বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট থেকে ছেড়ে চট্টগ্রামে যাচ্ছিল উদয়ন এক্সপ্রেস। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে ঢাকার দিকে আসছিল তূর্ণা নিশীথা। এমন অবস্থায় রাতের শেষ ভাগে মন্দবাগ স্টেশনের কাছে উদয়নকে ধাক্কা দেয় তূর্ণা নিশীথা। ট্রেনের লাইন পরিবর্তনের সময়টাতেই ওই দুর্ঘটনা ঘটে। উদয়ন এক্সপ্রেস প্রধান লেন থেকে ১ নম্বর লাইনে যেতে শুরু করে। ট্রেনটির ৬টি বগি ১ নম্বর লাইনে উঠে যায়। অন্য বগিগুলো প্রধান লেনে থাকা অবস্থায়ই তূর্ণা নিশীথা এসে ধাক্কা দেয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন এভাবেই। এর পেছনে দু’টি কারণ থাকতে পারে বলে মনে করছেন তারা। তাদের মতে, তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক ঘুমিয়ে সিগন্যাল দেখেননি। অথবা তাকে সিগনাল দেওয়া হয়নি বা পরে দেওয়া হয়েছে। এই দু’টি সামান্য ভুলের কোনো একটির কারণেই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।
তবে মন্দবাগ রেলস্টেশনের মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী জানান, আউটার ও হোম সিগন্যালে লাল বাতি (সর্তক সংকেত) দেওয়া ছিল। কিন্তু তূর্ণা নিশীথার চালক সিগন্যাল অমান্য করে ঢুকে পড়াতেই এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে দাবি করছেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটে ভোররাত পৌনে ৩টার দিকে। ট্রেনের অধিকাংশ যাত্রীই তখন ঘুমিয়েছিলেন। যে কারণে বেড়েছে হতাহতের সংখ্যাও। সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ১৭ জন নিহতের তথ্য জানা গেছে। আহতের সংখ্যা শতাধিক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বলেন, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই আট জনের মৃত্যু হয়। পরে বিভিন্ন হাসপাতালে আরও সাত জন মারা যায়।
স্টেশন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের চালক সিগন্যাল (সংকেত) অমান্য করেন অথবা তাকে সিগন্যাল দেওয়া হয়নি। মন্দবাগ রেল স্টেশনে দাঁড়ানোর জন্য এই সিগন্যাল দেওয়ার কথা। ওই সিগন্যালে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস প্রধান লেন থেকে ১ নম্বর লাইনে যেতে শুরু করে। ট্রেনটির ছয়টি বগি ১ নম্বর লাইনে উঠতে পেরেছিল। অন্য বগিগুলো প্রধান লেনে থাকা অবস্থায় তূর্ণা নিশীথা সিগন্যাল অমান্য করে। এতে তূর্ণা নিশীথার একাধিক বগি ওই ট্রেনের কয়েকটি বগির ওপর উঠে যায়। এতে উদয়নের তিনটি বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়।
ঘটনাস্থলে আগেই পৌঁছেন রেল মন্ত্রণালযয়ের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন। সকাল পৌনে দশটায় ঘটনাস্থল থেকে তিনি বলেন, ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের আগে ঠিক কি কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে এমন মন্তব্যে গেলে তদন্ত বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
এছাড়া দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনও।
এদিকে দু’টি রিলিফ ট্রেন দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলো রেললাইন থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটি ঘটনাস্থল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে এসেছে বলে সর্বশেষ খবরে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।