশাপাশি আইইএলটিএস, টোফেল, স্যাট, জিআরই, জিম্যাটের জন্যও আছে ভিন্ন ভিন্ন কুইজ।
রবি টেন মিনিট স্কুলের সবচাইতে জনপ্রিয় ফিচার লাইভ অ্যাডমিশন কোচিং। এ ফিচারে অ্যাডমিশন কোচিং দিয়ে শুরু হলেও বর্তমানে এস.এস,সি, এবং এইচ.এস.সি কোর্স , এমন কি স্কীল ট্রেনিংগুলোও শুরু হয়েছে। এই লাইভ ফিচার ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
আয়মান সাদিকের লেখা ৪টি বই:
নেভার স্টপ লার্নিং, ভাল্লাগেনা, স্টডেন্ট হ্যাকস, ট্রাভেল বাংলাদেশ
জনপ্রিয় অনলাইন পাঠশালার উদ্যোক্তা আয়মান সাদিকের গল্প
আয়মান সাদিক বাংলাদেশের এক তরুন উদ্যোক্তার নাম। তাঁর বাবা সামরিক কর্মকর্তা। আয়মান চট্টগ্রামের ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এণ্ড কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। তিনি উচ্চমাধ্যমিকে অধ্যয়ন করেছেন আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এণ্ড কলেজে। আয়মান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ (ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন) থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপরই তিনি ২০১৫ সালের মার্চ মাসে ১০ মিনিট স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে তার উদ্যোগ জ্বালিয়েছে আলোর মশাল এবং স্বীকৃতি স্বরূপ পান অনেক পুরস্কার, যেমন কুইন্স ইয়ং লিডার অ্যাওয়ার্ড ২০১৮, ব্র্যাক ম্যানথান ডিজিটাল উদ্ভাবন পুরস্কার, গ্লোমো পুরস্কার, বার্সেলোনা সামাজিক প্রভাবের জন্য সুইস দূতাবাস পুরস্কার, ইয়ুথ এওয়ার্ড ২০১৬, ডিওয়াইডিএফ ইওথ আইকন পুরস্কার, বিযম্যাস্ট্রোস চ্যাম্পিয়ন, ব্রাণ্ডউইটজ’ ১৩ চ্যাম্পিয়ন, ইউনিলিভার ফিউচার লিডার’স লিগ ২০১৬, এমডব্লিউসি পুরস্কার এবং বিশ্ব মোবাইল কনগ্রেসে গ্লোমো পুরস্কার। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী সাময়িকী ফোর্বসের চলতি বছরে এশিয়ার সেরা ৩০ উদ্যোক্তার তালিকায়ও নাম এসেছে আয়মান সাদিকের।
রবি টেন মিনিট স্কুলের পিছনের টীম
রবি টেন মিনিট স্কুল প্রধান পরিকল্পনা আয়মান সাদিক। কিন্তু এত বড় কর্মযোগ্য চালানোতো আর একার পক্ষে সম্ভব না। এতক্ষন উপরের লিখাগুলো পড়ার পর মনে হয়, সবার মনের ভিতরেই এ প্রশ্নটি জাগ্রত হয়েছে, পুরো রবি টেন মিনিট স্কুল পরিচালনা করতে কতজনের টিম রয়েছে। হুমম, সেই সম্পর্কেও এবার জেনে যাবেন। আর উত্তর দিয়েছে ‘রবি টেন মিনিট স্কুল’-এর প্রতিষ্ঠাতা।
শুরুর দিকে আমার কিছু স্টুডেন্ট ছিলো, আমি বিভিন্ন অনার্স স্টুডেন্ট পড়াতাম তারাই জয়েন করলো টেন মিনিট স্কুল এ। শুরুতে ভলেন্টিয়ার সাপোর্ট ছিলো, আস্তে আস্তে তাদের মাধ্যমে টিমটা বড় হতে শুরু করলো।
তুখোড় তুখোড় একদল ছেলেমেয়ে তাঁর ফ্যাকাল্টিতে আছেন—রাইদ, শামস, জিহান, মুনজেরিন, জুবায়ের, সাদমান, ইহসান, শামি—নাম বলে শেষ করা যাবে না। দলটা তাঁদের ভারী হয়েই চলেছে। ফ্যাকাল্টি সদস্য এখন ৫৩ জন। প্রতি মাসেই তিন-চারজন করে যুক্ত হচ্ছেন। তাঁরা দশ মিনিটে মুশকিল আসান করে দিচ্ছেন পড়াশোনার।
৪০ জনের বেশি শিক্ষক আছে এখানে। রাইটার আছে প্রায় ৩০ জনের মত তাই সব মিলিয়ে আপনি ধরতে পারেন ১৫০ জনের একটা বিশাল টিম কাজ করছে।
