নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ক’দিন বাদেই নেপালের কাঠমান্ডু ও পোখারায় বসছে সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের ১৩তম আসর। এ আসরের ২৭ ডিসিপ্লিনের মধ্যে বাংলাদেশ অংশ নিচ্ছে ২৫টিতে। যার অন্যতম একটি সাইক্লিং। এসএ গেমস শুরু হতে মাত্র ক’দিন বাকি থাকলেও বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশনের নামে নানা অভিযোগ উঠেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পক্ষপাতিত্ব, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম।
কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতায় এসএ গেমসের ক্যাম্প থেকে বাদ পড়েছেন দেশের কৃতি সাইক্লিস্ট তরিকুল ইসলাম। গত জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণ জিতলেও এবার জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাকা হয়নি মুক্তাদুল হাসানকে। অথচ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণাদক না জিতেও ক্যাম্প আছেন ফয়সাল, এনামুলরা। শুধূ তাই নয়, বিজেএমসির সাইক্লিস্টরাও সুযোগ পাননি নেপাল এসএ গেমসের ক্যাম্পে। এছাড়া বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) নির্ধারিত পকেট মানি পাচ্ছেন না জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা সাইক্লিস্টরা। এমন অভিযোগ সাইক্লিস্টদের। ক্যাম্প কমান্ডার ইমাম হোসেন সোহাগের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও উঠেছে। তিনি নাকি নিজ এলাকা বাগেরহাটের ওয়ালী ফয়সাল নামে এমন সাইক্লিস্টকে ক্যাম্পে রেখেছেন যার পারফরমেন্স উল্লেখ করার মতো নয়।
গত এপ্রিলে কুড়িগ্রামে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সাইক্লিং চ্যাম্পিয়নশিপ। এ আসরে মুক্তাদুল আল হাসান ১০০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণপদক জিতলেও এবারের এসএ গেমসের ক্যাম্পে ডাক পাননি তিনি। ৪০০০ মিটার স্প্রিন্টে রৌপ্য জয়ী ইয়াসিন হোসেনকেও ডাকা হয়নি। অন্যদিকে ডাক পেয়েও ক্যাম্প থেকে বাদ পড়েছেন দেশেসেরা অন্যতম সাইক্লিস্ট তরিকুল ইসলাম। সেরা সাইক্লিস্টদের বাদ দেয়ার অভিযোগ করে তরিকুল বলেন, ‘জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে যারা পদক জিতেছে, তাদেরকেই বাদ দিয়েছেন কর্মকর্তারা। যা অন্যায়। তবে আমি ক্যাম্পে ডাক পেলেও শেষ পর্যন্ত তারা রাখেননি। পক্ষপাতিত্ব, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মে ক্যাম্পের অবস্থা খুব বাজে।’ তিনি আরো বলেন বলেন, ‘আমি যে ক’দিন ছিলাম, পকেট মানির ২৭৫ টাকা পাইনি। প্রথম দিকে যারা ক্যাম্পে উঠেছিল বিওএ’র পকেট মানিও ঠিক মতো তাদেরকে দেয়া হয়নি। তাছাড়া ক্যাম্পে খাবারের মানও খুব একটা ভালো নয়।’
ইয়াসিন হোসেনের কথায়, ‘কুড়িগ্রামে ৪০০০ মিটার ইন্ডিভিজুয়ালে রুপা জিতেছি। ২০১৬ সালে গৌহাটি-শিলং এসএ গেমস সাইক্লিংয়ে দেশের এক নম্বর সাইক্লিস্ট ছিলাম। এবার কুড়িগ্রামে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের সময় আমি টাইফয়েড জ্বরে ভুগছিলাম। তাই ভালো ফল করতে পারিনি। আমি ক্যাম্প কমান্ডার সোহাগ সাহেবকে বলেছিলাম, একবার সুযোগ দেন। না পারলে ক্যাম্পের খরচের সব টাকা দিয়ে দেবো। কিন্তু কোন সুযোগই তিনি দেননি।’
মুক্তাদুল হাসানের অভিযোগ, ‘আমি ১০০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণপদক জিতেও ক্যাম্পে সুযোগ পাইনি। তাহলে কাদেরকে নিয়ে ক্যাম্প করছেন ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। সাইক্লিংয়ের এসএ গেমস ক্যাম্প এখানেই প্রশ্নবিদ্ধ। অথচ কখনো পদক না জেতা ওয়ালী ফয়সাল ক্যাম্প কমান্ডারের জেলার বলেই পক্ষপাতিত্ব করে তাকে রাখা হয়েছে। এটা অন্যায়। আর বাংলাদেশ গেমসে তিন স্বর্ণপদক জেতা তরিকুল ভাইকে বাদ দেয়া হয়েছে ক্যাম্প থেকে।’
পক্ষপাতিত্ব ও পকেট মানি না দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ক্যাম্প কমান্ডার ইমাম হোসেন সোহাগ বলেন, ‘ওয়ালী ফয়সালকে আমরা বিদেশ থেকে বিশেষায়িত ট্রেনিং করিয়ে এনেছি। তাই তাকে ক্যাম্পে রাখা হয়ছে। ক্যাম্পে সাইক্লিস্ট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নির্বাচক কমিটিই সর্বেসর্বা। আমার কিছু করার নাই। আর পকেট মানি না দেয়ার অভিযোগটি মিথ্যা। সবাই নিয়মিত পকেট মানি পাচ্ছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।