বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ৪৪ জনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ধাপে ধাপে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।
জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শওকত হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ পর্যন্ত ৪৪ জনকে এ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছি। তবে এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে। প্রয়োজন হলে তাদের ঢাকায় পাঠানো হতে পারে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে কসবা উপজেলার মন্দভাগ রেলস্টেশনে সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী ১৫ জন মারা গেছেন। পরে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক যাত্রী।
চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তনগর ট্রেন তূর্ণা নিশীথা এবং সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার বিষয়ে মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. জাকের হোসেন চৌধুরী বলেন, তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটিকে আউটারে মেইন লাইনে থামার জন্য সিগন্যাল দেয়া হয়। উদয়ন ট্রেনটিকে মেইন লাইন থেকে ১ নম্বর লাইনে আসার সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল।
সেই হিসেবে উদয়ন ট্রেন ১ নম্বর লাইনে প্রবেশ করে। এ সময় নিশীথা ট্রেনের চালক সংকেত অমান্য করে উদয়ন ট্রেনের ওপর উঠে গেলে দুর্ঘটনা ঘটে।
রেলওয়ে স্টেশন, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা গতকাল রাত ২টা ৪৮ মিনিটে শশীদল রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের দিকে রওনা হয়। মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার ট্রেনটিকে মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশের আগেই আউটারে থামার জন্য সিগন্যাল দেয়। অপরদিকে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস কসবা রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশকালে স্টেশনমাস্টার ট্রেনটিকে মেইন লাইন ছেড়ে দিয়ে ১ নম্বর লাইনে আসার সংকেত দেন। ওই ট্রেনের চালক ১ নম্বর লাইনে প্রবেশ করেন। ছয়টি বগি প্রধান লাইনে থাকতেই অপর দিক থেকে আসা তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের চালক সিগনাল অমান্য করে দ্রুত গতিতে ট্রেন চালান। এ সময় উদয়ন ট্রেনের মাঝামাঝি তিনটি বগির সঙ্গে তূর্ণা নিশীথার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে উদয়ন ট্রেনের তিনটি বগি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।