সাইটের বিপুল জনপ্রিয়তার পেছনে অবদান রেখে চলেছে একঝাঁক তরুণ-তরুণীর নিরলস শ্রম ও প্রচেষ্টা। স্বপ্নকে ছড়িয়ে দিতে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন প্ল্যাটফর্মটির উন্নয়নে এবং সমৃদ্ধকরণে। যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো শিক্ষার্থী, শিক্ষক এই অনলাইন স্কুলের জন্য স্বেচ্ছাশ্রম দিতে পারেন। আয়মান সাদিক বলেন, আমি নিজে অনেক কিছুই শিখেছি খান একাডেমির ভিডিও দেখে। সেখান থেকেই ধারণা পেলাম, আমাদের শিক্ষার বিষয়গুলোও সহজভাবে উপস্থাপন করা যায় কীনা। আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের যেন কোচিংয়ের ওপর নির্ভর করতে না হয়, ঘরে বসেই যেন তারা বিনা মূল্যে শিখতে পারে, পরীক্ষার প্রস্তুতি যাচাই করতে পারে, এটাই আমাদের চাওয়া।
রবি টেন মিনিট স্কুল এবং এর স্রষ্টার নিজকে নিয়ে ভবিষ্যত স্বপ্ন
নিজের কথা যদি বলি ছোট আকারে আমার নিজের একটা পেজ আছে দেখবেন Ayman Sadiq, এটা ভেরিফাইড পেজ, ওখানে আমি রেগুলার ভিডিও আপলোড করি, আমার একটা ইউটিউব চ্যানেল Ayman Sadiq এটা ভেরিভাইড ইউটিউব চ্যানেল প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজারের মত সাবস্ক্রাইবার আছে সেখানে, আমার যখন যেটা ভালো লাগে সেটা নিয়ে আমি শেখানোর চেস্টা করি, ভিডিও বানাই আর সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে একদিনেই প্রায় লাখ খানেক অথবা লাখ দুয়েক মানুষ ভিডিও দেখে ফেলে। ৫ বছর পরের স্বপ্নটা হচ্ছে এখন যেভাবে শিখাচ্ছি সেভাবেই শিখাতে চাই, এখন যদি দুই দিনে দুই লাখ মানুষ দেখে তাহলে ৫ বছর পর দুই দিনে ২০ লাখ মানুষ দেখুক। এটা পারসোনাল জায়গা থেকে
রবি টেন মিনিট স্কুল এর স্বপ্ন হলো এর সাথে বাংলাদেশের ১ লক্ষ ৭০ হাজার স্কুল এবং ৪ কোটি ২৭ লক্ষ স্টুডেন্টদের কানেক্ট করে ফেলা।
বাংলাদেশ নিয়ে স্বপ্ন হচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আরো উন্নত হবে, আরো ওপেন হবে, ক্রিটিকাল থিঙ্কিং, প্রবলেম সল্ভিং ইত্যাদি যে ব্যাপারগুলা প্রয়োজন হয় সেটা এ দেশের কারিকুলামে চলে আসবে। যে যেটাতে ভালো তাকে সেটাতে পড়ালেখার সুযোগ করে দেয়া হবে এবং মুখস্থ বিদ্যা থেকে বের হয়ে ইনটেলিজেন্ট বেসজড একটা সিস্টেম এ পরিনত হবে এবং টেন মিনিট স্কুলএখানে বড় ভুমিকা পালন করবে।
তরুণদের জন্য আয়মান সাদিকের উপদেশ
পরে করবো করতে করতে অনেকখানি সময় নষ্ট করা হয়েছে। তাই আজ থেকেই নিজের শখের কাজটা করার জন্য যা যা করা দরকার, করা শুরু করে দাও। মনে রেখো, Sometimes later becomes never. আর হ্যাঁ, হাল ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে এসো। অন্যদের দোষ না দিয়ে নিজের উপর দোষ নেওয়ার অভ্যাস করো। Stop complaining, start fixing and taking actions. ভাগ্যের উপর কখনো দোষ দিও না, মানুষের দোষ-ত্রুটি নিয়ে কথা বলো না, আইডিয়া নিয়ে কথা বলো, সমস্যার সমাধান খোঁজো! অনেকদূর এগিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
অর্থনৈতিক বাঁধা নতুন কিছু শুরুর ক্ষেত্রে একটা বড় সীমাবদ্ধতা এটা অস্বীকার করাটা অসম্ভব! সেজন্য আমি বলবো ছাত্রাবস্থা থেকেই উপার্জনের শুরু করাটা বেশ জরুরি। আমার কথা যদি বলি আমি পড়াতে ভালোবাসি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ থেকেই স্টুডেন্ট পড়াতাম। এমনকি আমার রবি-টেন মিনিট স্কুলের একদম শুরুর দিকের ফান্ডিংয়ের খরচাটুকু পুরোটাই আমার উপার্জনের টাকা থেকেই করা। তাই, সকল শিক্ষার্থীদের প্রতি পরামর্শ হলো, নিজেদের দক্ষতা আর আগ্রহের জায়গাটা খুঁজে বের করো। সেটার পেছনে সময় আর শ্রম দাও। উপার্জন করা শুরু করো। স্বপ্ন দেখলেই হবে না। সেটাকে সত্যি করার জন্যে কাঠ-খড়ও পোড়াতে হবে। নতুন কিছু করতে গেলে বাঁধা আসবে, সেটাকে জয় করার জন্য প্রস্তুতি নাও। শুভকামনা রইলো তোমাদের সবার জন্যে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।