বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভারতের উত্তরপ্রদেশের বহুল আলোচিত অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। বাবরি মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলিমদের সংগঠন ‘সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড’কে বিকল্প পাঁচ একর জমি দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শনিবার ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালত এই রায় ঘোষণা করেছে। এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। এই ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে নেটিজেনরা।
এমডি গোলাম গিয়াস খান তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘এটা কেমন পহ্মপাতিত্ব রায় হলো? যেখানে একটি মসজিদ বিদ্যমান ছিলো, সে মসজিদটি মৌলবাদি হিন্দুরা গুড়িয়ে দিল অন্যায়ভাবে। অথচ সে জায়গাটা রাম মন্দির নির্মানের জন্য রায় দেয়া হলো, আর মসজিদের জন্য অন্য জায়গা বরাদ্দের নির্দেশ দেয়া হলো। তাহলে মুসলিমদের দাবি দাওয়াটাকে কতটা গুরুত্ব দেয়া হলো? যে লাউ সেই কদু হয়ে গেলো না? হিন্দু মৌলবাদেরই জয় হলো।’
‘এটা কোন নিরপেক্ষতা হলো? যদি উক্ত যায়গা ঐতিহাসিকভাবে সংরক্ষণ করে অন্য জায়গায় মসজিদ ও মন্দির নির্মান হতো, তাহলে বিচারের নিরপেক্ষতা পাওয়া যেতো।এটা নিঃস্বন্দহে মুসলমানদের কলিজায় আঘাত।’ - শাহিন আহমেদ লাভলুর মন্তব্য।
দেওয়ান আসাদুজ্জামানের প্রশ্ন, ‘এখনো হয়নি সময় ঘুম ভাঙ্গবার হে মুসলিম সম্প্রদায়?’
বাবরি মসজিদের ছবি শেয়ার করে হুমায়ন কবির তালুকদার লিখেন, ‘তাদের দেশের রায় তাদের পক্ষে যাবে, এটাই বাস্তব। এটা বাংলাদেশের সরকারের মত পরের জন্য নিজের স্বার্থ বিলিয়ে দেয় না।যা হোক মরনের পরে হবে সবার ফয়সালা।’
‘মসজিদ যেখানে অবস্থিত আছে, সেখানেই থাকুক। বরং মন্দিরের জন্য আলাদা যায়গা বরাদ্দ দেওয়া হউক।’ - আজিুল কাহহারের দাবি।
এমডি হামিদ টুইটারে লিখেন, ‘বিশ্ব মুসলিম নেতাদের উচিত এই বিষয়টা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানানো।অনন্তপক্ষে প্রাচীন নিদর্শন বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় হলেও এক কাতারে এসে গো-মূত্র সেবনকারীদের সাবধান করে দেওয়া হোক।’
‘আল্লাহর ঘর মসজিদের জায়গায় কস্মিনকালেও মন্দির নির্মাণ করার বৈধতা দেওয়া যেতে পারে না। কোন মুমিন মুসলমান এটা কখনোই সমর্থন করতে পারে না। অন্তর থেকে ঘৃণা জানাই ধিক্কার জানাই। মোদি সরকারের উপর আল্লাহতালার লানত বর্ষিত হোক।ধ্বংস হয়ে যাক তারা।’ - ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেন রফিকুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।