২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
পানির পর মানুষ পৃথিবীতে বেশি পান করে যে পানীয়, সেটা হচ্ছে চা। চা-স্পৃহা চঞ্চল হলে চাতকের মত চা পানের জন্য উদগ্রীব হন, অনেকে। চা পান না করা পর্যন্ত যেন শরীর ও মন দু’টোরই তৃষ্ণা মেটে না। চা যেন হিতকারী পানীয়, তা এখন অনেকেই জেনেছেন। চায়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও অন্যান্য যৌগ। গবেষণায় দেখা গেছে, চা পান করলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো জোরদার হয়, এমনকী কোষের ক্ষতি, জরা অনেকই হ্রাস পায়। কোনও কোনও গবেষণায় বলেন, দাঁতে ক্ষয়, গহ্বর তৈরি হওয়া অনেকেই হ্রাস পায় চা পানে। রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য হয়। সম্ভবত এর হৃদয় হিতকারী গুণও রয়েছে। চায়ের মধ্যে রয়েছে যে পলিফেনোল (ফ্লাভোনলস ও ক্যাটেচিনস্্) এদের মধ্যে রয়েছে হৃদয় সুরক্ষার গুণাগুণ। অনেকে আবার চায়ের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে পান করেন। কিন্তু বর্তমানে গবেষকরা দেখিয়েছেন, ১৬ জন সুস্থ প্রাপ্ত বয়স্ক লোক পান করলেন ব্ল্যাক টি (শুধু চা), কেউ পান করলেন চায়ের সঙ্গে স্কিম মিল্ক মিশিয়ে, কেউ পান করলেন শুধু গরম পানি। এরপর বিজ্ঞানীরা রক্তনালীর কার্যকলাপের উপর লক্ষ্য করলেন। পানির সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেল, ব্ল্যাক টি শুধু চা পানে ধমনীর কার্যকলাপ বেশ উন্নত হয়েছে। তবে শুধু দুধ চা পান করলে চায়ের হিতকারী প্রভাব পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেল। ইঁদুর জাতীয় প্রাণীতে এমন পরীক্ষা চালিয়েও একই ফলাফল পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা দুধের প্রোটিন চায়ের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের সঙ্গে মিশ্রিত হওয়ায় চায়ের গুণ নষ্ট হয়ে যায়। গবেষকরা বলেছেন, দুধ রক্তনালীর কার্যকলাপের উপর চায়ের স্বাস্থ্য হিতকারীগণের বিরুদ্ধাচারণ করে। বিষয়টি শুধু দুধ ও দুধজাত দ্রব্যের মধ্যে সীমবদ্ধ, এমন নয়। সোয়া দুধের প্রোটিনও একইভাবে চায়ের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ওপর বিরুদ্ধ প্রভাব ফেলে। তাই দুধ মিশালে চায়ের গুণ নষ্ট হয়ে যায়। বলেই ধরে নেয়া যায়।
ষ আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক-কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।